ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে বাফুফের নিবন্ধন লাভ করেছে দক্ষিণ হালিশহর ফুটবল একাডেমি কোস্ট গার্ডের আয়োজনে নৌপথ ও সুন্দরবনের নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা সভা রুলার সরকার না থাকায় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন রকম অসুবিধায় রয়েছে।। ঠাকুরগাঁওয়ে ভার্চুয়ালি মির্জা ফখরুল ইসলাম ৫ আগস্টের পর সব রাজবন্দি মুক্তি পেলেন, আজহার পেলেন না এবার করা হলো শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা ও জাতীয় ন্যূনতম মজুরির সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন কাকরাইল আগুরাগলি এলাকায় মজুমদার ভিলা—৯৪ নং আবাসিক ভবন রাজউক কর্তক অবৈধ নকশায় নির্মাণ করার প্রমাণিত হওয়ায় মালিককে চিঠি পর্ব ২ শ্রীপুরে ওসি’র ঘুষ লেনদেনের অডিও ভাইরাল গুলশানে র‍্যাবের ক্যাশিয়ার শাহ আলমের ইস্পায় গড়ে তুলেছে অপরাধের আখড়া। পর্ব ২ জানাযায় প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কতটুকু নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রী সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান কর্মসূচি

সুন্দরগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
  • / ২৬০ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এবছর রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের অধিক সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলায় এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় উঁচু নিচু সব জমিতে সমানভাবে উঠতি রোপা আমন ধানের চারা বেড়ে ওঠার সবুজ দৃশ্য। যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই লক্ষ করা গেছে কৃষকের সবুজ স্বপ্ন। বিশেষ করে স্থানীয় জাতের বিনা ধান- ১৭, ব্রি ধান-৭০,৭১,৭৫, ৮০,৮৭ উল্লেখ যোগ্য। এছাড়া হাইব্রিড এরাইজ, মানা গোল্ড ও বায়ার-৬ ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে হওয়ায় এবং কৃষি অধিদপ্তরের নিয়মিত তদারকির ফলে ক্ষেতের মাঠে পোকামাকড়ের উপদ্রব নাই বললেই চলে। যার কারণে যে যেখানে ধান রোপণ করেছে সেখানেই বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ধানে ধানে পূর্ণ হবে কৃষকের গোলা। ইতোমধ্যেই কৃষকদের মনে আশার আলো লক্ষ করা গেছে। শান্তিরাম ইউনিয়নের পশ্চিম পরাণ গ্রামের কৃষক মসলিম উদ্দিন জানান,মুই বারো বিঘা জমিত ধান গাড়ছোম আল্লাহ কোনো দইবোদশা না দিলে অনেক ধান পাইম।ধানের দামও ভালো পাওয়া যাইবে ইনশাল্লাহ। রামজীবন ইউনিয়নের কৃষক কলিম উদ্দিন বলেন, কৃষি স্যারের ঘরে সহযোগিতায় আমার ধান একদম পোকামাকড় ও রোগব্যাধি মুক্ত। কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে এবছর উপজেলায় রোপা আমন ধানের লক্ষ মাত্রা ছিল,২৮ হাজার ১৯৩ হেক্টর। অর্জন হয়েছে, ২৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি। তন্মধ্যে এই প্রথম বারের মত ৫৪৭ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধান রোপণ করা হয়েছে। আর বাকী জমিগুলোতে রোপন করা হয়েছে উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান। উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় কৃষি অফিসারের দিকনির্দেশনায় ২ জন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার এবং ৪৬ জন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার দেখভাল করেন।
এনিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ ফরিদুল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ক্ষেতের মাঠের অবস্থা অত্যন্ত ভাল। কোন রোগবালাই নাই। আমরা কৃষকের সমস্যা সমাধানে সবসময় পাশে আছি। এব্যাপারে কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবিরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে দু একটি জমিতে পাতা হলদে ভাব সৃষ্টি হলে আমরা দ্রুত প্রচার-প্রচারণা ও কৃষকদের নিয়ে পরামর্শ সভা করি। এতে করে ধানের চারা স্বাভাবিক হয়। সবি মিলে দেখা যাচ্ছে সুন্দরগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে ইনশাআল্লাহ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সুন্দরগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এবছর রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের অধিক সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলায় এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় উঁচু নিচু সব জমিতে সমানভাবে উঠতি রোপা আমন ধানের চারা বেড়ে ওঠার সবুজ দৃশ্য। যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই লক্ষ করা গেছে কৃষকের সবুজ স্বপ্ন। বিশেষ করে স্থানীয় জাতের বিনা ধান- ১৭, ব্রি ধান-৭০,৭১,৭৫, ৮০,৮৭ উল্লেখ যোগ্য। এছাড়া হাইব্রিড এরাইজ, মানা গোল্ড ও বায়ার-৬ ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে হওয়ায় এবং কৃষি অধিদপ্তরের নিয়মিত তদারকির ফলে ক্ষেতের মাঠে পোকামাকড়ের উপদ্রব নাই বললেই চলে। যার কারণে যে যেখানে ধান রোপণ করেছে সেখানেই বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ধানে ধানে পূর্ণ হবে কৃষকের গোলা। ইতোমধ্যেই কৃষকদের মনে আশার আলো লক্ষ করা গেছে। শান্তিরাম ইউনিয়নের পশ্চিম পরাণ গ্রামের কৃষক মসলিম উদ্দিন জানান,মুই বারো বিঘা জমিত ধান গাড়ছোম আল্লাহ কোনো দইবোদশা না দিলে অনেক ধান পাইম।ধানের দামও ভালো পাওয়া যাইবে ইনশাল্লাহ। রামজীবন ইউনিয়নের কৃষক কলিম উদ্দিন বলেন, কৃষি স্যারের ঘরে সহযোগিতায় আমার ধান একদম পোকামাকড় ও রোগব্যাধি মুক্ত। কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে এবছর উপজেলায় রোপা আমন ধানের লক্ষ মাত্রা ছিল,২৮ হাজার ১৯৩ হেক্টর। অর্জন হয়েছে, ২৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি। তন্মধ্যে এই প্রথম বারের মত ৫৪৭ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধান রোপণ করা হয়েছে। আর বাকী জমিগুলোতে রোপন করা হয়েছে উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান। উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় কৃষি অফিসারের দিকনির্দেশনায় ২ জন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার এবং ৪৬ জন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার দেখভাল করেন।
এনিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ ফরিদুল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ক্ষেতের মাঠের অবস্থা অত্যন্ত ভাল। কোন রোগবালাই নাই। আমরা কৃষকের সমস্যা সমাধানে সবসময় পাশে আছি। এব্যাপারে কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবিরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে দু একটি জমিতে পাতা হলদে ভাব সৃষ্টি হলে আমরা দ্রুত প্রচার-প্রচারণা ও কৃষকদের নিয়ে পরামর্শ সভা করি। এতে করে ধানের চারা স্বাভাবিক হয়। সবি মিলে দেখা যাচ্ছে সুন্দরগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে ইনশাআল্লাহ।