ঢাকা ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

আজ চতুর্থ দিনের।। লকডাউন চলছে জেল জরিমানা খোদা তে ভুগছে।  বলছে জনগন 

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৯:০৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
  • / ২৩১ ৫০০০.০ বার পাঠক

  • বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

অনুসন্ধান রিপোর্ট।।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের জারি করা সাত দিনের কঠোর লকডাউনের (বিধিনিষেধ) চতুর্থ দিন চলছে আজ। বিধিনিষেধের চতুর্থ দিনে ভোর থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে লকডাউন কার্যকরে মাঠে রয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে চলছে সচেতনতাবৃদ্ধিসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা । জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে জরিমানা এবং গ্রেফতারও করা হচ্ছে। তবে জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তল্লাশির সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়ে গন্তব্যে বা কর্মস্থলে যেতে পারছেন।

এছাড়া গত তিন দিনের মতো আজও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের সচেতনতার পাশাপাশি জরিমানা করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ রবিবার কলেজগেট চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিমকে। সচেতনতার পাশাপাশি মামলা ও আর্থিক জরিমানার মুখে পড়তে হচ্ছে অনেককে।অনেককে সতর্ক করে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আবার সচেতনতার অংশ হিসেবে যাদের মুখে মাস্ক নেই তাদের মাস্ক পরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এখানে দায়িত্বরত ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট(সংযুক্ত) মো: আরিফুল ইসলাম বলেন, গত তিন দিনের মতো আজও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের সচেতনতার পাশাপাশি ক্ষেত্রবিশেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মামলা ও আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অযৌক্তিক কারণে বাইরে বের হওয়ায় রাজধানীতে প্রথম দিন ৫৫০ এবং দ্বিতীয় দিন ৩২০ জন এবং তৃতীয় দিনে ৬২১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া তৃতীয় দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩৪৬ জনকে ১ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।

অন্যদিকে লকডাউনের তৃতীয় দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় সারাদেশে ২৭৭ জনকে প্রায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাব। সারা দেশে ৩১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এই অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের নির্দেশনা জারি করে সরকার। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হলে মাস্ক পরে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরার কথাও বলা হয় নির্দেশনায়। বন্ধ রয়েছে সরকারী, আধা সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত সব অফিস। ৭ জুলাই পর্যন্ত চলবে কঠোর লকডাউন।

এবারের লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমান আদালত, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসারসহ সেনাবাহিনী মাঠ থাকবে। এই সময়ে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল এবং বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিষয়ে কঠোর বিধি-নিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বুধবার (৩০ জুন) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সরকারী-বেসরকারী সব অফিস, যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এছাড়াও লকডাউন বিধিনিষেধের মধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১০৬ জন কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার। দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১০(৫) ধারা অনুযায়ী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর ৫ ধারা মোতাবেক বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আওতাধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা দিয়ে বুধবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আদেশ জারি করেছে।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আজ চতুর্থ দিনের।। লকডাউন চলছে জেল জরিমানা খোদা তে ভুগছে।  বলছে জনগন 

আপডেট টাইম : ০৭:১৯:০৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
  • বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

অনুসন্ধান রিপোর্ট।।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের জারি করা সাত দিনের কঠোর লকডাউনের (বিধিনিষেধ) চতুর্থ দিন চলছে আজ। বিধিনিষেধের চতুর্থ দিনে ভোর থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে লকডাউন কার্যকরে মাঠে রয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে চলছে সচেতনতাবৃদ্ধিসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা । জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে জরিমানা এবং গ্রেফতারও করা হচ্ছে। তবে জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তল্লাশির সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়ে গন্তব্যে বা কর্মস্থলে যেতে পারছেন।

এছাড়া গত তিন দিনের মতো আজও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের সচেতনতার পাশাপাশি জরিমানা করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ রবিবার কলেজগেট চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিমকে। সচেতনতার পাশাপাশি মামলা ও আর্থিক জরিমানার মুখে পড়তে হচ্ছে অনেককে।অনেককে সতর্ক করে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আবার সচেতনতার অংশ হিসেবে যাদের মুখে মাস্ক নেই তাদের মাস্ক পরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এখানে দায়িত্বরত ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট(সংযুক্ত) মো: আরিফুল ইসলাম বলেন, গত তিন দিনের মতো আজও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের সচেতনতার পাশাপাশি ক্ষেত্রবিশেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মামলা ও আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অযৌক্তিক কারণে বাইরে বের হওয়ায় রাজধানীতে প্রথম দিন ৫৫০ এবং দ্বিতীয় দিন ৩২০ জন এবং তৃতীয় দিনে ৬২১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া তৃতীয় দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩৪৬ জনকে ১ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।

অন্যদিকে লকডাউনের তৃতীয় দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় সারাদেশে ২৭৭ জনকে প্রায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাব। সারা দেশে ৩১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এই অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের নির্দেশনা জারি করে সরকার। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হলে মাস্ক পরে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরার কথাও বলা হয় নির্দেশনায়। বন্ধ রয়েছে সরকারী, আধা সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত সব অফিস। ৭ জুলাই পর্যন্ত চলবে কঠোর লকডাউন।

এবারের লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমান আদালত, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসারসহ সেনাবাহিনী মাঠ থাকবে। এই সময়ে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল এবং বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিষয়ে কঠোর বিধি-নিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বুধবার (৩০ জুন) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সরকারী-বেসরকারী সব অফিস, যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এছাড়াও লকডাউন বিধিনিষেধের মধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১০৬ জন কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার। দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১০(৫) ধারা অনুযায়ী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর ৫ ধারা মোতাবেক বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আওতাধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা দিয়ে বুধবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আদেশ জারি করেছে।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।