ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

হাটের জমি এখন এলাকার প্রভাবশালীদের  দখলে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১০:৪০:৩৭ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
  • / ২৬৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

আব্দুল্লাহ আল সুমন বিশেষ প্রতিনিধি (ঠাকুরগাঁও।।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ  উপজেলার কৃষকের কৃষি  পণ্য কেনাবেচার ঐতিহ্যবাহী জনগাও  হাট এখন এলাকার প্রভাবশালীদের দখলে ।

সপ্তাহের প্রতি বুধবার ও রবিবার এ হাট লাগে, হাটের আওতায় জমির পরিমাণ ১ একর ৩৭ শতক।

কিন্তু বেশির ভাগ জমি বেদখল হচ্ছে ক্ষমতাধরদের হাতে,ধীরে ধীরে প্রশাসনের নাকের ডগায় পাকা, আধা পাকা, টিনশেডের দোকানঘর, ব্যবসায়িক মিল, বাড়িঘর অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে দোকানপাট ।

এখন পর্যন্ত নীরব ভূমিকা পালন করছেন প্রশাসন।

জনগাও হাটি স্থানীয় প্রশাসন বার্ষিক চুক্তিতে মোটা অঙ্কের টাকায় ইজারা নেয়ার পরও ইজারাদারকে হাট বসাতে হচ্ছে রাস্তার উপরে।

অথচ হাটটির প্রতি বছরে  রাজস্বা  আসে মোটা অঙ্কের।অথচ হাটি দখল  করে বসে আছে স্থানীয়রা, কেউ কেউ হাটের পাহারাদারকে দিয়ে প্রতি মাসে ঘর ভাড়া আদায় করছেন।

আবার জামানত বাবদ মোটা অঙ্কের টাকাও নিয়েছেন একদল দখলবাজরা।

এ কারণে ইজারাদার সরকারি নিয়মের বাইরে জনসাধারণের জন্য ভালো ভাবে হাটিতে কেনাবেচা করতে সমস্যা হচ্ছে।

এছাড়াও   বছরে লাখ লাখ টাকা গচ্ছা দিচ্ছে জনসাধারণকে।অন্যদিকে  ইজারাদারকে   অপমান-অপদস্ত হতে হয় দখলবাজদের কারণে।

এ দিকে ওই হাটটি বাংলা ১৪২৮ সনে এক বছরের জন্য,  ১০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা,

এক বছরের বার্ষিক ইজারা নিয়ে ইজারাদার এস এম   ওয়াহেদ মোটা অঙ্কের টাকা লোকসান দিয়েছেন বলে তারা দাবি করেন।

সম্প্রতি সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটের সরকারি নির্দিষ্ট জমির ওপর ব্যক্তি মালিকানার বাড়িঘর,।

লেদমেশিনের দোকান, হোটেল, ব্রয়লার মুরগির দোকান, সারের দোকান, স্টক ব্যবসার জন্য গুদামঘর, হলুদভাঙা ও ধান পিশানো মিল এমন শতাধিকের ওপর স্থাপনা গড়ে উঠেছে।

এ স্থাপনাগুলো পাকা, আধা পাকা, টিনশেড অবস্থায় রয়েছে। হাটের নির্দিষ্ট জমির ওপর শুধু ধান, কাঁচামাল, হাঁস-মুরগি, ছোট ছোট ভ্রাম্যমাণ কাপড়ের দোকান বসে।

হাটের জায়গা  বেদখল থাকায় সাইকেল, গরু, ছাগলের হাট বসাতে পারছেনা স্বাধীনতার পর থেকেই।

যদিও ইজারা রশিদে সরকার নির্ধারিত টাকার পরিমাণ লেখা রয়েছে। এ নিয়ে মাঝে মাঝে হাটে করতে আসা মানুষদের সাথে ঝগড়া হয় ইজারাদারের লোকজনের।

তবে হাট টি ইজারাদারের দাবি হাটের  জায়গায় হাট বসানো না হলে  আমাদের বাড়তি টাকা নিতে হবে ।

সাধারণ মানুষ বলছেন হাটের জমি দখল করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে

