ঢাকা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম

‌কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগা‌রে দু‌র্নি‌তির মহাৎসব চল‌ছে।

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩০:৫৫ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১
  • / ৪৬৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

এস এস মুন্না ব‌্যুরু চিফ সময়ের কন্ঠ অনলাইনঃ।।

সম‌য়েরকন্ঠ ব‌্যুরু চিফ কেন্দ্রীয় কার‌াগা‌রে ৪৫‌ দিন কা‌টি‌য়ে অাস‌ছেন, ভিত‌রের খু‌টিনা‌টি বিষয় বস্তু হুবহু তুলে ধ‌রে‌ছেন। ক‌‌োভিট ১৯ প্রথম ধা‌পে কিছুটা কম‌লে খো‌লে দেওয়া হয় দে‌শের কেন্দ্রীয় ও সাব জেল এর ব‌ন্দি‌দের সা‌থে স্বজ‌নের স্বাক্ষাৎ রুম।  অন‌্য দি‌কে নতুন বন্দ‌িদেরকে কোয়া‌রিনটাই‌নে ১৪ দি‌নের জায়গায় ৭ দিন ক‌রে কোয়া‌রিনটাইন রাখা হয়।  জে‌লের ভিত‌রে প্রবেশ করা মাত্রই শুরু হয় অ‌বৈধ‌্য ভা‌বে অর্থ‌্য হা‌তি‌য়ে নেওয়ার ফ‌ন্দি।

সাজা প্রাপ্ত ক‌য়ে‌দি ব‌ন্দি‌দের দি‌য়ে চ‌লে নতুন জে‌লে অাসা ব‌ন্দি‌দের শ্বাসন শোষন, নতুন যে সবাই তাও না অ‌নে‌কে একা‌ধিকবার জে‌লে প্রবেশ ক‌রে‌ছেন এবং তা‌দের প্রয় সব ফ‌ন্দিই  জানা। তাই ক‌য়ে‌দি ব‌ন্দি ইনচার্জ ও তার সহকারীরা বে‌ছে বে‌ছে নতুন ও টাকা পয়সা খরচ কর‌তে পা‌রে বা পার‌বে তা‌দের অালদা ক‌রে ফে‌লে। অার যাদের টাকা খরচ করার ম‌তো স্বাধ‌্য নেই তা‌দে‌রকে করা হয় অালদা। z

ঢাকা কে‌ন্দ্রিয় কারাগা‌রে সাজাপ্রাপ্ত ব‌ন্দি‌দের ম‌ধ্যে থে‌কে  যে সি‌নিয়র ব‌ন্দি এবং অ‌র্থের ক্ষমতা থা‌কে সে হয় চিফ রাইটার অার এই  চিফ রাইটা‌রের নি‌র্দে‌শেই   চলে  যত দূুর্ন‌িতি। কেনই বা চিফ রাইটার অর্থ দূ‌র্নি‌তি কর‌বেন না, কারন তার চিফ রাইটার হ‌তে কম ক‌রে হ‌লেও ২০ লাক টাকার মাধ‌্যমে যে হ‌তে হয়। অার এই  টাকা ভাগ হয় জেল কর্তৃপক্ষ সহ উর্ধতন কর্মকর্তা পর্যন্ত।

৭ দি‌নের কোয়া‌রিনটাইন  ১ দিনও থাকা লা‌গে না য‌দি চিফ রাইটার কে ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কোয়া‌রিনটাই‌নে যে কষ্ট ও নির্যাতন সয‌্য করা লা‌গে তা দে‌খে যা‌দের বা‌ড়ির অবস্থা ভা‌লো তারা চিফ রাইটার কে ৩ হাজার টাকা দি‌য়ে সা‌থে সা‌থে সাধারন ওয়া‌র্ডে চ‌লে যে‌তে পা‌রে বা চ‌লে যায়। সম‌য়েরকন্ঠ ব‌্যুরু চিফ তার প‌রিচয় গোপন ক‌রে রা‌খেন, তা‌কেও ৩ হাজার টাকার অফার অা‌সে, তি‌নি যে‌তে রা‌জি হয়‌নি।

