ঢাকা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ নোয়াগড় গ্রামে কোটি টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত।। সেনাবাহিনীর হাতে ১১ জন আটক ভৈরবে রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে মাদক দ্রব্য গাঁজাসহ হিজরা গ্রেফতার পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে

নকশা ছাড়াই বহুতল ভবন নির্মাণ জোটন দেবনাথ ও তামান্না নিশুর যৌথ বাণিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ১২:২৬:১৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট ২০২২
  • / ২৬৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

খিলগাঁও, বাসাবো, রামপুরার একাংশ দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করে আসছেন পরিদর্শক তামান্না নিশু। নিশু বছরের পর বছর দায়িত্বে রয়েছেন একই এলাকায়। সবার মাঝে মধ্যে বদলি হলেও বদলি নেই নিশুর। কারণ কালেকশন বাণিজ্যে নিশুর বিকল্প নেই। তাই জোটন দেবনাথ ও আরও কয়েকজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় নিশু রাজউকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। নিয়মে না পড়লেও তামান্না নিশু ও জোটন দেবনাথের আর্শিবাদে নকশা অনুমোদন, নকশা না মেনে অসংখ্য ভবন নির্মাণ ও জটিল ঝামেলার ক্ষেত্রে সহজে উপকৃত হয়ে থাকেন নিশুর দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকাগুলোর বাসিন্দারা। তবে বিনা পয়সায় মিলছে না এসব সার্ভিস কারণ নিশু যে গাড়ী ব্যবহার করে থাকেন সেটির ড্রাইভার ও ফুয়েলের মূল্যের সমানও বেতন পাননা রাজউক থেকে। এছাড়া তিনি ব্যক্তিগত একজন সহকারী রেখেছেন অর্থ কালেকশনের জন্য। দাপুটে এ কর্মকর্তা বর্তমানে ভালোই টাকা পয়সায় মালিক বনে গিয়েছেন কারণ তার সর্বদা সহযোগীতায় সদা প্রস্তুত জোনেরই অথোরাইজড অফিসার জোটন দেবনাথ। দুজনই টাকা পয়সার মালিক হলেও তামান্নার দায়িত্বে থাকা এলাকাগুলোর বাসিন্দারা পড়েছেন ঝুঁকিতে। অনুসন্ধান ও সরেজমিনের নানাবিধ চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি ৭৫, কদমতলী ৯নং লেন, হিরাজিল, বাসাবো নির্মাণাধীন ভবনটিতে অনুসন্ধান করলে দেখা যায় গলীর ভেতর বহুতল ভবনটির নকশা নিয়ে রয়েছে নানাবিধ প্রশ্ন? নিয়ম অনুযায়ী যেকোন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করার ১৫ দিন পূর্বে ৩০৭ নং ফরম পূরণ করে রাজউককে অবহিত করবে ও রাজউক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নির্মাণ কাজ শুরু করবে। কিন্তু ভবনটি নির্মাণের সময় তা করা হয়নি এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত কোন নকশাও রাজউকে জমা দেয়নি যা রাজউক আইন সুস্পষ্ট লংঘন। এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ভবনটির ব্যাপারে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে পারতেন। কিন্তু তামান্না নিশু ও জোটন দেবনাথ লোক দেখানো কিছু নোটিশ পাঠিয়ে তাদের দায় সেরেছেন যা শুনে খোঁদ রাজউক কর্মকর্তারাই আশ্চর্য হয়েছেন। তাদের প্রত্যক্ষ মদদে বর্তমানে ভবনটির নির্মাণ কাজও শেষের দিকে। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ ও রাজউক কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার জন্য তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার ও দাবি করেছেন কেউ কেউ। জোটন দেবনাথ ও তামান্না নিশুর যৌথ বাণিজ্যে নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে থাকেন। তারা বিভিন্ন অনিয়মিত ভবনকে নোটিশ করে থাকেন কিন্তু তাদের কাঙ্খিত অর্থ আদায় হয়ে গেলে বছরের পর বছর যেসব ভবনের বিরুদ্ধে আর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এক পর্যায়ে তাদের সুপরিকল্পিত তত্ত¡াবধানে অনিয়মিত ভবনগুলোতে বসতি স্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়। তবে বেশি ঝামেলায় পড়লে ভবন মারিকগণের মাধ্যমে হাইকোর্টে রিট করিয়ে কিছু সময়ের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ পরিসমাপ্তি করে থাকেন। কিন্তু হাইকোর্টের খন্ডকালীন নিষেধাজ্ঞা পার হলেও সে বভনগুলির বিরুদ্ধে আদৌ আর ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এভাবেই চলছে তাদের রমরমা বাণিজ্য। জোটন দেবনাথ ও তামান্না নিশুর যৌথ ভবন বাণিজ্যের ব্যাপারে জানার জন্য তাদের মোবাইলে বারবার ফোন করেও তাদের পাওয়া যায়নি। এমনকি এসএমএস দিয়ে পরিচয় দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি বলে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হলো না। দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন আগামী পর্ব

