ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কোম্পানীগঞ্জে জমিয়তের কর্মী সমাবেশ একাধিক পত্রিকায় জিয়াউর রহমান উপসহকারী প্রকৌশলী বিরুদ্ধে দুনীতি সংবাদ প্রকাশ হওয়া কোনো ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা প্রকৌশলী বিপুল কুমার বিশ্বাস রক্ষক যখন ভক্ষক ভেষজ বিজ্ঞানী টিপু সুলতান: কুসুমপুরে সৌখিন কৃষি ও একজন মুক্তিযোদ্ধার মানবসেবায় নিরব বিপ্লব মোংলার সোনাইল তলা এলাকায় ৪২ বিঘা ঘেরে বিষ প্রয়োগ। ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাভার পৌর বিএনপির দুই নেতার কলঙ্কিত অধ্যায় শাহেদ-১০৭ ড্রোন উন্মোচন ইরানের, যেভাবে কাজ করবে এটি রামপালের বড় কাঠালী গ্রামের বিএনপি সোহাগ আকনের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজের ম্যানার ছড়া বিরুদ্ধে মানববন্ধন আমরা যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করছি, এখনই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নয়: অর্থ উপদেষ্টা পাঁচ কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি

প্রেমিকের বাড়ীতে জিম্মায় প্রেমিকা। সকালে প্রেমিকার লাশ উদ্বার

,বরগুনাসদর প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০৪:০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৯৪ ১৫০.০০০ বার পাঠক

বরগুনার তালতলীতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকাকে জিম্মায় দিয়ে সকালে লাশ উদ্বার করা হয় কিশোর প্রেমিকা মারুফা আক্তারের(১৪) । শুক্রবার বেথিপাড়া মারুফার নিজ বাড়ির পুকুর পাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তরুনীর পরিবারের দাবি নির্যাতন শেষে হত্যা করে লাশ পুকুর পাড়ে রাখা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ছোটবগী ইউনিয়নের বেথিপাড়া এলাকার মৃত্যু হানিফ হাওলাদারের মেয়ে মারুফার সাথে পাশ্ববর্তী ঠংপাড়া এলাকার সুলতান পহলানের ছেলে হৃদয় পহলান(২৫) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এরই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটার দিকে হৃদয় ও মারুফা ঠাংপাড়া এলাকায় একটি বাগানে ভিতর দেখা করতে যায়। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাদের আটক করে। পরে উভয়কে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় হৃদয়ের বাড়িতে চাচা সোনা মিয়া ও বড় ভাই সোলায়মানে জিম্মায় দেয়া হয় ।

মারুফার ছোট বোন মারিয়া(১২) সকালে বাড়ির পুকুর পাড়ে ফুল গাছে পানি দেওয়ার জন্য গেলে বড়বোনকে পুকুর পাড়ে শুয়ে থাকতে দেখে ডাকাডাকি করলে না উঠায় বাড়ীর লোকজনকে ডেকে আনে। পুলিশ কে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিক হৃদয়কে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বরগুনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমান। কিশোরী প্রেমিকা হত্যা ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর থেকেই জিম্মাদার হৃদয়ের চাচা সোনা মিয়া ও ভাই সোলেমান হোসেন সহ তাদের পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে।

মারুফার ছোট বোন মারিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে বড় আপুর ফোনে কল আসে। তার পরে আমাকে মামার বাড়িতে রেখে আসেন। সকালে পুকুর পাড়ে ফুল গাছে পানি দিতে গেলে আপুর লাশ দেখে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এছাড়া আমি কিছুই জানি না।

