“কোন ধরনের প্রস্তুতি,নজরদারীর ক্ষেত্রে চসিকের কোন ঘাটতি নেই’
- আপডেট টাইম : ০৮:৪৭:৪২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১
- / ৩১৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোঃ শহিদুল ইসলাম ( শহিদ)
বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র মো. রোজউল করিম চৌধুরী কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যু হার বৃদ্ধি জনিত পরিস্থিতিতে নগরীতে ঈদুল আযহা নির্বিঘ্নে উদ্যাপনের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সিটি কর্পোরেশনের গৃহীত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনা প্রস্তুতিসমূহ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামকে ১৩ জুলাই(মঙ্গলবার) অবহিত করেন।
টাইগার পাসস্থ মেয়রের অফিস কক্ষ থেকে জুম ক্লাউড অ্যাপের মাধ্যমে ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সংক্রান্ত দ্বিতীয় আন্তঃ মন্ত্রণালয় বৈঠকে মেয়র সংযুক্ত হন। এসময় তিনি বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে প্রস্তুতি, নজরদারীর ক্ষেত্রে চসিকের কোন ঘাটতি নেই।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম নগরীতে তিনটি স্থায়ী পশুর বাজারের পাশাপাশি চসিক আরো তিনটি অস্থায়ী
কোরবানীর পশু বিক্রির হাট ইজারা দিয়েছে। এ ছয়টি হাটে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি যাতে লঙ্ঘিত না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় নজরদারী নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, পশুর বাজার লোক সমাগম নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় রাখা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে জীবানু মুক্ত করণ, মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করনে চসিকের সার্বক্ষনিক তদারকি ও পর্যবেক্ষণ চলমান থাকবে। এছাড়া নগরীতে নির্ধারিত ছয়টি বাজারের বাইরে অন্য কোন বাজার বসতে দেওয়া হবে না।
মেয়র আরো বলেন, কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম নগরীকে ৪টি জোনে ভাগ করে স্থানীয় কাউন্সিলর ও চসিকের পরিচ্ছন্ন, প্রকৌশল ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন কোরবানীর পশু জবাইয়ের পরবর্তী ১২ ঘন্টা বা রাত ১০টার মধ্যে সব ধরণের বর্জ্য অপসারণ করে নির্ধারিত দু’টি ট্রেন্সিং গ্রাউন্ডে ডাম্পিং করা হবে। বর্জ্য পরিবহনের জন্য
চসিকের বিভিন্ন ধরনের ২০০টি যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে ভাড়ায় বাড়তি পরিবহন যুক্ত করা হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত জনবলের অতিরিক্ত বেতন-ভাতা, পরিবহন ও খাওয়া বাবদ অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া ২টি ট্রেন্সিং গ্রাউন্ডে কোরবানীর পশু বর্জ্য ধারণের স্থান সমান ও যান চলাচলের পথগুলো পরিবহন উপযোগী করে তোলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ছাড়া যত্র-তত্র পশু জবাই করা যাবে না। কোরবানীর পরপরই বর্জ্য নির্ধারিত ডাস্টবিনে ফেলতে হবে এবং কোরবানীর জায়গাটিকে সাথে সাথেই ধুয়ে মুছে ফেলতে হবে।
মেয়র উল্লেখ করেন, গত বছর কোরবানীর পশু চামড়ার বেচা-কেনায় মন্দা থাকায় যত্র-তত্র চমড়া পড়ে থাকতে দেখা গেছে এবং পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর হয়েছে। করোনাকালে এ পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তির আশংকা দূর করার জন্য ট্যানারিজ কর্তৃপক্ষ যদি চান কোরবানীর পশুর চামড়া সংগ্রহের জন্য নগরীতে কয়েকটি স্থানে চসিক স্পট নির্ধারিত করে দেবে। সেখানে তারা ঝামেলা এড়িয়ে সহজে যাতে চমড়া সংগ্রহ করতে পরে চসিক সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।