ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নরসিংদীতে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু জামালপুরে ধানের বাজার মধ্যস্বত্বভোগীরদের দখলে রানীশংকৈলে জিপিএ—৫ পাওয়া ৪ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের বাধা অর্থিক সংকট কালিয়াকৈরে এক নারী মাদক ব্যবসায়ী হেরোইনসহ গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উৎযাপন উপলক্ষে সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হারানো টাকা মালিকের হাতে ফেরত দিয়ে দিষ্টান্ত স্হাপন করলো পুলিশ ফুলবাড়ীতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কতৃক মসজিদ পরিস্কার অভিযান ফুলবাড়ীতে ভুট্টা বোঝাই ট্রলির চালক নিজ গাড়িতে চাপা পড়ে নিহত বিবাহিত অছাত্র কিশোরগ্যাং এর লিডার রুবেল হোসেন জয়কে দিয়ে এবার ছাত্রলীগের নতুন কমিটি করা হলো কুষ্টিয়ায় পদ্মায় ডুবে যাওয়া নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

লোকসানের মুখে আম ব্যবসায়ীরা

  • সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

দেশজুড়ে প্রায় গেলো দুই সপ্তাহ ধরে আমের বাজার শুরু হলেও বাজারে পাইকারি ও খুচরা ক্রেতার সংখ্যা সীমিত। তবে অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় এবার বাজারে আমের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বেচাকেনাও কমে গেছে। ফলে লোকসানের মুখে আম ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা মহামারীর কারণে বাজারে পাইকার অনেক কমে গেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মাল আসতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে আগে যা ১ ঘণ্টায় বিক্রি হতো, সেটা এখন ১ সপ্তাহেও বিক্রি করতে পারছে না তারা। যার ফলে এবার অনেক লোকসানের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

দেখা গেছে, প্রতি কেজি মাঝারি হিমসাগর আম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫০ টাকা দরে। আর সেটি প্রতি কেজি খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা ধরে। ল্যাংড়া আম প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা করে এবং খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে।

অন্যান্য আম যেমন-আম্রপালি, লক্ষণভোগ এগুলোর দর কমতি নেই। দাম বৃদ্ধি পেয়ে কেজি প্রতি খুচরা আম্রপালি আম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। লক্ষণভোগ পাইকারি ৩০ থেকে ৩৫ হলেও তা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার ওপরে।

আজ সোমবার (৩১ মে) রাজধানীর কাওরান বাজারে আমের বাজারের এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর বৃহৎ পাইকারি কাঁচামালের বাজার কাওরানবাজারে আমের আড়তদার বলেন, ‘করোনার জন্য পাইকারি অনেক কমে গেছে। গেল বছরগুলো তুলনায় এবার বেচাকেনা খুবই কম। এ সময় আমরা ১ ঘণ্টায় ৫০০ থেকে ১ হাজার ক্যারেট আম বিক্রি করতে পারতাম। একই মাল এখন বিক্রি করতে সময় লাগছে প্রায় এক সপ্তাহ। আগে যেখানে পাইকাররা একজনেই ১০০ থেকে ২০০ ক্যারেট আম নিতো, এখন তারা নিচ্ছে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০ ক্যারেট মাল। বেচাকেনা একেবারেই কম। এইভাবে চলতে থাকলে আমাদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে।’

আমের এ আড়তদার আরও বলেন, ‘এক বছর আগে ২৫ লাখ টাকা জমা দিয়ে বাগান কিনেছি। এক সিজনে আড়তের জায়গার ভাড়া দিতে হয় দুই লাখ টাকা। সঙ্গে আছে কর্মচারীদের খরচ। পাইকাররা যদি আগের মতো না আসে এবং মাল বিক্রি করতে না পারি তাহলে আমরা কীভাবে এসব পরিশোধ করবো। আশা করছি কোরবানির ঈদ পর্যন্ত আমের আমদানি থাকবে। তবে সামনে এভাবে বেচাকেনা চলতে থাকলে আমাদের ব্যবসার ধস নামবে।’

বাজারের আরেকজন খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের পাইকারদের কাছ থেকে আম দামে কিনতে হচ্ছে, তাই আমরাও সেভাবে বিক্রি করছি। আমের দাম বাড়তি। আম বাজারে কম আসছে।’

বাজারে আম কিনতে আসা ক্রেতা বলেন, ‘আগের মতো আমের সাইজ নেই। আমের সাইজ ছোট। তবে দাম কমেনি। সাইজ ছোট হলেও দাম বেশি। আমের সিজন এসেছে, তাই দাম হলেও আমাদের কিনতে হচ্ছে।’

সরাসরি বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে অনলাইনে পাইকারি আম সরবরাহ করে এমন একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাগানের বাছাইকৃত আমের দাম তুলনামূলক একটু বেশি হওয়ায় এবং চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনের আড়ালে অনলাইনে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের নিম্নমানের আম সরবরাহের কারণে অনলাইন থেকে আম কেনায় গ্রাহকদের আস্থা নিম্নমুখী। এছাড়া কুরিয়ার সার্ভিস ফি তুলানমূলক বেশি হওয়ায় আমাদের অনলাইনে ব্যবসাও খুব একটা হচ্ছে না। ফলে কুরিয়ার সার্ভিসের ফি আরও কমানোর দাবি জানাই।’