ওই এলাকার  বাসিন্দা নাম প্রকাশ করতে অইচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এর আগে  তৎকালীন ইজারাদারের সহযোগিতায় দোকান ঘরটি তুলে এখন পর্যন্ত ব্যবসা করছি।

কিন্তু তিনি কোনো ইজারা দেন না। একইভাবে হাটের জমির ওপর ব্যক্তিগত গুদাম ঘর করেছেন।  শতাধিক ব্যক্তিমালিকানার অবৈধ স্থাপনা রয়েছে হাটের জমির ওপর।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বাংলা সনে হাটটি খাস কালেকশন হিসেবে ইজারা আদায় হচ্ছে।

অন্য  দিকে অভিযোগ উঠেছে   হাটিতে কয়েকটি পুরাতন গাছ থাকায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ার ভয়ে স্থানীয়রা ও একদল দখলবাজ  একটি বড় আম গাছ কেটে ফেলেছেন।

হাট টি দখল মুক্ত না হলে হয়তো এক এক করে প্রতিটি গাছ এভাবেই কেটে ফেলা হবে।

১৪২৮ বাংলা সনের এক বছর মেয়াদে ইজারা বন্দোবস্ত দেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী এস এম ওয়াহেদ ১০ লাখ ৫৫ হাজার টাকার পে-অর্ডার সংযুক্ত করে ইজারাপত্র দাখিল করেন। ইজারাদার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হাট ইজারা নিতে হয়েছে তাকে । এ ব্যাপারে সহকারী ভূমি কমিশনার মোঃ তরিকুল ইসলাম  বলেন, জনগাও হাট টি দখল মুক্ত করে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খোলা বাজার থাকবে। এনিয়ে ইউএনও এর সাথে কথা হয়েছে। আশা করি শিগগিরই হাটের জমি ও অবৈধ স্থাপনা দখল মুক্ত করে  উক্ত হটি  উদ্ধার করা হবে। এ ব্যাপারে  উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজাউল করিম  জানান, জনগাও হাট টি দখলবাজদের  হাতথেকে  উদ্ধারে করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হাটের জমি এখন এলাকার প্রভাবশালীদের  দখলে

আপডেট টাইম : ১০:৪০:৩৭ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১

আব্দুল্লাহ আল সুমন বিশেষ প্রতিনিধি (ঠাকুরগাঁও।।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ  উপজেলার কৃষকের কৃষি  পণ্য কেনাবেচার ঐতিহ্যবাহী জনগাও  হাট এখন এলাকার প্রভাবশালীদের দখলে ।

সপ্তাহের প্রতি বুধবার ও রবিবার এ হাট লাগে, হাটের আওতায় জমির পরিমাণ ১ একর ৩৭ শতক।

কিন্তু বেশির ভাগ জমি বেদখল হচ্ছে ক্ষমতাধরদের হাতে,ধীরে ধীরে প্রশাসনের নাকের ডগায় পাকা, আধা পাকা, টিনশেডের দোকানঘর, ব্যবসায়িক মিল, বাড়িঘর অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে দোকানপাট ।

এখন পর্যন্ত নীরব ভূমিকা পালন করছেন প্রশাসন।

জনগাও হাটি স্থানীয় প্রশাসন বার্ষিক চুক্তিতে মোটা অঙ্কের টাকায় ইজারা নেয়ার পরও ইজারাদারকে হাট বসাতে হচ্ছে রাস্তার উপরে।

অথচ হাটটির প্রতি বছরে  রাজস্বা  আসে মোটা অঙ্কের।অথচ হাটি দখল  করে বসে আছে স্থানীয়রা, কেউ কেউ হাটের পাহারাদারকে দিয়ে প্রতি মাসে ঘর ভাড়া আদায় করছেন।

আবার জামানত বাবদ মোটা অঙ্কের টাকাও নিয়েছেন একদল দখলবাজরা।

এ কারণে ইজারাদার সরকারি নিয়মের বাইরে জনসাধারণের জন্য ভালো ভাবে হাটিতে কেনাবেচা করতে সমস্যা হচ্ছে।

