ইপিজেড থানাধীন ২নং মাইলের মাথা কমিশনার গলি হতে কুলসুম আক্তার কুলসুমী ও মর্জিনা গ্রেপ্তার
- আপডেট টাইম : ০১:৩১:১৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
- / ৩৪৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
চট্টগ্রাম অফিস।।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব বিজয় বসাক, বিপিএম, পিপিএম (বার) এর দিক নির্দেশনায়, জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, জনাব মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী জোন), জনাব মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন, পিপিএম, অফিসার ইনচার্জ, কোতোয়ালী থানা এর নেতৃত্বে কোতোয়ালি থানা টিম ২৯/০৭/২০২১ তারিখ দিবাগত রাত ০৩.০০ ঘটিকায় ইপিজেড থানাধীন ২নং মাইলের মাথা কমিশনার গলি হতে
কুলসুম আক্তার কুলসুমী কে আটক করে এবং তাকে উক্ত কাজে সহযোগিতা করায় মর্জিনা আক্তারকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য গত ২৯/০৫/২০০৬ইং তারিখ কোতোয়ালী থানাধীন রহমতগঞ্জ ৮১নং গলির সাইদ সওদাগরের ভাড়াঘরের মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টস কর্মী পারভিনকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। এরপর রহমতগঞ্জে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পারভিন আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন গার্মেন্টস কর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। উক্ত ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হলেও মামলার তদন্তে হত্যাকান্ডের ঘটনা প্রতীয়মান হওয়ায় উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কোতোয়ালী থানার মামলা নং-০৯, তাং-০৬/০৭/২০০৬ইং, ধারা-৩০২ দঃ বিঃ রুজু হয়।
বর্ণিত মামলায় ০২ বছর তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে কুলসুমা আক্তার কুলসুমী এর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। কুলসুমা আক্তার কুলসুমী উক্ত মামলায় গ্রেফতার হয়। বর্ণিত মামলায় সে ২৬/১০/২০০৭ইং তারিখ হইতে ১৮/০২/২০০৯ইং তারিখ পর্যন্ত সময়ে হাজতবাস করেন। সে জামিনে আসার পর মামলার বিচার কার্য শেষে গত ৩০/১১/২০১৭ইং তারিখ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম আসামী কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে পারভিন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড সহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
বিষয়টি জানতে পেরে মর্জিনা আক্তার (৩০) সহ অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের একটি চক্রের মাধ্যমে নিরপরাধ মিনু নামক এক মহিলাকে কুলসুমা আক্তার কুলসুমী সাজিয়ে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে গত ১২/০৬/২০১৮ইং তারিখ বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করালে মিনু গত ১৬/০৬/২০২১ইং তারিখ পর্যন্ত হাজতবাস করে।
বিষয়টি এডভোকেট জনাব গোলাম মাওলা মুরাদ, জজকোর্ট, চট্টগ্রাম এর নজরে আসলে তিনি মহামান্য হাইকোর্টে এ বিষয়ে আপিল করলে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ মিনু বেগমকে জামিনে মুক্ত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে বিজ্ঞ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ, ৪র্থ আদালত আদেশ সহকারে আসামী কুলসুমা আক্তার কুলসুমী এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালি থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।