প্রথম দিনগত সন্ধায় কে‌ন্দ্রিয় জে‌লের প্রধান ফটক পার হ‌য়ে ভিত‌রে প্রবেশ করার পর শুধু দে‌খে যা‌চ্ছি অার শু‌নে যা‌চ্ছি কিছু বলার নাই, প্রথ‌মেই  জিজ্ঞাসা করা হয় নতুন ব‌ন্দি‌দের ম‌ধ্যে কেউ সাংবা‌দিক, পু‌লিশ, অা‌র্মির লোক অা‌ছে না কি, যারা বু‌ঝে না তারা হাত তু‌লে এবং তা‌দের হয়‌তো সব সময় লকাপ ক‌রে রাখ‌বে না হয় কা‌শিম পুর কে‌ন্দ্রিয় কারাগা‌রে পা‌ঠি‌য়ে‌দেয় বা দেওয়া হয়। বি‌ষেস ক‌রে সাংবা‌দিক‌দের কে কখ‌নো তারা কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগা‌রে রাথ‌বে না। সময়েরকন্ঠ ব‌্যুরু চিফ তার বু‌দ্ধিমত‌্যায় প‌রিচয় গোপন রে‌খে কে‌ন্দিয় কারাগা‌রের সকল দূর্নি‌তি নিজ চো‌খে দে‌খে অাস‌ছেন এবং নি‌জেও অর্থদ‌ন্ডি দি‌য়ে‌ছেন তবুও বুঝ‌তে দেন‌নি।  প্রথম গে‌লো কোয়া‌রিনটাইন দূর্ন‌িতির প্রথম ধাপ। এবার যা‌দের ৭ দিন কোয়া‌রিনটাইন শেষ তা‌দের দেওয়া হয় বি‌ভিন্ন ওয়া‌র্ডে, ঢাকা কে‌ন্দ্রিয়  কারাগা‌রে মোট ৬ তলা বি‌শিষ্ট ভবন অা‌ছে ৮ টি পম্মা, মেঘনা, যমুনা, মধুম‌তি,রুপসা,ম‌নিহার, ক‌রো‌তোয়া, কর্নফুলি, তাছাড়া এক‌টি ডি‌ভিশন ভবন অা‌ছে, হাসপাতাল অা‌ছে, জল‌সি‌রি দুইদলা ভবন এক‌টি অা‌ছে, চারতলা বি‌শিষ্ট চার‌টি ভবন প্রতি‌টি ভব‌নের প্রতি‌টি তলায় অানুমা‌নিক ১০ ফিট লম্বা, ১২ ফিট চওরা, তার ম‌ধ্যে ভাতরুম সহ সেল করা হ‌য়ে‌ছে। ভবন গুলা হ‌চ্ছে, সূর্য‌্যমূ‌খি, শাপলা, বকুল, বনফুল, অার প্রতি‌টি ভব‌নের প্রতিটা তলায় যতদূর ম‌নে প‌রে ২৮ টি ক‌রে সেল অা‌ছে।  এই  সে‌লে  ফা‌সির রায় হ‌য়ে গে‌ছে এমন  অাসামী‌দের রাখা হয়, পাশা পা‌শি যা‌দের মোটা অং‌কের টাকা অা‌ছে তারা সেল সপ্তা‌হিক বা মা‌সিক ভাড়ায় চু‌ক্তি ক‌রে নেয় তাও এক এক‌টি সে‌লের ভাড়া গুন‌তে হয় ৫ হাজার থে‌কে ১০ হাজার টাকা।হাসপাতাল, ডি‌ভিশন, জল‌সি‌রি ও সেল এলাকা বাদ দি‌য়ে মোট ৮ ভব‌নে ৩২০ টি ওয়ার্ড র‌য়ে‌ছে, যেখা‌নে বিচারা‌ধিন ব‌ন্দ‌িরা থাকে। অার সাধারন ওয়া‌র্ডে ওয়া‌র্ডে ব‌ন্দিগন থাক‌বে কোন টাকা খরচ ছাড়‌া। কিন্তু বাস্ত‌বে উল্টা দেখা গে‌লো, প্রতিটা ওয়ার্ড থে‌কে চিফ রাইটার ৩ হাজার টাকা ক‌রে প্রতি মা‌সের ২০ তা‌রিথ হই‌তে ২৫ তা‌রি‌খের ম‌ধ্যে ক্লিয়ার ক‌রে চিফরাইটা‌রের হা‌তে বুঝায় দি‌তে হয়। ‌সে হিসাব ম‌তে ৩২০ ইন্টু ৩০০০ =৯,৬০,০০০ ট‌াকা।