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নকশা ছাড়াই বহুতল ভবন নির্মাণ জোটন দেবনাথ ও তামান্না নিশুর যৌথ বাণিজ্য

আপডেট টাইম : ১২:২৬:১৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট ২০২২

খিলগাঁও, বাসাবো, রামপুরার একাংশ দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করে আসছেন পরিদর্শক তামান্না নিশু। নিশু বছরের পর বছর দায়িত্বে রয়েছেন একই এলাকায়। সবার মাঝে মধ্যে বদলি হলেও বদলি নেই নিশুর। কারণ কালেকশন বাণিজ্যে নিশুর বিকল্প নেই। তাই জোটন দেবনাথ ও আরও কয়েকজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় নিশু রাজউকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। নিয়মে না পড়লেও তামান্না নিশু ও জোটন দেবনাথের আর্শিবাদে নকশা অনুমোদন, নকশা না মেনে অসংখ্য ভবন নির্মাণ ও জটিল ঝামেলার ক্ষেত্রে সহজে উপকৃত হয়ে থাকেন নিশুর দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকাগুলোর বাসিন্দারা। তবে বিনা পয়সায় মিলছে না এসব সার্ভিস কারণ নিশু যে গাড়ী ব্যবহার করে থাকেন সেটির ড্রাইভার ও ফুয়েলের মূল্যের সমানও বেতন পাননা রাজউক থেকে। এছাড়া তিনি ব্যক্তিগত একজন সহকারী রেখেছেন অর্থ কালেকশনের জন্য। দাপুটে এ কর্মকর্তা বর্তমানে ভালোই টাকা পয়সায় মালিক বনে গিয়েছেন কারণ তার সর্বদা সহযোগীতায় সদা প্রস্তুত জোনেরই অথোরাইজড অফিসার জোটন দেবনাথ। দুজনই টাকা পয়সার মালিক হলেও তামান্নার দায়িত্বে থাকা এলাকাগুলোর বাসিন্দারা পড়েছেন ঝুঁকিতে। অনুসন্ধান ও সরেজমিনের নানাবিধ চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি ৭৫, কদমতলী ৯নং লেন, হিরাজিল, বাসাবো নির্মাণাধীন ভবনটিতে অনুসন্ধান করলে দেখা যায় গলীর ভেতর বহুতল ভবনটির নকশা নিয়ে রয়েছে নানাবিধ প্রশ্ন? নিয়ম অনুযায়ী যেকোন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করার ১৫ দিন পূর্বে ৩০৭ নং ফরম পূরণ করে রাজউককে অবহিত করবে ও রাজউক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নির্মাণ কাজ শুরু করবে। কিন্তু ভবনটি নির্মাণের সময় তা করা হয়নি এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত কোন নকশাও রাজউকে জমা দেয়নি যা রাজউক আইন সুস্পষ্ট লংঘন। এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ভবনটির ব্যাপারে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে পারতেন। কিন্তু তামান্না নিশু ও জোটন দেবনাথ লোক দেখানো কিছু নোটিশ পাঠিয়ে তাদের দায় সেরেছেন যা শুনে খোঁদ রাজউক কর্মকর্তারাই আশ্চর্য হয়েছেন। তাদের প্রত্যক্ষ মদদে বর্তমানে ভবনটির নির্মাণ কাজও শেষের দিকে। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ ও রাজউক কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার জন্য তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার ও দাবি করেছেন কেউ কেউ। জোটন দেবনাথ ও তামান্না নিশুর যৌথ বাণিজ্যে নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে থাকেন। তারা বিভিন্ন অনিয়মিত ভবনকে নোটিশ করে থাকেন কিন্তু তাদের কাঙ্খিত অর্থ আদায় হয়ে গেলে বছরের পর বছর যেসব ভবনের বিরুদ্ধে আর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এক পর্যায়ে তাদের সুপরিকল্পিত তত্ত¡াবধানে অনিয়মিত ভবনগুলোতে বসতি স্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়। তবে বেশি ঝামেলায় পড়লে ভবন মারিকগণের মাধ্যমে হাইকোর্টে রিট করিয়ে কিছু সময়ের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ পরিসমাপ্তি করে থাকেন। কিন্তু হাইকোর্টের খন্ডকালীন নিষেধাজ্ঞা পার হলেও সে বভনগুলির বিরুদ্ধে আদৌ আর ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এভাবেই চলছে তাদের রমরমা বাণিজ্য। জোটন দেবনাথ ও তামান্না নিশুর যৌথ ভবন বাণিজ্যের ব্যাপারে জানার জন্য তাদের মোবাইলে বারবার ফোন করেও তাদের পাওয়া যায়নি। এমনকি এসএমএস দিয়ে পরিচয় দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি বলে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হলো না। দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন আগামী পর্ব