ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস দুই বছর পেছাবে বিশ্ব এগোবে বাংলাদেশ

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২২
  • ২৩০ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

করোনার ধাক্কা আরও দুই বছর ভোগাবে বিশ্বকে। বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোকে পরবর্তী দুই বছর কষ্ট করতে হবে। তবে এই প্রতিকূলতার মধ্যেও ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। এই সময়ে উন্নত বিশ্বের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমবে, বাড়বে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি। বিশ্ব ও বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে গতকাল বুধবার আশা-নিরাশার এমনই তথ্য দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, শক্তিশালী রপ্তানি প্রবৃদ্ধি, স্থানীয় চাহিদা ও মানুষের আয় বৃদ্ধি এবং প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারাই বাংলাদেশের পুনরুদ্ধারকে এগিয়ে নেবে। এর ফলে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হবে। অথচ একই সময়ে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ৪ দশমিক ১ শতাংশে নেমে যেতে পারে। আর ২০২৩ সালে তা আরও কমে ৩ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে বলে বলছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। আর স্থানীয়ভাবে বাড়ছে ভোগের চাহিদা। শ্রমজীবী মানুষ কাজে ফেরায় তাঁদের আয় বাড়ছে, প্রবাসী আয়ও ইতিবাচক ধারায় ফিরছে। এর ফলেই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি গতি পাচ্ছে। তবে বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২১-২৩ সময়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার অনেকটাই কমে আসবে। ২০১৮-১৯ সালে যেখানে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার ছিল ৪ শতাংশ, আর ২০২১-২৩ সালে তা কমে ২ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে ধারণা করছে সংস্থাটি।এ ব্যাপারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা ভালো খবর। তবে তারা যে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ বলছে, এটা ঠিক আছে। এটা পুরোটাই আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। দাম কিছুটা কমছে, আমরা এখন আগাম কিনে রাখতে পারি কি না, সেটা দেখা যেতে পারে। যেহেতু আমরা প্রবৃদ্ধির মধ্যে আছি, মানুষের আয় বাড়ছে, দারিদ্র্য থেকে উঠে আসছে, তারা একটু বেশি খরচ করছে, ভালো খাবে-পরবে। সুতরাং বাজারে চাপ পড়বে। দরকার হচ্ছে সরবরাহ ব্যবস্থাটা যাতে ঠিক থাকে সেটা দেখা। কৃষি খাতও ভালো করছে। আর রপ্তানি খাত যেহেতু খুব ভালো করছে, একে টেকসই করার জন্য বন্দরকে দক্ষ করা, রাজস্ব-সংক্রান্ত জটিলতা কমানোসহ প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দিতে হবে।’

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এ প্রতিবেদনের বিষয়ে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক যেটা বলতে চাচ্ছে সেটা হলো ২০২২ সালে অর্থনীতি একটা স্বাভাবিক জায়গায় চলে আসবে। উন্নত বিশ্বের প্রবৃদ্ধি তো খুব বেশি হয় না। ওদের ২-৩ শতাংশই অনেক বেশি। আর আমাদের মতো উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশে ৭-৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতেই পারে। করোনা থেকে উত্তরণের পরে স্বাভাবিকভাবে চাহিদা তৈরি হয়। বিশ্ব অর্থনীতি শ্লথ হয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নত বিশ্বকে হারিয়ে দেবে, এটা একটু বেশিই বলা হয়ে যাবে। বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বব্যাংক যে পূর্বাভাস দিয়েছে, দেশের রপ্তানি, আমদানি, ঋণপ্রবাহ, শিল্পোৎপাদনসহ অর্থনৈতিক সূচকের গতিপ্রকৃতি দেখলে ধারাটা সেদিকে যাচ্ছে বলেই মনে হয়। তা ছাড়া অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বেশ চাঙা। তবে চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি। আর এটা হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনা-পরবর্তী মানুষের বাড়তি ভোগ ব্যয়।’

