ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অস্ত্রপচারের জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অটোরিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে ভৈরবে রেলওয়ে জংশনের সামনে সিগন্যালের তার সহ ২জন চোর গ্রেফতার মোংলায় সহকারি অ্যাটর্ণি জেনারেল মনিরুজ্জামান: গণঅভ্যুত্থানের গণআকাংখা হলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সুশাসন নিশ্চিত করা সংস্কার সংস্কারের মত চলবে, নির্বাচন নির্বাচনের মত// প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর আমাদের জন্য ইতিবাচক ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নাড়ির টানে গ্রামে সবাই, রাজধানী ‘ফাঁকা’ ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে প্রাণচাঞ্চল্য,পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত হোটেল-রিসোর্ট রাফা খালি করে দিতে বলল ইসরাইলি বাহিনী আজমিরীগঞ্জে বাড়ির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে আহত শিশু সহ আহত ৯ আমেরিকা হামলা চালালে ইরানও ‘কঠোর জবাব’ দেবে: খামেনি ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ

গত বছর ধর্ষণসহ নির্যাতনের শিকার ৩৪৪০ নারী ও শিশু মহিলা পরিষদের তথ্য

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৩০৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

বিগত ২০২০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১২ মাসে শুধু গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনার তথ্য অনুয়ায়ী, ১ হাজার ৩৪৬ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে মোট ৩ হাজার ৪৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে মহিলা পরিষদ। সংগঠনের লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে সংগঠনটি এই তথ্য জানায়।

পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২০ সালের মোট ৩৪৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তার মধ্যে ১০৭৪ জন ধর্ষণের শিকার হন। ২৩৬ জন গণধর্ষণে ও ৩৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। তিন জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যাসহ মোট ১৩৪৬ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ২০০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৪৩ জন। ৭৪ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। অ্যাসিড দগ্ধের শিকার হয়েছে ২৫ জন। তার মধ্যে অ্যাসিড দগ্ধের কারণে মৃত্যু হয় চার জনের। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ২৯ জন, তারমধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৫৯ জন। অপহূত হয়েছে ১২৫ জন। পাচারের শিকার হয়েছে ১০১ জন, তার মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয় চার জনকে। বিভিন্ন কারণে ৪৬৮ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৩৫ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতিত হয়েছে ১১৭ জন। তার মধ্যে ৫২ জন যৌতুকের কারণে হত্যা করেছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫৯ জন। ২৫২ জন নারী ও কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ১১৭টি, তার মধ্যে বাল্যবিয়ের চেষ্টা হয়েছে ৩৩টি ঘটনা। সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার হয়েছে ৪৩ জন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গত বছর ধর্ষণসহ নির্যাতনের শিকার ৩৪৪০ নারী ও শিশু মহিলা পরিষদের তথ্য

আপডেট টাইম : ০৬:৩২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

বিগত ২০২০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১২ মাসে শুধু গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনার তথ্য অনুয়ায়ী, ১ হাজার ৩৪৬ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে মোট ৩ হাজার ৪৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে মহিলা পরিষদ। সংগঠনের লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে সংগঠনটি এই তথ্য জানায়।

পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২০ সালের মোট ৩৪৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তার মধ্যে ১০৭৪ জন ধর্ষণের শিকার হন। ২৩৬ জন গণধর্ষণে ও ৩৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। তিন জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যাসহ মোট ১৩৪৬ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ২০০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৪৩ জন। ৭৪ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। অ্যাসিড দগ্ধের শিকার হয়েছে ২৫ জন। তার মধ্যে অ্যাসিড দগ্ধের কারণে মৃত্যু হয় চার জনের। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ২৯ জন, তারমধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৫৯ জন। অপহূত হয়েছে ১২৫ জন। পাচারের শিকার হয়েছে ১০১ জন, তার মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয় চার জনকে। বিভিন্ন কারণে ৪৬৮ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৩৫ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতিত হয়েছে ১১৭ জন। তার মধ্যে ৫২ জন যৌতুকের কারণে হত্যা করেছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫৯ জন। ২৫২ জন নারী ও কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ১১৭টি, তার মধ্যে বাল্যবিয়ের চেষ্টা হয়েছে ৩৩টি ঘটনা। সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার হয়েছে ৪৩ জন।