প্রতিবন্ধী মাইনুনার সুবিচারের দাবি অনুসন্ধানে সময়ের কন্ঠ।
- আপডেট টাইম : ০২:৫৭:৩৯ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২২
- / ২৫৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
আল মামুন
গাজীপুর।।
এবার সময়ের কন্ঠ পত্রিকার কাছে সুবিচারের দাবি জানায় নেত্রকোনা,কলমাকান্দা,বাঘবেড় গ্রামের মোঃ আব্দুল মতিনের মেয়ে মোসাঃ মাইনুনা আক্তার (১৮)।
জন্মগত ভাবেই প্রতিবন্ধী মাইনুনা।পা ফেলে হাটতে পারলেও খুব কষ্ট হয় হাটতে। বড় দুই বোনকে বিয়ে দিয়ে মায়ের সাথে থেকে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে প্রতিবন্ধী মাইনুনা। গত তিন মাস আগে নেত্রকোনা, কলমাকান্দা,চৈতা গ্রামের মোঃ আলতু মিয়ার ছেলে মোঃ শাহিনুর রহমানের(২৬) সাথে বিয়ে হয় প্রতিবন্ধী মাইনুনার।
বিয়ের পর থেকে সময় ভালো কাটলেও মা ও শাশুড়ির অত্যাচারের শীকারে বন্ধী হয় মাইনুনা। স্বামী শাহিনুর রহমান পেশায় ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালক। প্রতিবন্ধী মেয়ে মাইনুনাকে বিয়ে করার আগে গোপন রাখেন শাহিনুর রহমানের প্রথম বিয়ের কথা। তবে তা আর গোপন নেই, মাইনুনাকে বিয়ের দুই মাস পরেই শাহিনুর রহমানের প্রথম স্ত্রীর ঘরে জন্ম নেয় শাহিনুর রহমানের সন্তান।
এদিকে দ্বিতীয় বিয়ের বয়স ৩ মাস। শাহিনুর রহমান জেনে শুনেই বিয়ে করেছিলেন প্রতিবন্ধী মাইনুনাকে। জানা যায় যৌতুকের টাকা না দিতে পারায় বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করতো মাইনুনার শশুর শাশুড়ী ও স্বামী শাহিনুর রহমান। প্রতিবন্ধী মাইনুনার দাবি
কি হবে আমার?কোথায় যাবো আমি? কে দেখবে আমাকে?
বেচে থেকে কি পাবো আমার স্বামীর সংসার?
মাইনুনা আরও বলেন, জন্মের পর থেকে এ পর্যন্ত পা নিয়ে কষ্ট করে যাচ্ছি মৃত্যু পর্যন্ত কষ্ট করে যাবো।
আমি প্রতিবন্ধী জেনে আমাকে বিয়ে করেছে এখন আমার সাথে অন্যায় অত্যাচার করা হচ্ছে, আমি এর সঠিক বিচার চাই আমি আমার অধিকার চাই।
অনুসন্ধানে জানা যায় প্রতিবন্ধী বলেই তাকে রাখতে চায় না শাহিনুর রহমান।
এলাকাবাসীর মতামত জানতে চাইলে এলাকাবাসী বলেন, প্রথম স্ত্রী থাকা স্বত্বেও প্রতিবন্ধী মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করা তার উচিত হয়নি। এলাকাবাসী আরও বলেন প্রতিবন্দী মেয়ের সাথে অন্যায় করা হচ্ছে। সবশেষে শাহিনুর রহমান ও তার মা বলেন এ মেয়েকে তাদের সংসারে রাখা তাদের পক্ষে সম্ভব না। চুরান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য জাতীয় দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার কাছ থেকে ১ সপ্তাহের সময় নেন শাহিনুর ও তার পরিবার।