তরুনীর খালু আয়নাল হোসেন বলেন, প্রেমিক হৃদয়ের বাড়ি তার চাচা ও ভাইয়ের কাছে মারুফাকে জিম্মা রাখা হয়েছে। হত্যা করে লাশ পুকুর পাড়ে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদা বলেন, বৃহস্পতিবার ঠংপাড়া বাগান থেকে সন্ধায় উভয়কে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে প্রেমিক হৃদয়ের বাড়িতে তার চাচার সোনামিয়া ও বড় ভাই সোলেমান এর কাছে মেয়েকে রাতে জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, রিদয়ের দু স্ত্রী রয়েছে। প্রথম স্ত্রীর একটি সন্তানও রয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান সাংবাদিকদের বলেন,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। ঘটনাস্থলে পিবিআই ও সিআইডি টিম এসেছে। তারা তদন্ত করছেন। বিস্তারিত তদন্ত করে বলা যাবে । লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হৃদয় নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।স্ত্রীবরগুনাঃজ্ব

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রেমিকের বাড়ীতে জিম্মায় প্রেমিকা। সকালে প্রেমিকার লাশ উদ্বার

আপডেট টাইম : ০৪:০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২

বরগুনার তালতলীতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকাকে জিম্মায় দিয়ে সকালে লাশ উদ্বার করা হয় কিশোর প্রেমিকা মারুফা আক্তারের(১৪) । শুক্রবার বেথিপাড়া মারুফার নিজ বাড়ির পুকুর পাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তরুনীর পরিবারের দাবি নির্যাতন শেষে হত্যা করে লাশ পুকুর পাড়ে রাখা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ছোটবগী ইউনিয়নের বেথিপাড়া এলাকার মৃত্যু হানিফ হাওলাদারের মেয়ে মারুফার সাথে পাশ্ববর্তী ঠংপাড়া এলাকার সুলতান পহলানের ছেলে হৃদয় পহলান(২৫) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এরই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটার দিকে হৃদয় ও মারুফা ঠাংপাড়া এলাকায় একটি বাগানে ভিতর দেখা করতে যায়। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাদের আটক করে। পরে উভয়কে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় হৃদয়ের বাড়িতে চাচা সোনা মিয়া ও বড় ভাই সোলায়মানে জিম্মায় দেয়া হয় ।

মারুফার ছোট বোন মারিয়া(১২) সকালে বাড়ির পুকুর পাড়ে ফুল গাছে পানি দেওয়ার জন্য গেলে বড়বোনকে পুকুর পাড়ে শুয়ে থাকতে দেখে ডাকাডাকি করলে না উঠায় বাড়ীর লোকজনকে ডেকে আনে। পুলিশ কে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিক হৃদয়কে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বরগুনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমান। কিশোরী প্রেমিকা হত্যা ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর থেকেই জিম্মাদার হৃদয়ের চাচা সোনা মিয়া ও ভাই সোলেমান হোসেন সহ তাদের পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে।

মারুফার ছোট বোন মারিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে বড় আপুর ফোনে কল আসে। তার পরে আমাকে মামার বাড়িতে রেখে আসেন। সকালে পুকুর পাড়ে ফুল গাছে পানি দিতে গেলে আপুর লাশ দেখে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এছাড়া আমি কিছুই জানি না।

তরুনীর খালু আয়নাল হোসেন বলেন, প্রেমিক হৃদয়ের বাড়ি তার চাচা ও ভাইয়ের কাছে মারুফাকে জিম্মা রাখা হয়েছে। হত্যা করে লাশ পুকুর পাড়ে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদা বলেন, বৃহস্পতিবার ঠংপাড়া বাগান থেকে সন্ধায় উভয়কে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে প্রেমিক হৃদয়ের বাড়িতে তার চাচার সোনামিয়া ও বড় ভাই সোলেমান এর কাছে মেয়েকে রাতে জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, রিদয়ের দু স্ত্রী রয়েছে। প্রথম স্ত্রীর একটি সন্তানও রয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান সাংবাদিকদের বলেন,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। ঘটনাস্থলে পিবিআই ও সিআইডি টিম এসেছে। তারা তদন্ত করছেন। বিস্তারিত তদন্ত করে বলা যাবে । লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হৃদয় নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।স্ত্রীবরগুনাঃজ্ব