সোনারগাঁয়ে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য উপ-সহকারি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিনের মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস
- আপডেট টাইম : ১০:০৫:২৫ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২
- / ২৭৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক জসিম উদ্দিন।।
সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত ইউনিয়ন ভূমি অফিস দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ওই অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন টাকা ছাড়া কোন কাজই করেন না। ভূমি সংক্রান্ত যেকোন সেবার বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। এই অফিসে গ্রাহকদের হয়রানি নিত্তনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারি, জমাভাগ, খাজনা আদায়, জমির পর্চা (খসড়া) তুলা সহ ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজে সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে অনৈতিক ভাবে বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে অনলাইন করার নাম করে। চুক্তির টাকা ছাড়া কোন ফাইলই নড়ে না। টাকা না দিলে নির্ধারিত সময়ে কোন কাজ আদায় করা যায় না। ওই ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রাহক থেকে বাড়তি টাকা নেয়ার পরও বিভিন্ন ভাবে হয়রারি করছে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অগোচরে মাঠ পর্যায়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে বলে জমির কাজে আসা ভূক্তভোগীদের দাবি।মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আসা এক গ্রাহক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, এই অফিসের কর্মচারী ১মহিলা দেরিতে অফিসে আসেন প্রায়ই। অনেক সময় উপ-সহকারি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার সুবাদে অফিসের উম্মদাররা ভূমি অফিসে কাজে আসা গ্রাহকদের কাজ সম্পাদনের বিষয়ে টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেন যার ভাগ ৫০%পান জালাল উদ্দিন।ভূমি অফিসে সি সি ক্যামেরা থাকলেও জথাজত ব্যবহার হচ্ছে না সাধারণ মানুষের দাবি।সেবা প্রাপ্তির ৮০ শতাংশ লোকই চরম হয়রানির শিকার হতে হয় আজ না-কাল সময়ক্ষেপন করে। সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত হারে দাবিকৃত উৎকোচ না দিলে সেবা গ্রহীতারা পান না তাদের কাঙ্খিত সেবা। ভূক্তভোগীরা জানান, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দুর্নীতি এমন চরমে পৌঁছেছে সরকারি নীতিমালার বাইরে চুক্তি অনুযায়ী মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া কোন নামজারি হয় না। নামজারির জন্য ১০ হাজার থেকে শুরু মোটা অংক আদায় করা হয় উপজেলা ভূমি অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন স্তরে ভাগ দেয়ার কথা বলে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করার জন্য সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মুস্তাফা মুন্না এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।