এছাড়াও   বছরে লাখ লাখ টাকা গচ্ছা দিচ্ছে জনসাধারণকে।অন্যদিকে  ইজারাদারকে   অপমান-অপদস্ত হতে হয় দখলবাজদের কারণে।

এ দিকে ওই হাটটি বাংলা ১৪২৮ সনে এক বছরের জন্য,  ১০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা,

এক বছরের বার্ষিক ইজারা নিয়ে ইজারাদার এস এম   ওয়াহেদ মোটা অঙ্কের টাকা লোকসান দিয়েছেন বলে তারা দাবি করেন।

সম্প্রতি সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটের সরকারি নির্দিষ্ট জমির ওপর ব্যক্তি মালিকানার বাড়িঘর,।

লেদমেশিনের দোকান, হোটেল, ব্রয়লার মুরগির দোকান, সারের দোকান, স্টক ব্যবসার জন্য গুদামঘর, হলুদভাঙা ও ধান পিশানো মিল এমন শতাধিকের ওপর স্থাপনা গড়ে উঠেছে।

এ স্থাপনাগুলো পাকা, আধা পাকা, টিনশেড অবস্থায় রয়েছে। হাটের নির্দিষ্ট জমির ওপর শুধু ধান, কাঁচামাল, হাঁস-মুরগি, ছোট ছোট ভ্রাম্যমাণ কাপড়ের দোকান বসে।

হাটের জায়গা  বেদখল থাকায় সাইকেল, গরু, ছাগলের হাট বসাতে পারছেনা স্বাধীনতার পর থেকেই।

যদিও ইজারা রশিদে সরকার নির্ধারিত টাকার পরিমাণ লেখা রয়েছে। এ নিয়ে মাঝে মাঝে হাটে করতে আসা মানুষদের সাথে ঝগড়া হয় ইজারাদারের লোকজনের।

তবে হাট টি ইজারাদারের দাবি হাটের  জায়গায় হাট বসানো না হলে  আমাদের বাড়তি টাকা নিতে হবে ।

সাধারণ মানুষ বলছেন হাটের জমি দখল করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে

ওই এলাকার  বাসিন্দা নাম প্রকাশ করতে অইচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এর আগে  তৎকালীন ইজারাদারের সহযোগিতায় দোকান ঘরটি তুলে এখন পর্যন্ত ব্যবসা করছি।

কিন্তু তিনি কোনো ইজারা দেন না। একইভাবে হাটের জমির ওপর ব্যক্তিগত গুদাম ঘর করেছেন।  শতাধিক ব্যক্তিমালিকানার অবৈধ স্থাপনা রয়েছে হাটের জমির ওপর।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বাংলা সনে হাটটি খাস কালেকশন হিসেবে ইজারা আদায় হচ্ছে।

অন্য  দিকে অভিযোগ উঠেছে   হাটিতে কয়েকটি পুরাতন গাছ থাকায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ার ভয়ে স্থানীয়রা ও একদল দখলবাজ  একটি বড় আম গাছ কেটে ফেলেছেন।

হাট টি দখল মুক্ত না হলে হয়তো এক এক করে প্রতিটি গাছ এভাবেই কেটে ফেলা হবে।

১৪২৮ বাংলা সনের এক বছর মেয়াদে ইজারা বন্দোবস্ত দেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী এস এম ওয়াহেদ ১০ লাখ ৫৫ হাজার টাকার পে-অর্ডার সংযুক্ত করে ইজারাপত্র দাখিল করেন। ইজারাদার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হাট ইজারা নিতে হয়েছে তাকে । এ ব্যাপারে সহকারী ভূমি কমিশনার মোঃ তরিকুল ইসলাম  বলেন, জনগাও হাট টি দখল মুক্ত করে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খোলা বাজার থাকবে। এনিয়ে ইউএনও এর সাথে কথা হয়েছে। আশা করি শিগগিরই হাটের জমি ও অবৈধ স্থাপনা দখল মুক্ত করে  উক্ত হটি  উদ্ধার করা হবে। এ ব্যাপারে  উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজাউল করিম  জানান, জনগাও হাট টি দখলবাজদের  হাতথেকে  উদ্ধারে করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।