ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১

কেউ যেন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে: প্রধানমন্ত্রী

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখানে সব মানুষ তার ধর্ম পালন করবে স্বাধীনভাবে। আমাদের সংবিধানে সেই নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমাদের ইসলাম ধর্মও সেই কথাই বলে। নবী কারিমও (সা.) বলেছেন- ‘ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাও চাই- কেউ যেন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে।সব মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

ছোটভাই শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, রাসেল ছোটবেলা থেকে সহজ-সরল ছিল। তার কোনো দাবি ছিল না। তার স্বপ্ন ছিল, বড় হয়ে সেনা অফিসার হবে।সে কারণে ছোটবেলা থেকেই টুঙ্গিপাড়ায় শিশুদের নিয়ে প্যারেড করত। প্যারেড করার পর তাদের পুরস্কার হিসেবে এক টাকা করে দিত। সবাইকে জামা-কাপড়ও কিনে দিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ রাসেল নেই। কিন্তু এ দেশের হাজার হাজার শিশু যেন নিরাপত্তা পায়। তারা যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। মানুষের মতো মানুষ হতে পারে। তারা যেন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়। সুকান্তের ভাষায় বলি, ‘এ বিশ্বকে বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার অঙ্গীকার।’ বিশ্বকে পারব কি না জানি না, এ দেশকে যেন শিশুদের জন্য নিরাপদ করতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ করছি।সব শিশু যেন সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে সে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। সবাই দোয়া করবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের শিশুরা যেন আর নির্মমতার শিকার না হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এখনো সেটি দেখছি। খালেদা জিয়ার বিএনপি গাড়িতে আগুন দিয়ে বাপের সামনে শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছে।

এ সময় সুশীল সমাজের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানতবতার প্রশ্ন যারা তোলে- তারা যেন এসব ঘটনা দেখে যে বাংলাদেশে কী ঘটত?

জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনী পরিচালনায় দক্ষ দাবিদারদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ৭৫ থেকে ৮১’র মধ্যে ১৯টা ক্যু হয়েছিল। সেই সময়ের সেনাবাহিনী ডিসিপ্লিন দাবি করে কীভাবে? জিয়াউর রহমান শুধু জাতির পিতাকেই হত্যা করেনি, হাজার হাজার সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের ওপর জিয়ার অত্যাচারের খড়গ পরে তার দলও অব্যাহত রেখেছে।

প্রধানমন্ত্রী সভার সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

কেউ যেন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০২:৪৮:৩১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখানে সব মানুষ তার ধর্ম পালন করবে স্বাধীনভাবে। আমাদের সংবিধানে সেই নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমাদের ইসলাম ধর্মও সেই কথাই বলে। নবী কারিমও (সা.) বলেছেন- ‘ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাও চাই- কেউ যেন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে।সব মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

ছোটভাই শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, রাসেল ছোটবেলা থেকে সহজ-সরল ছিল। তার কোনো দাবি ছিল না। তার স্বপ্ন ছিল, বড় হয়ে সেনা অফিসার হবে।সে কারণে ছোটবেলা থেকেই টুঙ্গিপাড়ায় শিশুদের নিয়ে প্যারেড করত। প্যারেড করার পর তাদের পুরস্কার হিসেবে এক টাকা করে দিত। সবাইকে জামা-কাপড়ও কিনে দিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ রাসেল নেই। কিন্তু এ দেশের হাজার হাজার শিশু যেন নিরাপত্তা পায়। তারা যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। মানুষের মতো মানুষ হতে পারে। তারা যেন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়। সুকান্তের ভাষায় বলি, ‘এ বিশ্বকে বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার অঙ্গীকার।’ বিশ্বকে পারব কি না জানি না, এ দেশকে যেন শিশুদের জন্য নিরাপদ করতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ করছি।সব শিশু যেন সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে সে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। সবাই দোয়া করবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের শিশুরা যেন আর নির্মমতার শিকার না হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এখনো সেটি দেখছি। খালেদা জিয়ার বিএনপি গাড়িতে আগুন দিয়ে বাপের সামনে শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছে।

এ সময় সুশীল সমাজের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানতবতার প্রশ্ন যারা তোলে- তারা যেন এসব ঘটনা দেখে যে বাংলাদেশে কী ঘটত?

জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনী পরিচালনায় দক্ষ দাবিদারদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ৭৫ থেকে ৮১’র মধ্যে ১৯টা ক্যু হয়েছিল। সেই সময়ের সেনাবাহিনী ডিসিপ্লিন দাবি করে কীভাবে? জিয়াউর রহমান শুধু জাতির পিতাকেই হত্যা করেনি, হাজার হাজার সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের ওপর জিয়ার অত্যাচারের খড়গ পরে তার দলও অব্যাহত রেখেছে।

প্রধানমন্ত্রী সভার সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ বক্তব্য দেন।