পবিত্র ঈদ-উল আয্হার উপলক্ষে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । ইউপি সদস্য রহুল আমিন মন্ডল ।
- আপডেট টাইম : ০৫:২৫:০৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১
- / ২৫৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোঃ নজরুল ইসলাম ।।
আশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ৮ নং ওয়ার্ডের সফল ইউপি সদস্য মোঃ রহুল আমিন মন্ডল আশুলিয়া ইউনিয়ন বাসী ও ৮ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণকে পবিত্র ঈদ-উল-আয্হা উপলক্ষে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা
ঈদ মোবারক,
জানিয়েছেন ।
তিনি বলেন ,ঈদ মানে-হাসি খুশি, ঈদ মানে আনন্দ, ,ঈদ আনন্দে ভরে উঠুক সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জীবন, ঈদ হোক সকল মানুষের, শাস্তি ও সমৃদ্ধির সেতুবন্ধন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের , অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সহ দেশবাসীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন । তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবে মহামারী পরিস্থিতিতে সচেতনতা অবলম্বন করতে সকলকে অনুরোধ করেন,সরকারের সর্বপ্রকার নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি ও দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ঈদ উপভোগ করেন। মন থেকে সকল হিংসা বিদ্বেষ অহংকার ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একে অপরের সহযোগিতা করেন সুখী সুন্দর জীবন গড়ি ।তিনি। বলেন ,পবিত্র, ঈদ-উল আয্হা
মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধানতম ধর্মীয় উৎসব। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আজ থেকে হাজার হাজার বছর পূর্বে ইসলামের আদি পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) প্রদর্শিত কোরবানির দীক্ষায় দিক্ষিত হয়ে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
কোরবানির ঈদ মুসলিম সমাজের ত্যাগের উৎসব। ভোগে নয়, ত্যাগেই শান্তি এমনই শিক্ষা পাওয়া যায় এই ঈদ থেকে। কোরবানি শব্দটি আরবি কোরবানুন অথবা কেরবানুন শব্দ থেকে আগত, যার মানে নৈকট্য বা সান্নিধ্য লাভ করা।
প্রায় চার হাজার বছর আগে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় হযরত ইব্রাহিম (আ.) তার ছেলে ইসমাইল(আ.)কে কোরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরম করুণাময়ের অপার মহিমায় ইসমাইলের (আ.) পরিবর্তে একটি ভেড়া বা দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। সেই ত্যাগের মহিমায় মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহর অনুগ্রহ প্রাপ্তির আশায় পশু কোরবানি করে থাকে। তবে ঈদের পর ও ৩ দিন অর্থাৎ ১১ ও ১২ জিলহজ্ব পশু কোরবানি করার ধর্মীয় বিধান রয়েছে।
কোরবানি পশু বর্জ্য নিষ্কাশনে আমাদের সকলের যা কর্তব্য
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ,পবিত্র, ঈদ-উল-আযহার,
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমান এই দিনে পশু কোরবানি করে থাকেন। বিপুল সংখ্যক পশুর বর্জ্য নিষ্কাশনে অব্যবস্থাপনা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি বয়ে আনতে পারে। রোগ জীবাণু ছড়িয়ে ম্লান করে দিতে পারে ঈদের আনন্দ। একটু সচেতনতাই পারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করতে।
কোরবানির পশুর বর্জ্য নিষ্কাশনে যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা না গেলে পরিবেশের জন্য বড় হুমকি হতে পারে। সমাজে সকলে মিলে একটু খেয়াল আর সচেতনতাই পারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করতে।
কোরবানির পর পশুর রক্ত, জবাইকৃত বর্জ্য ও তরল বর্জ্য খোলা স্থানে রাখা যাবে না। এগুলো গর্তের ভেতরে পুঁতে মাটি চাপা দিতে হবে। কারণ রক্ত আর নাড়ি-ভুঁড়ি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুর্গন্ধ ছড়ায়। আর যদি রক্ত মাটি থেকে সরানো সম্ভব না হয়, তা হলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। কোরবানির বর্জ্য পলিথিনে করে রেখে দিতে হবে, যাতে ময়লা পরিবহন দ্রুততার সঙ্গে করা যায়। কাজের ক্ষেত্রে অপরের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করা উচিত। যে সব এলাকায় গাড়ি পৌঁছানো সম্ভব নয় বা দেরি হবে, সে সব স্থানে বর্জ্য পলিথিনের ব্যাগে ভরে ময়লা ফেলানোর নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে। পশুর হাড়সহ শক্ত বর্জ্যগুলো ও পলিথিনের মধ্যে নেয়া ভালো। নাড়ি-ভুঁড়ি বা এ জাতীয় বর্জ্য কোনো ভাবেই পয়ঃনিষ্কাশন নালায় ফেলা যাবে না। মানুষের সচেতনতার পাশাপাশি সকলের উদ্যোগ নিলে রোগজীবাণু, দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়াতে পারবে না। আশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ৮ নং ওয়ার্ডের সফল ইউপি সদস্য মোঃ রহুল আমিন মন্ডল । ঈদ মোবারক,ঈদ মোবারক,
ঈদ মোবারক ।