ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কানাডার যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার ইচ্ছা নেই: জাস্টিন ট্রুডো অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না: হাইকোর্ট জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: হাসিনাসহ জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড প্রসিকিউশনের হাতে কল রেকর্ডের ফরেনসিক পরীক্ষা করার জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দেশ বিরোধী হাসিনা মনমোহন চুক্তি স্বাক্ষরের ১৫ তম বার্ষীকিতে মুক্তি কাউন্সিলের আহবান মোংলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির লিফলেট বিতরণ জুলাই – আগস্ট গনঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের পূনর্বাসন, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, মাসিক ভাতা ও সু- চিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধন ঠাকুরগাঁওয়ে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কালিয়াকৈরে অস্ত্রসহ এক ছিনতাইকারী আটক লক্ষ্মীপুরে ৫শ হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরন করছেন জেলা প্রশাসন দীর্ঘমেয়াদী ও বড় ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরান

চট্টগ্রামের মমতা মাতৃসদন ক্লিনিক থেকে নবজাতক শিশু চুরি ভেঙে পড়েন সন্তান হারা বাবা,মা

মোঃ শহিদুল ইসলাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রামঃ
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৩:২৪ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৯ আগস্ট ২০২২
  • / ৫২৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

চট্টগ্রামের সি.ই.পি.জেড থানাধীন ৩৯ নং ওয়ার্ড নেভী হাসপাতাল গেইটস্থ তাল তলা বন্দরটি মমতা মাতৃসদন ক্লিনিক থেকে নবজাতক শিশু চুরি করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেলের নার্স পরিচয় দেওয়া এক মহিলা (২৮ আগস্ট) রবিবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে এ নবজাতক শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানান নবজাতক শিশুর বাবা।

চুরি হওয়া শিশুটির বয়স ১দিন। ওই শিশুটির মাতাঃ তাসমিনা আক্তার ও বাবা মোঃ শহিদুল ইসলাম আনোয়ারা উপজেলার গহিরা তাদের স্থায়ী ঠিকানা বর্তমান কাটগড় চরপাড়া তাদের বসবাস। সন্তান হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন শিশুটির মা, বাবাসহ স্বজনরা।

নবজাতক শিশু চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল ইসলাম বলেন,গতকাল ২৭ আগস্ট‌ শনিবার সকাল ১০টার দিকে আমি আমার স্ত্রীকে মমতা মাতৃসদন মমতা ক্লিনিক হাসপাতালে ভর্তি করাই এর পরপরেই দুপুরের দিকে আমার স্ত্রীর কোলজুড়ে আসে ছেলে সন্তান,বিকেল ৩টার দিকে অজ্ঞাত এক মহিলা ক্লিনিকে আসেন চট্টগ্রাম মেডিকেলের নার্স পরিচয় দেন এবং টিকা দেয়ার কথা বলে নবজাতককে নিয়ে উধাও হয়ে যান তিনি।

তিনি আরো বলেন, নবজাতক শিশু চুরির পিছনে এই ক্লিনিকের সবাই জরিত আছেন, এরা পরিকল্পিত ভাবে এই কাজটি করেছে, ক্লিনিকে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ বের করতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাগে কিভাবে। প্রায় সাড়ে ৩ঘন্টা চেষ্টা করে সিসিটিভি ফুটেজ শনাক্ত করতে পারে নাই ক্লিনিকের ম্যানেজার ও কর্মীরা।

আমার মনে হচ্ছে এরা সিসিটিভির ফুটেজ ডিলেট করেছে যার কারণে এত গরি মসি কোথাও সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না,আমি আমার নবজাতক শিশুকে না পেলে, মাতৃসদন নামক মমতা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

নবজাতক শিশু চুরির ব্যাপারে মমতা মাতৃসদন ক্লিনিকের ম্যানেজার মোর্শেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,আজ দুপুরের দিকে অ্যাপ্রোন পড়ে এক মহিলা এসেছিলেন, তিনি নিজেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নার্স পরিচয় দেন,এরপর রোগীর স্বজনদের টিকা দেয়ার কথা বলেন,এরপর সেই মহিলা ওই নবজাতকের দাদীর সঙ্গে কথা বলে চা খেয়েছেন বিকেলের দিকে, বাচ্চাকে টিকা দেয়ার কথা বলে নিচে নামেন তারা দুইজন,নিচে নামার পর থেকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।

ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছে মুঠোফোনে,নবজাতকের,বিষয়ে
জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন এই নবজাতকের চুরির বিষয়ে যারা ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন তাদের সকলকে প্রথমিকভাবে ক্লিনিকে বসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইপিজেডে থানায় নেয়া হয়েছে।

 

এ বিষয়ে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, নার্স সেজে এক নারী মমতা মাতৃসদন ক্লিনিক থেকে একদিন বয়সী নবজাতককে চুরি করেছে।

ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থে এসেছি আমরা ক্লিনিকের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করেন।বজাতক শিশুকে খুজে বের করার জন্য যতটুকু চেষ্টা করার দরকার তা আমরা করার চেষ্টা চালাচ্ছি।
অফিসার ইনচার্জ আরও বলেন,
আমরা ক্লিনিকে যারা উপস্থিত আছেন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে,নবজাতক,চুরির সময় যারা ডিউটিতে ছিলেন তাদের মধ্য থেকে তিনজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
নবজাতক শিশুর নানা বলেন,আমার নাতিকে যদি ফেরৎ না পাই, সেক্ষেত্রে এই ক্লিনিক এর বিরুদ্ধে আমি মামলা দায়ের করব, এদের সহযোগিতায় আমার নাতিকে চুরি করেছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চট্টগ্রামের মমতা মাতৃসদন ক্লিনিক থেকে নবজাতক শিশু চুরি ভেঙে পড়েন সন্তান হারা বাবা,মা

আপডেট টাইম : ০৫:০৩:২৪ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৯ আগস্ট ২০২২

চট্টগ্রামের সি.ই.পি.জেড থানাধীন ৩৯ নং ওয়ার্ড নেভী হাসপাতাল গেইটস্থ তাল তলা বন্দরটি মমতা মাতৃসদন ক্লিনিক থেকে নবজাতক শিশু চুরি করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেলের নার্স পরিচয় দেওয়া এক মহিলা (২৮ আগস্ট) রবিবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে এ নবজাতক শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানান নবজাতক শিশুর বাবা।

চুরি হওয়া শিশুটির বয়স ১দিন। ওই শিশুটির মাতাঃ তাসমিনা আক্তার ও বাবা মোঃ শহিদুল ইসলাম আনোয়ারা উপজেলার গহিরা তাদের স্থায়ী ঠিকানা বর্তমান কাটগড় চরপাড়া তাদের বসবাস। সন্তান হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন শিশুটির মা, বাবাসহ স্বজনরা।

নবজাতক শিশু চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল ইসলাম বলেন,গতকাল ২৭ আগস্ট‌ শনিবার সকাল ১০টার দিকে আমি আমার স্ত্রীকে মমতা মাতৃসদন মমতা ক্লিনিক হাসপাতালে ভর্তি করাই এর পরপরেই দুপুরের দিকে আমার স্ত্রীর কোলজুড়ে আসে ছেলে সন্তান,বিকেল ৩টার দিকে অজ্ঞাত এক মহিলা ক্লিনিকে আসেন চট্টগ্রাম মেডিকেলের নার্স পরিচয় দেন এবং টিকা দেয়ার কথা বলে নবজাতককে নিয়ে উধাও হয়ে যান তিনি।

তিনি আরো বলেন, নবজাতক শিশু চুরির পিছনে এই ক্লিনিকের সবাই জরিত আছেন, এরা পরিকল্পিত ভাবে এই কাজটি করেছে, ক্লিনিকে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ বের করতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাগে কিভাবে। প্রায় সাড়ে ৩ঘন্টা চেষ্টা করে সিসিটিভি ফুটেজ শনাক্ত করতে পারে নাই ক্লিনিকের ম্যানেজার ও কর্মীরা।

আমার মনে হচ্ছে এরা সিসিটিভির ফুটেজ ডিলেট করেছে যার কারণে এত গরি মসি কোথাও সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না,আমি আমার নবজাতক শিশুকে না পেলে, মাতৃসদন নামক মমতা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

নবজাতক শিশু চুরির ব্যাপারে মমতা মাতৃসদন ক্লিনিকের ম্যানেজার মোর্শেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,আজ দুপুরের দিকে অ্যাপ্রোন পড়ে এক মহিলা এসেছিলেন, তিনি নিজেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নার্স পরিচয় দেন,এরপর রোগীর স্বজনদের টিকা দেয়ার কথা বলেন,এরপর সেই মহিলা ওই নবজাতকের দাদীর সঙ্গে কথা বলে চা খেয়েছেন বিকেলের দিকে, বাচ্চাকে টিকা দেয়ার কথা বলে নিচে নামেন তারা দুইজন,নিচে নামার পর থেকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।

ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছে মুঠোফোনে,নবজাতকের,বিষয়ে
জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন এই নবজাতকের চুরির বিষয়ে যারা ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন তাদের সকলকে প্রথমিকভাবে ক্লিনিকে বসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইপিজেডে থানায় নেয়া হয়েছে।

 

এ বিষয়ে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, নার্স সেজে এক নারী মমতা মাতৃসদন ক্লিনিক থেকে একদিন বয়সী নবজাতককে চুরি করেছে।

ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থে এসেছি আমরা ক্লিনিকের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করেন।বজাতক শিশুকে খুজে বের করার জন্য যতটুকু চেষ্টা করার দরকার তা আমরা করার চেষ্টা চালাচ্ছি।
অফিসার ইনচার্জ আরও বলেন,
আমরা ক্লিনিকে যারা উপস্থিত আছেন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে,নবজাতক,চুরির সময় যারা ডিউটিতে ছিলেন তাদের মধ্য থেকে তিনজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
নবজাতক শিশুর নানা বলেন,আমার নাতিকে যদি ফেরৎ না পাই, সেক্ষেত্রে এই ক্লিনিক এর বিরুদ্ধে আমি মামলা দায়ের করব, এদের সহযোগিতায় আমার নাতিকে চুরি করেছে।