শুধু ওয়ার্ড পরিচালনাকারীর থে‌কে অাদায় ত‌রে নেয় চিফ রাইটার। এবার ওয়ার্ড পরিচালক বা ইনচার্জ ওয়া‌র্ডে থাকা প্রতিটা ব‌ন্দির থে‌কে ৫০০টাকা ওয়ার্ড খরচ ও ১০০ টাকা ওয়ার্ড সেব‌কের জন‌্য মোট ৬০০ টাকা প্রদিটা ব‌ন্দির কম‌বে‌শি ক‌রে দি‌তে হয়  দি‌তে হ‌বেই।

এখা‌নে সাধারন ব‌ন্দিরা কষ্ট ক‌রে হ‌লেও দি‌য়ে থা‌কে সময়েরকন্ঠ ব‌্যুরু চিফ নি‌জেও ৫০০ টাকা ওয়ার্ড খরচ ও ১০০ টাকা সেব‌কের খরচ দি‌তে হ‌য়ে‌ে‌ছে শুধু  ওয়ার্ড খরচই না। প্রদি‌দিন সকাল জমাদার সহকারী প্রধান কারারক্ষী ৩০+গেট পাহাড়া ২৫, ভবন ইনচার্জ কে ২০ টাকা অথবা তার কম বে‌শি দি‌তে হয় এবার অা‌সে ‌সিঅাই‌ডি কারারক্ষী দুজন অা‌সে কম হ‌লেও ৫০ টাকা ক‌রে ১২ দুপুর বার টায় বের হয় সকাল শিফ‌টের জমাদার ও কারারক্ষী। ১২ পর অার এক ব‌্যচ সহঃকা‌রী রক্ষী ও কারারক্ষীগন।

প্রতিটা ভব‌নের প্রতিটা ওয়া‌র্ডের ইনচার্জ সকা‌লের দ‌তো লকাপের সময় সমহা‌রে টাকা দি‌য়ে থাকে। জেল কর্তৃপক্ষ ভিত‌রে বিচা‌র বৈঠ‌কে  ডেপু‌টি জেলার অথবা সর্ব প্রধান কারারক্ষী ( সু‌বেদ‌রা ) সা‌হেবগন সাধারন ব‌ন্দি, ক‌য়ে‌দি বন্দ‌ি সক‌লের উ‌দ্যেশে ব‌লে দেয় কাউ‌কে কোন টাকা দি‌বেন না ক‌য়ে‌দি ব‌ন্দি বা ওয়ার্ড ইনচার্জ‌দের ব‌লে দেয় কোন বন্দির থে‌কে টাকা নি‌বেন না। অাবার  ইনচার্জ‌দের টাকা না দিলে  থাকার জন‌্য ভালো কোন থালাবা‌টি কম্ভল জো‌টেনা । ভব‌সে ডিউ‌টিরত  সহঃকারী রক্ষী (জমাদার) কারারক্ষী‌দের উৎপাত শুরু হয় ৫০ বা ১০০ দি‌লে সব ঠিক।

(ঢাকা কে‌ন্দ্রিয় কারাগা‌রের অারও গুরুত্ব পূর্ন খবর থাক‌ছে অাগী প‌র্বে।  চোখ রাখুন  সম‌য়ের ক‌ন্ঠ)

