ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে. ড. রেজাউল করিম মঠবাড়ীয়া আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ইং ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন

পারমাণবিক চুক্তির দ্বারপ্রান্তে ইরান ও পশ্চিমা দেশগুলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৩:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২
  • / ২১২ ৫০০০.০ বার পাঠক

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও বেশ কয়েকটি পশ্চিমা শক্তিধর দেশের সঙ্গে নতুন করে পারমাণবিক চুক্তি করতে যাচ্ছে ইরান।

২০১৫ সালে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে এ চুক্তিটি হয়। এখন নতুন করে এটি আবার কার্যকর করা হবে।  খবর আল জাজিরার।

আর এ চুক্তির বদলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে যুক্তরাষ্ট্রও তার মিত্রা। যার মধ্যে থাকবে বিদেশী ব্যাংকগুলোতে আটকে রাখা ইরানের অর্থ ছাড় ও  তেল রপ্তানি।

এর বদলে ইরান তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম অনেক কমিয়ে দেবে।

আল জাজিরা একজন কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে, ৬০ দিনে চারটি ধাপে এ চুক্তি সম্পন্ন করা হবে।

যেদিন চুক্তি করা হবে সেদিনই ইরানের ১৭টি ব্যাংক এবং ১৫০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। সেদিনই ইরানও তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম কমিয়ে দেবে।

একটি পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে ৯০ ভাগ ইউরোনিয়াম প্রয়োজন হয়। বর্তমানে ইরানের কাছে বোমা তৈরির ৬০ ইউরোনিয়াম আছে। যখন ২০১৫ সালে চুক্তি করা হয় তখন শর্ত ছিল ইরান তাদের ধারণ ক্ষমতার ৩.৬৭ ভাগ ইউরোনিয়াম রাখতে পারবে।

পুনরায় চুক্তি হওয়ার ১২০ দিনের মধ্যে ইরান প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রপ্তানি করতে পারবে। তাছাড়া ইরানের কোষাগার থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়ও দেওয়া হবে। বর্তমানে যেটি দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকে আছে।

আর চুক্তির ১২০ দিন পর ইরান প্রতিদিন ২.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রপ্তানি করতে পারবে।

এদিকে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, চীন এবং রাশিয়া।

কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

এবার নতুন যে চুক্তি হচ্ছে সেখানে বলা হয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র আবারও চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় তা

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পারমাণবিক চুক্তির দ্বারপ্রান্তে ইরান ও পশ্চিমা দেশগুলো

আপডেট টাইম : ০৫:০৩:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও বেশ কয়েকটি পশ্চিমা শক্তিধর দেশের সঙ্গে নতুন করে পারমাণবিক চুক্তি করতে যাচ্ছে ইরান।

২০১৫ সালে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে এ চুক্তিটি হয়। এখন নতুন করে এটি আবার কার্যকর করা হবে।  খবর আল জাজিরার।

আর এ চুক্তির বদলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে যুক্তরাষ্ট্রও তার মিত্রা। যার মধ্যে থাকবে বিদেশী ব্যাংকগুলোতে আটকে রাখা ইরানের অর্থ ছাড় ও  তেল রপ্তানি।

এর বদলে ইরান তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম অনেক কমিয়ে দেবে।

আল জাজিরা একজন কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে, ৬০ দিনে চারটি ধাপে এ চুক্তি সম্পন্ন করা হবে।

যেদিন চুক্তি করা হবে সেদিনই ইরানের ১৭টি ব্যাংক এবং ১৫০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। সেদিনই ইরানও তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম কমিয়ে দেবে।

একটি পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে ৯০ ভাগ ইউরোনিয়াম প্রয়োজন হয়। বর্তমানে ইরানের কাছে বোমা তৈরির ৬০ ইউরোনিয়াম আছে। যখন ২০১৫ সালে চুক্তি করা হয় তখন শর্ত ছিল ইরান তাদের ধারণ ক্ষমতার ৩.৬৭ ভাগ ইউরোনিয়াম রাখতে পারবে।

পুনরায় চুক্তি হওয়ার ১২০ দিনের মধ্যে ইরান প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রপ্তানি করতে পারবে। তাছাড়া ইরানের কোষাগার থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়ও দেওয়া হবে। বর্তমানে যেটি দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকে আছে।

আর চুক্তির ১২০ দিন পর ইরান প্রতিদিন ২.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রপ্তানি করতে পারবে।

এদিকে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, চীন এবং রাশিয়া।

কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

এবার নতুন যে চুক্তি হচ্ছে সেখানে বলা হয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র আবারও চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় তা