ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড আজমিরীগঞ্জে  বিয়ের ছয় মাস পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে

নির্মাণের পথে স্বপ্নের ‘শোভনছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়’, সহযোগিতার আহবান।

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৭:১৭ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৪১৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

ফটিকছড়ির সুয়াবিল ইউনিয়নের একটি অবহেলিত জনপদ ‘শোভনছড়ি গ্রাম’। এই গ্রামে বাঙ্গালী-পাহাড়ী মিলে কয়েক’শ পরিবারের বসতি হলেও নেই কোন উচ্চ বিদ্যালয়। কৃষি এই গ্রামের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের প্রধান পেশা। ভৌগলিক অবস্থান এবং মানুষের নিম্ন আয়ের কারণে এখানকার মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেকটা পিছিয়ে। তার উপর আশে-পাশে কোন উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় গ্রামের শত শত শিক্ষার্থীকে ১০ কি.মি দূরে গিয়ে মাধ্যমিকের পাঠ চুকাতে হয়। বরষা-বাদল ছাড়াও পাহাড়ী পথ বেয়ে তীব্র গরমে পায়ে হেঁটে কোমলমতী ছেলে মেয়েদের যেতে হয় স্কুলে ৷ ফলে মাঝপথেই প্রাথমিক শিক্ষার পর বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর পড়া-শোনা বন্ধ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে শোভনছড়ির একদল স্বপ্নবাজ তরুণ স্বপ্ন দেখে বিদ্যালয় নির্মাণের, শুরু হয় নানা উদ্যোগ।

উচ্চতর শিক্ষা থেকে এ জনগোষ্ঠীর পিঁছিয়ে পরার অসহায়ত্ব নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন করে ‘দৈনিক ফটিকছড়ির খবর’। ওই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নজরে আসে। বিদ্যালয় নির্মাণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় এলাকার বিত্ত্বশালী ও প্রবাসীরা।

বিদ্যালয় নির্মাণে তহবিলে পরা অনুদানের টাকায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে সুয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ৯৬ শতক জায়গার বায়নাপত্র করা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ও স্থানীয় ইউপি সদস‍্যগনের উপস্থিতিতে জমি বিক্রেতা গংদের সাথে বায়নানামা দলিল হয়। জমি গ্রহিতা (প্রস্তাবিত) শোভন ছড়ি উচ্চ বিদ‍্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি এম. নুরুল আলম নুরু, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মাহবুবুল আলম , সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম তালুকদার, সহ-সভাপতি বেলাল উদ্দিন মেম্বার, অর্থ সম্পাদক মিন্টু কুমার চৌধুরী মেম্বার , হামিদুর রহমান মেম্বার প্রমূখ। বায়নানামার পর সাংগঠনিক কমিটি ও স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে প্রস্তাবিত শোভনছড়ি উচ্চ বিদ‍্যালয়ের নির্ধারিত জায়গায় সাইন বোর্ড স্থাপন করা হয়।

বায়না নামার মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ের স্বপ্ন পূ্রণ আরো একধাপ এগিয়ে গেল। জায়গা ক্রয়ে আরো বিপুল সংখ্যক অর্থের প্রয়োজন। তাই সমাজের বিত্ত্বশালী ও প্রবাসীদের কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়েছেন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকল্পে গঠিত সাংগঠনিক কমিটি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নির্মাণের পথে স্বপ্নের ‘শোভনছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়’, সহযোগিতার আহবান।

আপডেট টাইম : ০৫:২৭:১৭ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

ফটিকছড়ির সুয়াবিল ইউনিয়নের একটি অবহেলিত জনপদ ‘শোভনছড়ি গ্রাম’। এই গ্রামে বাঙ্গালী-পাহাড়ী মিলে কয়েক’শ পরিবারের বসতি হলেও নেই কোন উচ্চ বিদ্যালয়। কৃষি এই গ্রামের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের প্রধান পেশা। ভৌগলিক অবস্থান এবং মানুষের নিম্ন আয়ের কারণে এখানকার মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেকটা পিছিয়ে। তার উপর আশে-পাশে কোন উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় গ্রামের শত শত শিক্ষার্থীকে ১০ কি.মি দূরে গিয়ে মাধ্যমিকের পাঠ চুকাতে হয়। বরষা-বাদল ছাড়াও পাহাড়ী পথ বেয়ে তীব্র গরমে পায়ে হেঁটে কোমলমতী ছেলে মেয়েদের যেতে হয় স্কুলে ৷ ফলে মাঝপথেই প্রাথমিক শিক্ষার পর বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর পড়া-শোনা বন্ধ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে শোভনছড়ির একদল স্বপ্নবাজ তরুণ স্বপ্ন দেখে বিদ্যালয় নির্মাণের, শুরু হয় নানা উদ্যোগ।

উচ্চতর শিক্ষা থেকে এ জনগোষ্ঠীর পিঁছিয়ে পরার অসহায়ত্ব নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন করে ‘দৈনিক ফটিকছড়ির খবর’। ওই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নজরে আসে। বিদ্যালয় নির্মাণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় এলাকার বিত্ত্বশালী ও প্রবাসীরা।

বিদ্যালয় নির্মাণে তহবিলে পরা অনুদানের টাকায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে সুয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ৯৬ শতক জায়গার বায়নাপত্র করা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ও স্থানীয় ইউপি সদস‍্যগনের উপস্থিতিতে জমি বিক্রেতা গংদের সাথে বায়নানামা দলিল হয়। জমি গ্রহিতা (প্রস্তাবিত) শোভন ছড়ি উচ্চ বিদ‍্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি এম. নুরুল আলম নুরু, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মাহবুবুল আলম , সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম তালুকদার, সহ-সভাপতি বেলাল উদ্দিন মেম্বার, অর্থ সম্পাদক মিন্টু কুমার চৌধুরী মেম্বার , হামিদুর রহমান মেম্বার প্রমূখ। বায়নানামার পর সাংগঠনিক কমিটি ও স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে প্রস্তাবিত শোভনছড়ি উচ্চ বিদ‍্যালয়ের নির্ধারিত জায়গায় সাইন বোর্ড স্থাপন করা হয়।

বায়না নামার মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ের স্বপ্ন পূ্রণ আরো একধাপ এগিয়ে গেল। জায়গা ক্রয়ে আরো বিপুল সংখ্যক অর্থের প্রয়োজন। তাই সমাজের বিত্ত্বশালী ও প্রবাসীদের কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়েছেন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকল্পে গঠিত সাংগঠনিক কমিটি।