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

‌কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগা‌রে দু‌র্নি‌তির মহাৎসব চল‌ছে।

আপডেট টাইম : ০৬:৩০:৫৫ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১

এস এস মুন্না ব‌্যুরু চিফ সময়ের কন্ঠ অনলাইনঃ।।

সম‌য়েরকন্ঠ ব‌্যুরু চিফ কেন্দ্রীয় কার‌াগা‌রে ৪৫‌ দিন কা‌টি‌য়ে অাস‌ছেন, ভিত‌রের খু‌টিনা‌টি বিষয় বস্তু হুবহু তুলে ধ‌রে‌ছেন। ক‌‌োভিট ১৯ প্রথম ধা‌পে কিছুটা কম‌লে খো‌লে দেওয়া হয় দে‌শের কেন্দ্রীয় ও সাব জেল এর ব‌ন্দি‌দের সা‌থে স্বজ‌নের স্বাক্ষাৎ রুম।  অন‌্য দি‌কে নতুন বন্দ‌িদেরকে কোয়া‌রিনটাই‌নে ১৪ দি‌নের জায়গায় ৭ দিন ক‌রে কোয়া‌রিনটাইন রাখা হয়।  জে‌লের ভিত‌রে প্রবেশ করা মাত্রই শুরু হয় অ‌বৈধ‌্য ভা‌বে অর্থ‌্য হা‌তি‌য়ে নেওয়ার ফ‌ন্দি।

সাজা প্রাপ্ত ক‌য়ে‌দি ব‌ন্দি‌দের দি‌য়ে চ‌লে নতুন জে‌লে অাসা ব‌ন্দি‌দের শ্বাসন শোষন, নতুন যে সবাই তাও না অ‌নে‌কে একা‌ধিকবার জে‌লে প্রবেশ ক‌রে‌ছেন এবং তা‌দের প্রয় সব ফ‌ন্দিই  জানা। তাই ক‌য়ে‌দি ব‌ন্দি ইনচার্জ ও তার সহকারীরা বে‌ছে বে‌ছে নতুন ও টাকা পয়সা খরচ কর‌তে পা‌রে বা পার‌বে তা‌দের অালদা ক‌রে ফে‌লে। অার যাদের টাকা খরচ করার ম‌তো স্বাধ‌্য নেই তা‌দে‌রকে করা হয় অালদা। z

ঢাকা কে‌ন্দ্রিয় কারাগা‌রে সাজাপ্রাপ্ত ব‌ন্দি‌দের ম‌ধ্যে থে‌কে  যে সি‌নিয়র ব‌ন্দি এবং অ‌র্থের ক্ষমতা থা‌কে সে হয় চিফ রাইটার অার এই  চিফ রাইটা‌রের নি‌র্দে‌শেই   চলে  যত দূুর্ন‌িতি। কেনই বা চিফ রাইটার অর্থ দূ‌র্নি‌তি কর‌বেন না, কারন তার চিফ রাইটার হ‌তে কম ক‌রে হ‌লেও ২০ লাক টাকার মাধ‌্যমে যে হ‌তে হয়। অার এই  টাকা ভাগ হয় জেল কর্তৃপক্ষ সহ উর্ধতন কর্মকর্তা পর্যন্ত।

৭ দি‌নের কোয়া‌রিনটাইন  ১ দিনও থাকা লা‌গে না য‌দি চিফ রাইটার কে ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কোয়া‌রিনটাই‌নে যে কষ্ট ও নির্যাতন সয‌্য করা লা‌গে তা দে‌খে যা‌দের বা‌ড়ির অবস্থা ভা‌লো তারা চিফ রাইটার কে ৩ হাজার টাকা দি‌য়ে সা‌থে সা‌থে সাধারন ওয়া‌র্ডে চ‌লে যে‌তে পা‌রে বা চ‌লে যায়। সম‌য়েরকন্ঠ ব‌্যুরু চিফ তার প‌রিচয় গোপন ক‌রে রা‌খেন, তা‌কেও ৩ হাজার টাকার অফার অা‌সে, তি‌নি যে‌তে রা‌জি হয়‌নি।

