চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানা এলাকায় নুপুর নামে এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু এলাকাবাসীর মন্তব্য
- আপডেট টাইম : ১০:২৩:৪৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২
- / ২৮৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোঃ শহিদুল ইসলাম
বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রামঃ
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন ৩৯নং ওয়ার্ড বন্দরটিলা বাজারের পিছনে শফিউল আজম বিল্ডিং এর ২য় তালায় ১০নং রুমে। তাজনাহার আক্তার নুপুর(১৯) নামে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
২৭এপ্রিল বুধবার অনুমানিক সময় ১টা ৩০মিনিটের সময় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে যানা যায়।
তাজনাহার আক্তার নুপুরের পিতা মোঃ তাজুল ইসলামের,গ্রামের বাড়ী দক্ষিণ রাইছা,পোস্ট অফিস দক্ষিণ রাইছা,থানা চরফ্যাশন,জেলা ভোলা,বর্তমান ঠিকানা,বন্দরটিলা কাচা বাজারের পিছনে শফিউল আজম বিল্ডিং,এর ২য় তালা থানা- ইপিজেড,জেলা- চট্টগ্রাম।
তাজনাহার আক্তার নুপুরের আত্নহত্যার ব্যাপারে গোপন সংবাদের মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মী খবর পেয়ে ঘটনা স্থানে গণমাধ্যকর্মীর একটি টিম ছুটে যায় বন্দরটিলা ফ্যামিলি হেলথ কেয়ার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
তাজনাহার আক্তার নুপুরের আত্নহত্যার
ব্যাপারে তাজুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি গনমাধ্যমকর্মীদেরকে দেখে মুখ ফিরিয়ে অন্যত্র স্থানে চলে যায় দ্বিতীয় বার কথা বলার চেষ্টা করলে সে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে না দেখার ভান করে ঐস্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যায়। বারবার তাজুল ইসলামের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে তার মুখ থেকে কোন সৎ উত্তর মেলেনি।
এক পর্যায়ে তাজুল ইসলাম বলেন আমার মেয়ের একটু শরীর অসুস্থ ছিলেন এলার্জি হয়েছে এজন্য তাকে আমরা,ফ্যামিলি হেলথ কেয়ার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে,নিয়ে আসছি। হাসপাতালে যারা দায়িত্বরত অবস্থায় ছিলেন তাঁরা দেখে আমাকে মেডিকেল থেকে একজন মহিলা ডাক্টার প্রেসক্রিপশন দিয়ে বলেন আপনারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে যান,এর পরে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে নিচে নেমে আসি,বলে জানান গণমাধ্যমকর্মীদেরকে।
মৃত্যু মেয়ের বাবার কথা বার্তার বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে কেমন জানি রহস্য জনক মনে হয়েছিল,তাজনাহার আক্তার নুপুরের আত্নহত্যার ঘটনাটি।
গণমাধ্যমকর্মীরা পুনরায় রহস্য জানার চেষ্টা করায় এবারে তাজুল ইসলাম মুখ খুললেন,এবার করুন স্বরে গনমাধ্যমকর্মীদের বলেন,আমার মেয়ে আত্নহত্যা করেনি আমার মেয়ের
স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে বলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কাটিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন, তাজুল ইসলাম ও তার পরিবারের সকল আত্মীয় সজনরা।
তাজনাহার আক্তার নুপুরের মৃত্যুর পরেও ফ্যামিলি হেলথ কেয়ার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসক মৃত ব্যক্তিকে একটি প্রেসক্রিপশন লেখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ প্রেসক্রিপশন নিয়ে ইপিজেড থানার সেকেন্ড অফিসার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার পর
মৃত ব্যক্তিকে কিভাবে প্রেসক্রিপশন দেয়া হলো এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো সৎ উত্তর দিতে পারেনি
এ ব্যাপারে সাধারণ জনগণের মন্তব্য করেন অবশ্যই মৃত্যুর বিষয়টি বড় ধরনের রহস্য লুকিয়ে আছে।
