ঢাকা ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নিতে জাতিসংঘকে আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাকরাইলে জাল জালিয়াতির রাজউক নকশার মাধ্যমে গড়ে তোলেন বহুতল ভবন কোস্ট গার্ডের অভিযানে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটকসহ জিম্মি থাকা দুই জেলে উদ্ধার ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ ইউনিফর্ম ও অস্ত্রধারী আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌম সীমা লঙ্ঘন করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ : মিয়া গোলাম পরওয়ার চকলেটের লোভ দেখিয়ে কিন্ডার গার্টেনের শিশুদের মাদ্রাসায় উপস্থাপন// ঠাকুরগাঁওয়ে দুদকে ধরা ভুয়া মাদ্রাসা কান্ড পুরোনো চেহারায় ফিরবে আওয়ামী লীগ, তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান

গত বছর ধর্ষণসহ নির্যাতনের শিকার ৩৪৪০ নারী ও শিশু মহিলা পরিষদের তথ্য

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৩১৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

বিগত ২০২০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১২ মাসে শুধু গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনার তথ্য অনুয়ায়ী, ১ হাজার ৩৪৬ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে মোট ৩ হাজার ৪৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে মহিলা পরিষদ। সংগঠনের লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে সংগঠনটি এই তথ্য জানায়।

পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২০ সালের মোট ৩৪৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তার মধ্যে ১০৭৪ জন ধর্ষণের শিকার হন। ২৩৬ জন গণধর্ষণে ও ৩৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। তিন জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যাসহ মোট ১৩৪৬ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ২০০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৪৩ জন। ৭৪ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। অ্যাসিড দগ্ধের শিকার হয়েছে ২৫ জন। তার মধ্যে অ্যাসিড দগ্ধের কারণে মৃত্যু হয় চার জনের। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ২৯ জন, তারমধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৫৯ জন। অপহূত হয়েছে ১২৫ জন। পাচারের শিকার হয়েছে ১০১ জন, তার মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয় চার জনকে। বিভিন্ন কারণে ৪৬৮ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৩৫ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতিত হয়েছে ১১৭ জন। তার মধ্যে ৫২ জন যৌতুকের কারণে হত্যা করেছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫৯ জন। ২৫২ জন নারী ও কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ১১৭টি, তার মধ্যে বাল্যবিয়ের চেষ্টা হয়েছে ৩৩টি ঘটনা। সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার হয়েছে ৪৩ জন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গত বছর ধর্ষণসহ নির্যাতনের শিকার ৩৪৪০ নারী ও শিশু মহিলা পরিষদের তথ্য

আপডেট টাইম : ০৬:৩২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

বিগত ২০২০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১২ মাসে শুধু গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনার তথ্য অনুয়ায়ী, ১ হাজার ৩৪৬ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে মোট ৩ হাজার ৪৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে মহিলা পরিষদ। সংগঠনের লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে সংগঠনটি এই তথ্য জানায়।

পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২০ সালের মোট ৩৪৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তার মধ্যে ১০৭৪ জন ধর্ষণের শিকার হন। ২৩৬ জন গণধর্ষণে ও ৩৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। তিন জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যাসহ মোট ১৩৪৬ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ২০০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৪৩ জন। ৭৪ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। অ্যাসিড দগ্ধের শিকার হয়েছে ২৫ জন। তার মধ্যে অ্যাসিড দগ্ধের কারণে মৃত্যু হয় চার জনের। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ২৯ জন, তারমধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৫৯ জন। অপহূত হয়েছে ১২৫ জন। পাচারের শিকার হয়েছে ১০১ জন, তার মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয় চার জনকে। বিভিন্ন কারণে ৪৬৮ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৩৫ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতিত হয়েছে ১১৭ জন। তার মধ্যে ৫২ জন যৌতুকের কারণে হত্যা করেছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫৯ জন। ২৫২ জন নারী ও কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ১১৭টি, তার মধ্যে বাল্যবিয়ের চেষ্টা হয়েছে ৩৩টি ঘটনা। সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার হয়েছে ৪৩ জন।