পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চালের পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে দুস্থদের মাঝে নগদ অর্থ।
- আপডেট টাইম : ০৬:০৪:৫১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
- / ২৮৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
আব্দুল্লাহ আল সুমন বিশেষ প্রতিনিধি( ঠাকুরগাঁও)।। হাতে একটি ব্যাগ নিয়ে নিজস্ব মোটরসাইকেল করে ইউনিয়নের দুস্থ ও অসহায়দের বাড়িতে যাচ্ছেন তিনি। তালিকা অনুযায়ি নাম খুজে বের করে বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসছেন ঈদে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার।
শুক্রবার(০৭ এপ্রিল) সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আকচা ইউনিয়নে এমনি একটি চিত্র চোখে পড়ে। এবারে ভিন্ন একটি উদ্যোগ নিয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মণ। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ভিজিএফ এর নগদ অর্থ নিজেই হাতে নিয়ে দুস্থদের বাড়িতে গেলেন তিনি।
সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাতে একটি ব্যাগ নিয়ে নিজের মোটরসাইকেল করে তালিকা অনুযায়ি ইউনিয়নের দুস্থ ও অসহায়দের বাড়িতে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান। এরপর সেখানে দিয়ে সেই দুস্থ ব্যক্তির হাতের ছাপ নিয়ে তার হাতে বুঝিয়ে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নগদ অর্থ (৪৫০ টাকা)। চেয়ারম্যানের এমনি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ইউনিয়নের সর্বস্থরের বাসিন্দারা।
আকচা ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য মতে এবারে ঈদে ১৫শ ৫৮ জন দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল সকালে ইউনিয়নে ভিজিএফ এর বদলে নগদ টাকা বিতরণের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান অরুনাংশু দত্ত টিটো সহ স্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নগদ অর্থ হাতে পেয়ে ইউনিয়নের বাসিন্দা মফিজুল বলেন,প্রতিবারে চাল দিতো এবারে প্রথম টাকা পাইলাম। ভালোই হয়েছে এই টাকা দিয়ে চালের সাথে অন্য কিছু কিনতে পাড়বো আরকি। তবে চেয়ারম্যান যে উদ্যোগটি নিয়ে এটি অনেক ভালো হয়েছে। তিনি নিজে বাসায় এসে প্রধাণমন্ত্রীর উপহার দিয়ে যাচ্ছেন।
আকচা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুরুবালা বলেন,চেয়ারম্যান এবারে বাসা আসে চালের বদলে টাকা দিয়ে গেলো। খুব ভালো লাগলো বিষয়টি। এই টাকা দিয়ে ঈদের সেমাই কিনিম এইবার।
আকচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মণ বলেন,ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এলাকার দুস্থ অসহায়দের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ভিজিএফ’র চাল দেয়া হতো। এবারে একটু ভিন্ন। চালের পরিবর্তে এবারে নগত অর্থ দেয়া হচ্ছে। এই নগদ অর্থটি যাতে সঠিক মানুষটি পায় সেজন্য আমি নিজে মাঠ পর্যায়ে এসে দিয়ে যাচ্ছি। এতে কষ্ট হলেও সমস্যা নেই। কারন এলাকার সঠিক মানুষটি তার অধিকারের অর্থটি পাচ্ছে এটাই সব থেকে বড় খুশি।