মৃত ব্যক্তির প্রেসক্রিপশনের ব্যাপারে রিসিপশনে থাকা মহিলা রিসেপশনিস্ট এর কাছে মৃত্যু ব্যক্তির ব্যাপারে কিছু জানার চেষ্টা করলে ওখান থেকে কোন সৎ উত্তর মেলেনি, পরে রিসিপশন থেকে মহিলা ডাক্তারের মোবাইল নাম্বার চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে বলেন,ঐ মহিলা ডাক্তারের মোবাইল নাম্বার দেওয়া জাবে না, এবং ঐ মহিলা ডাক্তারের মোবাইল নাম্বার দিতে নিষেধ করছে বলে জানান রিসিপশনে বসা দুই মহিলা রিসিপশনিস্ট।
ফ্যামিলি হেলথ কেয়ার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তৃপক্ষদের সাথে যোগাযোগ করে ও কোন সৎ উত্তর মেলেনি।
এতে বুঝা যায় যে , মহিলা ডাক্তার সহ ওই মুহূর্তে ডিউটিরত অবস্থায় যাহারা ছিলেন এই প্রেসক্রিপশনটিতে এই হাসপাতাল থেকে চক বাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড পত্র লেখা হয়েছিল সচেতন মহলের নাগরীকরা, জানতে চান আসল রহস্য ব্যাপারে।
তাজনাহার আক্তার নুপুর এর মৃত্যুর ব্যাপারে শফিউল আজম বিল্ডিং এর ইনচার্জ তসলিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীকে বলেন,ভাই আমি এই ব্যাপারে জানি না,আমি নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে গিয়েছি, এরপরে আমি নামাজ শেষ করে চলে আসি,এসে দেখি তাজনাহার আক্তার নুপুর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে, না কি হয়েছে জানতে পারিনি, আমি দেখলাম ঐ মেয়ের বাবা মা সহ ঐ মেয়েকে হাতে হাতে ধরে অসুস্থতার কথা বলে নিচে নামিয়েছে।, এর পরে শুনতে পেলাম তাকে মেডিকেল নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার বাবা মায়ের মুখের কথা।
তাজনাহার আক্তার নুপুরের আত্নহত্যার ব্যাপারে শফিউল আজম বিল্ডিং এর মালিক শফিউল আজমের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি মুঠোফোনটি রিসিভ করেননি।
তাজনাহার আক্তার নুপুরের মৃত্যুর বিষয়টি ইপিজেড থানায় অবগত করার পরপরেই ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ কবিরুল ইসলাম থানা থেকে
এসআই শামীম সহ একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠান,পুলিশ আসার পরে
মৃত তাজনাহার আক্তার নুপুর এর বাবা ও চাচাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এই মেয়েটির কি হয়েছিল, ও কি হয়ে মারা গেছে বাবা-চাচার প্রশ্নের উত্তরে, জবাব দিলো, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে শ্বাসকষ্ট এলার্জি ছিল।,
তখন এস আই সামীম চেক করে তাদের কথা বিশ্বাস করে সে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রচার করেছিলেন।
আবার অন্য প্রশ্নের জবাবে , নুপুরের বাবা আত্মহত্যায় মৃত্যু কে, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে কাটিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, বলে মন্তব্য সাধারণ মানুষের।
পরে বিষয়টি আবারো দেখেন এসআই শামীম,প্রথমে মেয়েটাকে দেখে
বলেন এটা স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে,এর পরে,আর ও ভালোভাবে তদন্ত করেন ইপিজেড থানার সেকেন্ড অফিসার নুরুজ্জামান,তিনি বলেন এটা স্বাভাবিক মৃত্যু না গলায় ফাঁস লাগানো দাগ রয়েছে, বলে জানান ওখানে থাকা লোকজনকে। তিনি আরও বলেন মৃত ব্যক্তির লাশটি থানায় নেওয়া হয়েছে, এবং লাশটি
ময়নাতদন্তের জন্য আমরা মর্গে পাঠাব,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, আসার পরেই বলতে পারব এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি আত্মহত্যা হয়েছে।,বলে জানান ইপিজেড থানার সেকেন্ড অফিসার নুরুজ্জামান।পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ কবিরুল ইসলাম নিজেই চলে আসেন এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পরিদর্শন শেষে লাশটি মর্গে পাঠান।
এমন কি ঘটেছিল তার সাথে যে অকালে হারাতে হয়েছে সুন্দর তর তাজা একটি জীবন। ঘটনাস্থলের সিসি ফুটেজ খতিয়ে দেখলে আসল রহস্য উদঘাটন হতে পারে এই আত্মহত্যার বিস্তারিত আসছে চোখ রাখুন পরের সংবাদে।