এ ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঝড়ের কারণে এ বছরও অনেক আম গাছ থেকে পড়ে গেছে। ফলে আমের আমদানি কম, দামও বাড়তি। অন্যদিকে ক্রেতাদের সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হওয়ায় ব্যবসা এবার ভালো যাচ্ছে না।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নরসিংদীতে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু

লোকসানের মুখে আম ব্যবসায়ীরা

আপডেট টাইম : ১০:৩৫:২৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৩১ মে ২০২১
  • সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

দেশজুড়ে প্রায় গেলো দুই সপ্তাহ ধরে আমের বাজার শুরু হলেও বাজারে পাইকারি ও খুচরা ক্রেতার সংখ্যা সীমিত। তবে অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় এবার বাজারে আমের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বেচাকেনাও কমে গেছে। ফলে লোকসানের মুখে আম ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা মহামারীর কারণে বাজারে পাইকার অনেক কমে গেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মাল আসতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে আগে যা ১ ঘণ্টায় বিক্রি হতো, সেটা এখন ১ সপ্তাহেও বিক্রি করতে পারছে না তারা। যার ফলে এবার অনেক লোকসানের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

দেখা গেছে, প্রতি কেজি মাঝারি হিমসাগর আম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫০ টাকা দরে। আর সেটি প্রতি কেজি খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা ধরে। ল্যাংড়া আম প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা করে এবং খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে।

অন্যান্য আম যেমন-আম্রপালি, লক্ষণভোগ এগুলোর দর কমতি নেই। দাম বৃদ্ধি পেয়ে কেজি প্রতি খুচরা আম্রপালি আম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। লক্ষণভোগ পাইকারি ৩০ থেকে ৩৫ হলেও তা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার ওপরে।

আজ সোমবার (৩১ মে) রাজধানীর কাওরান বাজারে আমের বাজারের এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর বৃহৎ পাইকারি কাঁচামালের বাজার কাওরানবাজারে আমের আড়তদার বলেন, ‘করোনার জন্য পাইকারি অনেক কমে গেছে। গেল বছরগুলো তুলনায় এবার বেচাকেনা খুবই কম। এ সময় আমরা ১ ঘণ্টায় ৫০০ থেকে ১ হাজার ক্যারেট আম বিক্রি করতে পারতাম। একই মাল এখন বিক্রি করতে সময় লাগছে প্রায় এক সপ্তাহ। আগে যেখানে পাইকাররা একজনেই ১০০ থেকে ২০০ ক্যারেট আম নিতো, এখন তারা নিচ্ছে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০ ক্যারেট মাল। বেচাকেনা একেবারেই কম। এইভাবে চলতে থাকলে আমাদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে।’

আমের এ আড়তদার আরও বলেন, ‘এক বছর আগে ২৫ লাখ টাকা জমা দিয়ে বাগান কিনেছি। এক সিজনে আড়তের জায়গার ভাড়া দিতে হয় দুই লাখ টাকা। সঙ্গে আছে কর্মচারীদের খরচ। পাইকাররা যদি আগের মতো না আসে এবং মাল বিক্রি করতে না পারি তাহলে আমরা কীভাবে এসব পরিশোধ করবো। আশা করছি কোরবানির ঈদ পর্যন্ত আমের আমদানি থাকবে। তবে সামনে এভাবে বেচাকেনা চলতে থাকলে আমাদের ব্যবসার ধস নামবে।’

বাজারের আরেকজন খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের পাইকারদের কাছ থেকে আম দামে কিনতে হচ্ছে, তাই আমরাও সেভাবে বিক্রি করছি। আমের দাম বাড়তি। আম বাজারে কম আসছে।’

বাজারে আম কিনতে আসা ক্রেতা বলেন, ‘আগের মতো আমের সাইজ নেই। আমের সাইজ ছোট। তবে দাম কমেনি। সাইজ ছোট হলেও দাম বেশি। আমের সিজন এসেছে, তাই দাম হলেও আমাদের কিনতে হচ্ছে।’

সরাসরি বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে অনলাইনে পাইকারি আম সরবরাহ করে এমন একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাগানের বাছাইকৃত আমের দাম তুলনামূলক একটু বেশি হওয়ায় এবং চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনের আড়ালে অনলাইনে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের নিম্নমানের আম সরবরাহের কারণে অনলাইন থেকে আম কেনায় গ্রাহকদের আস্থা নিম্নমুখী। এছাড়া কুরিয়ার সার্ভিস ফি তুলানমূলক বেশি হওয়ায় আমাদের অনলাইনে ব্যবসাও খুব একটা হচ্ছে না। ফলে কুরিয়ার সার্ভিসের ফি আরও কমানোর দাবি জানাই।’

এ ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঝড়ের কারণে এ বছরও অনেক আম গাছ থেকে পড়ে গেছে। ফলে আমের আমদানি কম, দামও বাড়তি। অন্যদিকে ক্রেতাদের সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হওয়ায় ব্যবসা এবার ভালো যাচ্ছে না।