প্রথম দিনগত সন্ধায় কে‌ন্দ্রিয় জে‌লের প্রধান ফটক পার হ‌য়ে ভিত‌রে প্রবেশ করার পর শুধু দে‌খে যা‌চ্ছি অার শু‌নে যা‌চ্ছি কিছু বলার নাই, প্রথ‌মেই  জিজ্ঞাসা করা হয় নতুন ব‌ন্দি‌দের ম‌ধ্যে কেউ সাংবা‌দিক, পু‌লিশ, অা‌র্মির লোক অা‌ছে না কি, যারা বু‌ঝে না তারা হাত তু‌লে এবং তা‌দের হয়‌তো সব সময় লকাপ ক‌রে রাখ‌বে না হয় কা‌শিম পুর কে‌ন্দ্রিয় কারাগা‌রে পা‌ঠি‌য়ে‌দেয় বা দেওয়া হয়। বি‌ষেস ক‌রে সাংবা‌দিক‌দের কে কখ‌নো তারা কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগা‌রে রাথ‌বে না। সময়েরকন্ঠ ব‌্যুরু চিফ তার বু‌দ্ধিমত‌্যায় প‌রিচয় গোপন রে‌খে কে‌ন্দিয় কারাগা‌রের সকল দূর্নি‌তি নিজ চো‌খে দে‌খে অাস‌ছেন এবং নি‌জেও অর্থদ‌ন্ডি দি‌য়ে‌ছেন তবুও বুঝ‌তে দেন‌নি।  প্রথম গে‌লো কোয়া‌রিনটাইন দূর্ন‌িতির প্রথম ধাপ। এবার যা‌দের ৭ দিন কোয়া‌রিনটাইন শেষ তা‌দের দেওয়া হয় বি‌ভিন্ন ওয়া‌র্ডে, ঢাকা কে‌ন্দ্রিয়  কারাগা‌রে মোট ৬ তলা বি‌শিষ্ট ভবন অা‌ছে ৮ টি পম্মা, মেঘনা, যমুনা, মধুম‌তি,রুপসা,ম‌নিহার, ক‌রো‌তোয়া, কর্নফুলি, তাছাড়া এক‌টি ডি‌ভিশন ভবন অা‌ছে, হাসপাতাল অা‌ছে, জল‌সি‌রি দুইদলা ভবন এক‌টি অা‌ছে, চারতলা বি‌শিষ্ট চার‌টি ভবন প্রতি‌টি ভব‌নের প্রতি‌টি তলায় অানুমা‌নিক ১০ ফিট লম্বা, ১২ ফিট চওরা, তার ম‌ধ্যে ভাতরুম সহ সেল করা হ‌য়ে‌ছে। ভবন গুলা হ‌চ্ছে, সূর্য‌্যমূ‌খি, শাপলা, বকুল, বনফুল, অার প্রতি‌টি ভব‌নের প্রতিটা তলায় যতদূর ম‌নে প‌রে ২৮ টি ক‌রে সেল অা‌ছে।  এই  সে‌লে  ফা‌সির রায় হ‌য়ে গে‌ছে এমন  অাসামী‌দের রাখা হয়, পাশা পা‌শি যা‌দের মোটা অং‌কের টাকা অা‌ছে তারা সেল সপ্তা‌হিক বা মা‌সিক ভাড়ায় চু‌ক্তি ক‌রে নেয় তাও এক এক‌টি সে‌লের ভাড়া গুন‌তে হয় ৫ হাজার থে‌কে ১০ হাজার টাকা।হাসপাতাল, ডি‌ভিশন, জল‌সি‌রি ও সেল এলাকা বাদ দি‌য়ে মোট ৮ ভব‌নে ৩২০ টি ওয়ার্ড র‌য়ে‌ছে, যেখা‌নে বিচারা‌ধিন ব‌ন্দ‌িরা থাকে। অার সাধারন ওয়া‌র্ডে ওয়া‌র্ডে ব‌ন্দিগন থাক‌বে কোন টাকা খরচ ছাড়‌া। কিন্তু বাস্ত‌বে উল্টা দেখা গে‌লো, প্রতিটা ওয়ার্ড থে‌কে চিফ রাইটার ৩ হাজার টাকা ক‌রে প্রতি মা‌সের ২০ তা‌রিথ হই‌তে ২৫ তা‌রি‌খের ম‌ধ্যে ক্লিয়ার ক‌রে চিফরাইটা‌রের হা‌তে বুঝায় দি‌তে হয়। ‌সে হিসাব ম‌তে ৩২০ ইন্টু ৩০০০ =৯,৬০,০০০ ট‌াকা।