বিশ্বব্যাংক তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পাশাপাশি ২০২২ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে করোনাসহ নানান ঝুঁকির কারণে এ প্রবৃদ্ধি ২০২৩ সালে আবার কমে ৬ শতাংশে নেমে আসবে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারার পেছনে পোশাক রপ্তানি খাতকে অন্যতম শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছে। এ বিষয়ে পোশাক মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা এত দিন যা বলেছি, তারই প্রতিফলন বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন। আমি মনে করি, আমরা ঠিক পথেই আছি। ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজেও আমরা বেশ ভালো করছি।

আমরা নতুন বাজার নিয়ে কাজ করছি, পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এবং ম্যান মেড ফাইবারকে অগ্রাধিকার দিতে সরকারের কাছে একটি সহায়তারও অনুরোধ করেছি। কাস্টমসসহ বিভিন্ন দপ্তরের আমলাতন্ত্র আমাদের কষ্ট দিচ্ছে। এটা কমাতে হবে। মুদ্রাকে রপ্তানিবান্ধব করতে হবে। এসব হলে চ্যালেঞ্জকে আমরা সম্ভাবনায় রূপান্তর করতে পারব।’

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সম্ভাবনার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশের জন্য বেশ কিছু ঝুঁকির দিকও তুলে ধরা হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, এ সময়ে করোনা সংক্রমণ বাড়া, আবারও পণ্য সরবরাহব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়া, জ্বালানি তেলের খরচ বেড়ে যাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অব্যাহত মূল্যস্ফীতি অর্থনীতির বড় ঝুঁকি হিসেবে দেখা দিতে পারে। সুদের হার বেড়ে যাওয়া, প্রকৃত আয় কমে যাওয়া, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া এবং আর্থিক খাতের দুর্বলতা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

সদ্য বিদায়ী বছরে বাংলাদেশ রপ্তানি খাতে ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছে। গত ডিসেম্বরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। দেশের ইতিহাসে এটা নতুন রেকর্ড। এর পাশাপাশি প্রবাসী আয়েও আগের টানা ছয় মাস নেতিবাচক ধারার পর ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। বিশ্বব্যাংক এ দুটি খাতকে সামনে অর্থনীতির মূল শক্তি হিসেবে দেখছে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস দুই বছর পেছাবে বিশ্ব এগোবে বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ১১:৩৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২২

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

করোনার ধাক্কা আরও দুই বছর ভোগাবে বিশ্বকে। বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোকে পরবর্তী দুই বছর কষ্ট করতে হবে। তবে এই প্রতিকূলতার মধ্যেও ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। এই সময়ে উন্নত বিশ্বের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমবে, বাড়বে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি। বিশ্ব ও বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে গতকাল বুধবার আশা-নিরাশার এমনই তথ্য দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, শক্তিশালী রপ্তানি প্রবৃদ্ধি, স্থানীয় চাহিদা ও মানুষের আয় বৃদ্ধি এবং প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারাই বাংলাদেশের পুনরুদ্ধারকে এগিয়ে নেবে। এর ফলে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হবে। অথচ একই সময়ে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ৪ দশমিক ১ শতাংশে নেমে যেতে পারে। আর ২০২৩ সালে তা আরও কমে ৩ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে বলে বলছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। আর স্থানীয়ভাবে বাড়ছে ভোগের চাহিদা। শ্রমজীবী মানুষ কাজে ফেরায় তাঁদের আয় বাড়ছে, প্রবাসী আয়ও ইতিবাচক ধারায় ফিরছে। এর ফলেই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি গতি পাচ্ছে। তবে বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২১-২৩ সময়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার অনেকটাই কমে আসবে। ২০১৮-১৯ সালে যেখানে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার ছিল ৪ শতাংশ, আর ২০২১-২৩ সালে তা কমে ২ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে ধারণা করছে সংস্থাটি।এ ব্যাপারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা ভালো খবর। তবে তারা যে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ বলছে, এটা ঠিক আছে। এটা পুরোটাই আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। দাম কিছুটা কমছে, আমরা এখন আগাম কিনে রাখতে পারি কি না, সেটা দেখা যেতে পারে। যেহেতু আমরা প্রবৃদ্ধির মধ্যে আছি, মানুষের আয় বাড়ছে, দারিদ্র্য থেকে উঠে আসছে, তারা একটু বেশি খরচ করছে, ভালো খাবে-পরবে। সুতরাং বাজারে চাপ পড়বে। দরকার হচ্ছে সরবরাহ ব্যবস্থাটা যাতে ঠিক থাকে সেটা দেখা। কৃষি খাতও ভালো করছে। আর রপ্তানি খাত যেহেতু খুব ভালো করছে, একে টেকসই করার জন্য বন্দরকে দক্ষ করা, রাজস্ব-সংক্রান্ত জটিলতা কমানোসহ প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দিতে হবে।’

