ঢাকা ০৫:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত কঠিন সময়ে কীভাবে পাশে ছিলেন স্ত্রী, জানালেন কোহলি ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির মেগা মানডে’: ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুন্দরগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:২৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
  • / ২১৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এবছর রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের অধিক সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলায় এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় উঁচু নিচু সব জমিতে সমানভাবে উঠতি রোপা আমন ধানের চারা বেড়ে ওঠার সবুজ দৃশ্য। যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই লক্ষ করা গেছে কৃষকের সবুজ স্বপ্ন। বিশেষ করে স্থানীয় জাতের বিনা ধান- ১৭, ব্রি ধান-৭০,৭১,৭৫, ৮০,৮৭ উল্লেখ যোগ্য। এছাড়া হাইব্রিড এরাইজ, মানা গোল্ড ও বায়ার-৬ ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে হওয়ায় এবং কৃষি অধিদপ্তরের নিয়মিত তদারকির ফলে ক্ষেতের মাঠে পোকামাকড়ের উপদ্রব নাই বললেই চলে। যার কারণে যে যেখানে ধান রোপণ করেছে সেখানেই বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ধানে ধানে পূর্ণ হবে কৃষকের গোলা। ইতোমধ্যেই কৃষকদের মনে আশার আলো লক্ষ করা গেছে। শান্তিরাম ইউনিয়নের পশ্চিম পরাণ গ্রামের কৃষক মসলিম উদ্দিন জানান,মুই বারো বিঘা জমিত ধান গাড়ছোম আল্লাহ কোনো দইবোদশা না দিলে অনেক ধান পাইম।ধানের দামও ভালো পাওয়া যাইবে ইনশাল্লাহ। রামজীবন ইউনিয়নের কৃষক কলিম উদ্দিন বলেন, কৃষি স্যারের ঘরে সহযোগিতায় আমার ধান একদম পোকামাকড় ও রোগব্যাধি মুক্ত। কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে এবছর উপজেলায় রোপা আমন ধানের লক্ষ মাত্রা ছিল,২৮ হাজার ১৯৩ হেক্টর। অর্জন হয়েছে, ২৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি। তন্মধ্যে এই প্রথম বারের মত ৫৪৭ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধান রোপণ করা হয়েছে। আর বাকী জমিগুলোতে রোপন করা হয়েছে উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান। উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় কৃষি অফিসারের দিকনির্দেশনায় ২ জন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার এবং ৪৬ জন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার দেখভাল করেন।
এনিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ ফরিদুল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ক্ষেতের মাঠের অবস্থা অত্যন্ত ভাল। কোন রোগবালাই নাই। আমরা কৃষকের সমস্যা সমাধানে সবসময় পাশে আছি। এব্যাপারে কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবিরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে দু একটি জমিতে পাতা হলদে ভাব সৃষ্টি হলে আমরা দ্রুত প্রচার-প্রচারণা ও কৃষকদের নিয়ে পরামর্শ সভা করি। এতে করে ধানের চারা স্বাভাবিক হয়। সবি মিলে দেখা যাচ্ছে সুন্দরগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে ইনশাআল্লাহ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সুন্দরগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:২৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এবছর রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের অধিক সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলায় এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় উঁচু নিচু সব জমিতে সমানভাবে উঠতি রোপা আমন ধানের চারা বেড়ে ওঠার সবুজ দৃশ্য। যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই লক্ষ করা গেছে কৃষকের সবুজ স্বপ্ন। বিশেষ করে স্থানীয় জাতের বিনা ধান- ১৭, ব্রি ধান-৭০,৭১,৭৫, ৮০,৮৭ উল্লেখ যোগ্য। এছাড়া হাইব্রিড এরাইজ, মানা গোল্ড ও বায়ার-৬ ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে হওয়ায় এবং কৃষি অধিদপ্তরের নিয়মিত তদারকির ফলে ক্ষেতের মাঠে পোকামাকড়ের উপদ্রব নাই বললেই চলে। যার কারণে যে যেখানে ধান রোপণ করেছে সেখানেই বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ধানে ধানে পূর্ণ হবে কৃষকের গোলা। ইতোমধ্যেই কৃষকদের মনে আশার আলো লক্ষ করা গেছে। শান্তিরাম ইউনিয়নের পশ্চিম পরাণ গ্রামের কৃষক মসলিম উদ্দিন জানান,মুই বারো বিঘা জমিত ধান গাড়ছোম আল্লাহ কোনো দইবোদশা না দিলে অনেক ধান পাইম।ধানের দামও ভালো পাওয়া যাইবে ইনশাল্লাহ। রামজীবন ইউনিয়নের কৃষক কলিম উদ্দিন বলেন, কৃষি স্যারের ঘরে সহযোগিতায় আমার ধান একদম পোকামাকড় ও রোগব্যাধি মুক্ত। কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে এবছর উপজেলায় রোপা আমন ধানের লক্ষ মাত্রা ছিল,২৮ হাজার ১৯৩ হেক্টর। অর্জন হয়েছে, ২৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি। তন্মধ্যে এই প্রথম বারের মত ৫৪৭ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধান রোপণ করা হয়েছে। আর বাকী জমিগুলোতে রোপন করা হয়েছে উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান। উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় কৃষি অফিসারের দিকনির্দেশনায় ২ জন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার এবং ৪৬ জন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার দেখভাল করেন।
এনিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ ফরিদুল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ক্ষেতের মাঠের অবস্থা অত্যন্ত ভাল। কোন রোগবালাই নাই। আমরা কৃষকের সমস্যা সমাধানে সবসময় পাশে আছি। এব্যাপারে কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবিরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে দু একটি জমিতে পাতা হলদে ভাব সৃষ্টি হলে আমরা দ্রুত প্রচার-প্রচারণা ও কৃষকদের নিয়ে পরামর্শ সভা করি। এতে করে ধানের চারা স্বাভাবিক হয়। সবি মিলে দেখা যাচ্ছে সুন্দরগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে ইনশাআল্লাহ।