শুধু ওয়ার্ড পরিচালনাকারীর থে‌কে অাদায় ত‌রে নেয় চিফ রাইটার। এবার ওয়ার্ড পরিচালক বা ইনচার্জ ওয়া‌র্ডে থাকা প্রতিটা ব‌ন্দির থে‌কে ৫০০টাকা ওয়ার্ড খরচ ও ১০০ টাকা ওয়ার্ড সেব‌কের জন‌্য মোট ৬০০ টাকা প্রদিটা ব‌ন্দির কম‌বে‌শি ক‌রে দি‌তে হয়  দি‌তে হ‌বেই।

এখা‌নে সাধারন ব‌ন্দিরা কষ্ট ক‌রে হ‌লেও দি‌য়ে থা‌কে সময়েরকন্ঠ ব‌্যুরু চিফ নি‌জেও ৫০০ টাকা ওয়ার্ড খরচ ও ১০০ টাকা সেব‌কের খরচ দি‌তে হ‌য়ে‌ে‌ছে শুধু  ওয়ার্ড খরচই না। প্রদি‌দিন সকাল জমাদার সহকারী প্রধান কারারক্ষী ৩০+গেট পাহাড়া ২৫, ভবন ইনচার্জ কে ২০ টাকা অথবা তার কম বে‌শি দি‌তে হয় এবার অা‌সে ‌সিঅাই‌ডি কারারক্ষী দুজন অা‌সে কম হ‌লেও ৫০ টাকা ক‌রে ১২ দুপুর বার টায় বের হয় সকাল শিফ‌টের জমাদার ও কারারক্ষী। ১২ পর অার এক ব‌্যচ সহঃকা‌রী রক্ষী ও কারারক্ষীগন।

প্রতিটা ভব‌নের প্রতিটা ওয়া‌র্ডের ইনচার্জ সকা‌লের দ‌তো লকাপের সময় সমহা‌রে টাকা দি‌য়ে থাকে। জেল কর্তৃপক্ষ ভিত‌রে বিচা‌র বৈঠ‌কে  ডেপু‌টি জেলার অথবা সর্ব প্রধান কারারক্ষী ( সু‌বেদ‌রা ) সা‌হেবগন সাধারন ব‌ন্দি, ক‌য়ে‌দি বন্দ‌ি সক‌লের উ‌দ্যেশে ব‌লে দেয় কাউ‌কে কোন টাকা দি‌বেন না ক‌য়ে‌দি ব‌ন্দি বা ওয়ার্ড ইনচার্জ‌দের ব‌লে দেয় কোন বন্দির থে‌কে টাকা নি‌বেন না। অাবার  ইনচার্জ‌দের টাকা না দিলে  থাকার জন‌্য ভালো কোন থালাবা‌টি কম্ভল জো‌টেনা । ভব‌সে ডিউ‌টিরত  সহঃকারী রক্ষী (জমাদার) কারারক্ষী‌দের উৎপাত শুরু হয় ৫০ বা ১০০ দি‌লে সব ঠিক।

(ঢাকা কে‌ন্দ্রিয় কারাগা‌রের অারও গুরুত্ব পূর্ন খবর থাক‌ছে অাগী প‌র্বে।  চোখ রাখুন  সম‌য়ের ক‌ন্ঠ)