ঢাকা ০৭:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ জায়নবাদী শাসন ব্যবস্থা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে: বিজয়ের ঘোষণা দিলেন খামেনি রিভিউ নিয়ে এবার সফল তাইজুল, বাংলাদেশ পেল ব্রেক থ্রু সাবেক তিন ইসির বিরুদ্ধে মামলায় যুক্ত হলো রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ খামেনির অনুপস্থিতি ঘিরে জল্পনা, উদ্বিগ্ন ইরানিরা আউয়ালের সঙ্গে নুরুল হুদার ফের ১০ দিনের রিমান্ড চাইল পুলিশ ঘোড়াশালে ভাই ভাই হোটেল ও বেকারিকে জরিমানা জমি দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে, এলাকাবাসীর মানবন্ধন জুতার মালা পরানোয় মায়াকান্না করছেন, গুমের জন্য তো সহানুভূতি শুনলাম না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইল ইরান, জাতিসংঘে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি

বিরক্ত হয়ে নিজের বাইকেই আগুন দিলেন পাঠাও চালক

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৮৫ ৪৪৯০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

ট্রাফিক পুলিশের ওপর বিরক্ত হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন পাঠাও চালক।

সোমবার সকালে রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। বাইক পোড়ানোর সেই ঘটনায় পথচারীরা ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছেন, যা ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ফুটপাতের পাশের ড্রেনঘেঁষে দাঁড় করানো মোটরসাইকেলটি দাউ দাউ করে জ্বলছে। ওই মোটরসাইকেলচালক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। রাস্তায় এদিক-ওদিকে চিৎকার করে কিছু একটা বলছেন। একসময় হাতে থাকা হেলমেটটি জ্বলতে থাকা মোটরসাইকেলের ওপর ছুড়ে মারেন। এ সময় আশপাশের লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তিনি বাধা দেন। আগুন নেভাতে মগে করে পানি নিয়ে আসেন এক যুবক। তবে তাকে বাধা দেন পাঠাও চালক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ও বাড্ডা থানা পুলিশ জানিয়েছে, পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটির মালিকের নাম শওকত আলী। ট্রাফিক পুলিশ তার থেকে বাহনের কাগজপত্র ও লাইসেন্স দেখতে চাইলে এ নিয়ে বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে শওকত আলী নিজেই পেট্রল দিয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাকে পুলিশ বাড্ডা থানায় নিয়ে গেলেও ছেড়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ছোট দোকান চালিয়ে সংসার চালাতেন শওকত আলী। করোনায় ব্যবসাটিও বন্ধ হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে গত কয়েক মাস ধরে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করে সংসার চালাচ্ছিলেন তিনি।

গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘মোটরসাইকেলগুলো রাস্তার পাশে এমনভাবে দাঁড় করিয়ে রাখে, এতে গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। গুলশানের লিংক রোডে যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট মোটরসাইকেলচালকদের কাগজপত্র নেন। আর সবার মতো শওকত আলীরও কাগজপত্র চেক করতে চায় দায়িত্বরত পুলিশ। তার কাগজপত্র নেওয়া হলেও তার মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি। মামলা দেওয়ার আগেই তিনি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।’

বাড্ডা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ যুগান্তরকে বলেন, ‘বাইক পোড়ানোর ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে শওকত আলীকে থানায় এনে এ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। আটকের উদ্দেশ্যে নয়; থানায় এসে তিনি আমাকে জানিয়েছেন— আগেও কয়েকটি মামলা হয়েছে তার গাড়ির বিরুদ্ধে। আজকে যখন পুলিশ তার কাগজপত্র নিয়েছে, তখন তিনি হতাশায় নিজের গাড়িতে আগুন দিয়েছেন। তার কাগজপত্র নেওয়া হলেও তার মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি। মামলা দেওয়ার আগেই তিনি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।’

 

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিরক্ত হয়ে নিজের বাইকেই আগুন দিলেন পাঠাও চালক

আপডেট টাইম : ০৯:৫৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

ট্রাফিক পুলিশের ওপর বিরক্ত হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন পাঠাও চালক।

সোমবার সকালে রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। বাইক পোড়ানোর সেই ঘটনায় পথচারীরা ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছেন, যা ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ফুটপাতের পাশের ড্রেনঘেঁষে দাঁড় করানো মোটরসাইকেলটি দাউ দাউ করে জ্বলছে। ওই মোটরসাইকেলচালক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। রাস্তায় এদিক-ওদিকে চিৎকার করে কিছু একটা বলছেন। একসময় হাতে থাকা হেলমেটটি জ্বলতে থাকা মোটরসাইকেলের ওপর ছুড়ে মারেন। এ সময় আশপাশের লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তিনি বাধা দেন। আগুন নেভাতে মগে করে পানি নিয়ে আসেন এক যুবক। তবে তাকে বাধা দেন পাঠাও চালক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ও বাড্ডা থানা পুলিশ জানিয়েছে, পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটির মালিকের নাম শওকত আলী। ট্রাফিক পুলিশ তার থেকে বাহনের কাগজপত্র ও লাইসেন্স দেখতে চাইলে এ নিয়ে বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে শওকত আলী নিজেই পেট্রল দিয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাকে পুলিশ বাড্ডা থানায় নিয়ে গেলেও ছেড়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ছোট দোকান চালিয়ে সংসার চালাতেন শওকত আলী। করোনায় ব্যবসাটিও বন্ধ হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে গত কয়েক মাস ধরে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করে সংসার চালাচ্ছিলেন তিনি।

গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘মোটরসাইকেলগুলো রাস্তার পাশে এমনভাবে দাঁড় করিয়ে রাখে, এতে গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। গুলশানের লিংক রোডে যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট মোটরসাইকেলচালকদের কাগজপত্র নেন। আর সবার মতো শওকত আলীরও কাগজপত্র চেক করতে চায় দায়িত্বরত পুলিশ। তার কাগজপত্র নেওয়া হলেও তার মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি। মামলা দেওয়ার আগেই তিনি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।’

বাড্ডা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ যুগান্তরকে বলেন, ‘বাইক পোড়ানোর ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে শওকত আলীকে থানায় এনে এ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। আটকের উদ্দেশ্যে নয়; থানায় এসে তিনি আমাকে জানিয়েছেন— আগেও কয়েকটি মামলা হয়েছে তার গাড়ির বিরুদ্ধে। আজকে যখন পুলিশ তার কাগজপত্র নিয়েছে, তখন তিনি হতাশায় নিজের গাড়িতে আগুন দিয়েছেন। তার কাগজপত্র নেওয়া হলেও তার মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি। মামলা দেওয়ার আগেই তিনি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।’