ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সখিপুরে ব্যবসায়াী আঃ সালামকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ৩৮ লাখ টাকা নিয়ে হজ্ব কাফেলা এজেন্সির পরিচালক জাকারিয়া উধাও জেলে পল্লীর নীরব কান্না , দুশ্চিন্তাই এখন নিত্যদিনের সঙ্গী! বাঁচতে চায় জামিলা সকলের নিকট মানবিক সাহায্যের আবেদন মধ্যরাতে রাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু এখনো ঊর্ধ্বমুখী তেল-চালের দাম, অস্থির মসলার বাজার ট্রাম্প ২.০: বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের ‘নাক গলানো’ কী কমবে? ভৈরবে ট্রেন থেকে ছিনতাইকারী তিন নারী গ্রেপ্তার গাজীপুরের শ্রীপুরে বিপ্লব হত্যা মামলার আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অসহায় পুলিশ প্রশাসন জেনেও নীরব স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আর ফ্যাসিবাদী সহযোগীর মিলনে গণতন্ত্র পরিপুষ্ট হবেনা ।।ঠাকুরগাঁওয়ে শামসুজ্জামান দুদু

গাজীপুর সিটির ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাছিরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

বিউটি খাতুন বিশেষ প্রতিনিধি।
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২৪৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়ায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নাছিরউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে কোনাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার তৃতীয় স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার রাত দশটা (১৫ সেপ্টেম্বর) সময় কোনাবাড়ি থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী।

কোনাবাড়ী থানার অভিযোগ সূত্র জানায়, গেল-৬ জুন (২০২২ই) পারিবারিক ভাবে কাউন্সিলর নাছিরউদ্দিন মোল্লার সঙ্গে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ৫ লাখ টাকায় কাবিন মূলে বিবাহ হয়।
বিবাহের পর নাছির উদ্দীন মোল্লা তাঁর নিজ বাড়িতে না নিয়ে পুরো ঘটনাটি গোপন রেখে ওই নারীর বাবার বাড়িতেই স্ত্রীকে রেখে দেয়। এরপর থেকে তাঁকে পুরোপুরি স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে ওই মাঝে মধ্যে বাহিরের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে রাত্রী যাপন করে।

অভিযোগে আরো জানায়, বিবাহের পর থেকেই ঠিকমত স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে কারণে-অকারণে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভাষায় বকাঝকা ও ঝগড়াসহ তালাক দেয়ার হুমকী দেয় ওই কাউন্সিলর।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে অভিযুক্ত নারীকে মোবাইল ফোনে কোনাবাড়ি পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় দেখা করতে বলেন কাউন্সিলর নাছির উদ্দীন মোল্লা।
তার কথামতো ওই নারী কোনাবাড়ি পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় আসলে অচেনা একটি গ্যারেজে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কয়েকটি চর-থাপ্পর মারেন তিনি ।
পরে ওই নারীর ডাক চিৎকার শুনে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে কাউন্সিলর নাছির চলে যায়।

ভুক্তভোগী বলেন, বিবাহের পর থেকে দুই-তিন সপ্তাহ পর পর কাউন্সিলর নাছির উদ্দীন তাঁর বাসায় যেতেন। এসবের প্রতিবাদ করলে ওই নারীকে ধৈর্য ধরতে বলেন। সবকিছু ঠিকঠাক করে দিবেন বলেও আশ্বাস দেন।

তিনি আরো বলেন, বিবাহ করার পরেও অন্যান্য মেয়েদের সঙ্গে মেলামেশা করতো সে। তিনি জানান, টাঙ্গাইলের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গেও দীর্ঘদিন ধরে মেলামেশা করে আসছে নাছির। জানা গেছে, প্রবাসীর ওই স্ত্রী তিনি বিউটি পার্লারের ব্যবসা করে।
এবিষয়ে জানতে ওই কাউন্সিলরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুর সিটির ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাছিরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়ায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নাছিরউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে কোনাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার তৃতীয় স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার রাত দশটা (১৫ সেপ্টেম্বর) সময় কোনাবাড়ি থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী।

কোনাবাড়ী থানার অভিযোগ সূত্র জানায়, গেল-৬ জুন (২০২২ই) পারিবারিক ভাবে কাউন্সিলর নাছিরউদ্দিন মোল্লার সঙ্গে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ৫ লাখ টাকায় কাবিন মূলে বিবাহ হয়।
বিবাহের পর নাছির উদ্দীন মোল্লা তাঁর নিজ বাড়িতে না নিয়ে পুরো ঘটনাটি গোপন রেখে ওই নারীর বাবার বাড়িতেই স্ত্রীকে রেখে দেয়। এরপর থেকে তাঁকে পুরোপুরি স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে ওই মাঝে মধ্যে বাহিরের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে রাত্রী যাপন করে।

অভিযোগে আরো জানায়, বিবাহের পর থেকেই ঠিকমত স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে কারণে-অকারণে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভাষায় বকাঝকা ও ঝগড়াসহ তালাক দেয়ার হুমকী দেয় ওই কাউন্সিলর।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে অভিযুক্ত নারীকে মোবাইল ফোনে কোনাবাড়ি পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় দেখা করতে বলেন কাউন্সিলর নাছির উদ্দীন মোল্লা।
তার কথামতো ওই নারী কোনাবাড়ি পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় আসলে অচেনা একটি গ্যারেজে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কয়েকটি চর-থাপ্পর মারেন তিনি ।
পরে ওই নারীর ডাক চিৎকার শুনে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে কাউন্সিলর নাছির চলে যায়।

ভুক্তভোগী বলেন, বিবাহের পর থেকে দুই-তিন সপ্তাহ পর পর কাউন্সিলর নাছির উদ্দীন তাঁর বাসায় যেতেন। এসবের প্রতিবাদ করলে ওই নারীকে ধৈর্য ধরতে বলেন। সবকিছু ঠিকঠাক করে দিবেন বলেও আশ্বাস দেন।

তিনি আরো বলেন, বিবাহ করার পরেও অন্যান্য মেয়েদের সঙ্গে মেলামেশা করতো সে। তিনি জানান, টাঙ্গাইলের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গেও দীর্ঘদিন ধরে মেলামেশা করে আসছে নাছির। জানা গেছে, প্রবাসীর ওই স্ত্রী তিনি বিউটি পার্লারের ব্যবসা করে।
এবিষয়ে জানতে ওই কাউন্সিলরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।