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এ প্রতিবেদনের বিষয়ে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক যেটা বলতে চাচ্ছে সেটা হলো ২০২২ সালে অর্থনীতি একটা স্বাভাবিক জায়গায় চলে আসবে। উন্নত বিশ্বের প্রবৃদ্ধি তো খুব বেশি হয় না। ওদের ২-৩ শতাংশই অনেক বেশি। আর আমাদের মতো উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশে ৭-৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতেই পারে। করোনা থেকে উত্তরণের পরে স্বাভাবিকভাবে চাহিদা তৈরি হয়। বিশ্ব অর্থনীতি শ্লথ হয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নত বিশ্বকে হারিয়ে দেবে, এটা একটু বেশিই বলা হয়ে যাবে। বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বব্যাংক যে পূর্বাভাস দিয়েছে, দেশের রপ্তানি, আমদানি, ঋণপ্রবাহ, শিল্পোৎপাদনসহ অর্থনৈতিক সূচকের গতিপ্রকৃতি দেখলে ধারাটা সেদিকে যাচ্ছে বলেই মনে হয়। তা ছাড়া অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বেশ চাঙা। তবে চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি। আর এটা হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনা-পরবর্তী মানুষের বাড়তি ভোগ ব্যয়।’

বিশ্বব্যাংক তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পাশাপাশি ২০২২ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে করোনাসহ নানান ঝুঁকির কারণে এ প্রবৃদ্ধি ২০২৩ সালে আবার কমে ৬ শতাংশে নেমে আসবে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারার পেছনে পোশাক রপ্তানি খাতকে অন্যতম শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছে। এ বিষয়ে পোশাক মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা এত দিন যা বলেছি, তারই প্রতিফলন বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন। আমি মনে করি, আমরা ঠিক পথেই আছি। ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজেও আমরা বেশ ভালো করছি।

আমরা নতুন বাজার নিয়ে কাজ করছি, পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এবং ম্যান মেড ফাইবারকে অগ্রাধিকার দিতে সরকারের কাছে একটি সহায়তারও অনুরোধ করেছি। কাস্টমসসহ বিভিন্ন দপ্তরের আমলাতন্ত্র আমাদের কষ্ট দিচ্ছে। এটা কমাতে হবে। মুদ্রাকে রপ্তানিবান্ধব করতে হবে। এসব হলে চ্যালেঞ্জকে আমরা সম্ভাবনায় রূপান্তর করতে পারব।’

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সম্ভাবনার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশের জন্য বেশ কিছু ঝুঁকির দিকও তুলে ধরা হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, এ সময়ে করোনা সংক্রমণ বাড়া, আবারও পণ্য সরবরাহব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়া, জ্বালানি তেলের খরচ বেড়ে যাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অব্যাহত মূল্যস্ফীতি অর্থনীতির বড় ঝুঁকি হিসেবে দেখা দিতে পারে। সুদের হার বেড়ে যাওয়া, প্রকৃত আয় কমে যাওয়া, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া এবং আর্থিক খাতের দুর্বলতা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

সদ্য বিদায়ী বছরে বাংলাদেশ রপ্তানি খাতে ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছে। গত ডিসেম্বরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। দেশের ইতিহাসে এটা নতুন রেকর্ড। এর পাশাপাশি প্রবাসী আয়েও আগের টানা ছয় মাস নেতিবাচক ধারার পর ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। বিশ্বব্যাংক এ দুটি খাতকে সামনে অর্থনীতির মূল শক্তি হিসেবে দেখছে।