ঢাকা ১১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড

প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত হয়।

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩০:২৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১
  • / ৩৩৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার।।

চট্টগ্রামঃ- আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এই দিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল দেশের উপকূলীয় জনপদ। এদিন প্রায় আড়াইশ’ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত এবং ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস তছনছ করে দিয়েছিল উপকূলীয় জনপদ। সেদিনের ঘটনায় দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত হয়। ১ কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারায়। নিহতের সংখ্যা বিচারে স্মরণকালের ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে ৯১-এর এই ঘূর্ণিঝড় একটি।…. এই দিনটির কথা আজও ভোলেনি সন্দ্বীপের মানুষ।

নিহতের সংখ্যা বিচারে স্মরণকালের ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে ৯১-এর এই ঘূর্ণিঝড় একটি। ৯১-এর এই ভয়াল ঘটনা এখনও দুঃস্বপ্নের মতো তাড়িয়ে বেড়ায় উপকূলবাসীকে। ঘটনার ৩০ বছর পরও স্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে পারছেন না সেই দুঃসহ দিনটি। গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যায় জলোচ্ছ্বাস আর ঘূর্ণিঝড়ের কথা মনে হলে। নিহতদের লাশ, স্বজন হারানোদের আর্তচিৎকার আর বিলাপ বার বার ফিরে আসে তাদের জীবনে।

১৯৯১ সালের এদিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে উত্তর চট্টগ্রামের উপকুলীয় অঞ্চল সন্দ্বীপও লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এই দিনটির কথা আজও ভোলেনি সন্দ্বীপের মানুষ। দুঃখের বিষয় দীর্ঘ ২৯ বছর বছর পর ব্লক বেড়ীবাঁধ নির্মাণ হলেও অনিয়মের অভিযোগে সত্যতা পেয়েছেন স্বয়ং পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। এছাড়া পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেল্টার নেই সন্দ্বীপে। সন্দ্বীপে বসবাসরত প্রায় চার লাখ মানুষের জন্য সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে ৬৫টি। প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য সাইক্লোন শেল্টার একটি। একটি সাইক্লোন শেল্টারের ধারণ ক্ষমতা তিনশরও কম মানুষ। সন্দ্বীপের বেড়িবাঁধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। রূপনগর সমাজ কল্যাণ সমিতি, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি ডাঃ দিবাকর চন্দ্র দাস   বলেন, ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্নিঝড়ে সন্দ্বীপে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ মারা গেছে। সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি আমরা সন্দ্বীপবাসী। সন্দ্বীপে পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার নেই। অনেক জায়গায় এখনও বেড়িবাঁধ নেই। আবার থাকলেও কোনো বেড়িবাঁধের উচ্চতা চার ফুটের বেশি নয়। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে সন্দ্বীপকে রক্ষা করতে দ্বীপের চারদিকে কমপক্ষে ১৫ ফুট উঁচু বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা জরুরি।

রূপনগর সমাজ কল্যাণ সমিতি, কেন্দ্রীয় কমিটির  বলেন সভাপতি জনাব ডাঃ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, উপকূল বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। ১৯৯১ সালে ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াল রাতে সন্দ্বীপে প্রায় ২০-৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত হয়।

আপডেট টাইম : ০৮:৩০:২৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার।।

চট্টগ্রামঃ- আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এই দিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল দেশের উপকূলীয় জনপদ। এদিন প্রায় আড়াইশ’ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত এবং ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস তছনছ করে দিয়েছিল উপকূলীয় জনপদ। সেদিনের ঘটনায় দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত হয়। ১ কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারায়। নিহতের সংখ্যা বিচারে স্মরণকালের ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে ৯১-এর এই ঘূর্ণিঝড় একটি।…. এই দিনটির কথা আজও ভোলেনি সন্দ্বীপের মানুষ।

নিহতের সংখ্যা বিচারে স্মরণকালের ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে ৯১-এর এই ঘূর্ণিঝড় একটি। ৯১-এর এই ভয়াল ঘটনা এখনও দুঃস্বপ্নের মতো তাড়িয়ে বেড়ায় উপকূলবাসীকে। ঘটনার ৩০ বছর পরও স্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে পারছেন না সেই দুঃসহ দিনটি। গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যায় জলোচ্ছ্বাস আর ঘূর্ণিঝড়ের কথা মনে হলে। নিহতদের লাশ, স্বজন হারানোদের আর্তচিৎকার আর বিলাপ বার বার ফিরে আসে তাদের জীবনে।

১৯৯১ সালের এদিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে উত্তর চট্টগ্রামের উপকুলীয় অঞ্চল সন্দ্বীপও লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এই দিনটির কথা আজও ভোলেনি সন্দ্বীপের মানুষ। দুঃখের বিষয় দীর্ঘ ২৯ বছর বছর পর ব্লক বেড়ীবাঁধ নির্মাণ হলেও অনিয়মের অভিযোগে সত্যতা পেয়েছেন স্বয়ং পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। এছাড়া পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেল্টার নেই সন্দ্বীপে। সন্দ্বীপে বসবাসরত প্রায় চার লাখ মানুষের জন্য সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে ৬৫টি। প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য সাইক্লোন শেল্টার একটি। একটি সাইক্লোন শেল্টারের ধারণ ক্ষমতা তিনশরও কম মানুষ। সন্দ্বীপের বেড়িবাঁধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। রূপনগর সমাজ কল্যাণ সমিতি, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি ডাঃ দিবাকর চন্দ্র দাস   বলেন, ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্নিঝড়ে সন্দ্বীপে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ মারা গেছে। সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি আমরা সন্দ্বীপবাসী। সন্দ্বীপে পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার নেই। অনেক জায়গায় এখনও বেড়িবাঁধ নেই। আবার থাকলেও কোনো বেড়িবাঁধের উচ্চতা চার ফুটের বেশি নয়। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে সন্দ্বীপকে রক্ষা করতে দ্বীপের চারদিকে কমপক্ষে ১৫ ফুট উঁচু বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা জরুরি।

রূপনগর সমাজ কল্যাণ সমিতি, কেন্দ্রীয় কমিটির  বলেন সভাপতি জনাব ডাঃ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, উপকূল বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। ১৯৯১ সালে ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াল রাতে সন্দ্বীপে প্রায় ২০-৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।