ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা রাজধানী খিলগাঁও, ঈদুল আযহারের তৃতীয় দিনে ডিপুর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সাথে প্রেরণামূলক দেখা সাক্ষাৎ। কাউন্সিলর পতপ্রার্থী বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলস, গাড়িতে আগুন বিক্ষোভ চলাকালে গাড়িতে আগুন ২ মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা নির্বাচনে ভিন্ন কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: জামায়াত আমির এইবারে ঈদুল আযহারঃকুরবানির পশু চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আশুলিয়ার জিরাবো বাজারে কাপড়ের দোকানে আগুন ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ট্রাম্প, নতুন দল করছেন মাস্ক! ৩৫ হাজার মানুষের পরিশ্রমে পরিচ্ছন্ন সব সিটি কর্পোরেশন: আসিফ মাহমুদ ঈদের দ্বিতীয় দিনে ৭৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল

লালমনিরহাটে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে  নির্যাতনের ঘটনায় তদন্তে সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি। 

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ৩০২ ১৫০.০০০ বার পাঠক
লালমনিরহাট রিপোর্টার।।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মহির উদিনের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চেয়ারের সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগের তদন্তে সত্যতা খুজে পায়নি তদন্ত কমিটি। এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত প্রতিবেদন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফরের কাছে প্রেরণ করেন ওই ঘটনার  তদন্তকারী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টি.এম.এ মমিন।
 এর আগে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারী জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী ধনীকে গরু চুরির অপরাধে চেয়াররের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ  তুলে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ করেন মোহর উদ্দিন নামের এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
প্রাপ্ত প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, যে  গত ৬ ফেব্রয়ারী ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী ধনীকে গরু চুরির অপরাধে চেয়াররের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের যে অভিযোগ ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে করা হয়েছে তা তদন্তে সত্যতা মিলেনি।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে,  বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী ধনীর পুত্র হারুনুর রশীদ ওরফে আবু গরু চুরির সাথে জড়িত ছিলেন । বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী ধনী তার পুত্রের চুরিকৃত গরু বিক্রয়ের ১০ হাজার টাকা নিজ হাতে গ্রহন করেছেন। তবে ওই তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চেয়ারম্যান তার নিজ বাড়িতে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন মাত্র।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টি.এম.এ মমিন বলেন, গত ২২ ফেব্রয়ারী অভিযোগের ভিত্তিতে সড়ে জমিন তদন্ত করি। এ সময় গোপনে ও প্রকাশ্যে বিভিন্ন জনের সাক্ষ্য গ্রহন করে গত ৩ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক বরাবর জমা দিয়েছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। যেহেতু এ ঘটনায় ফৌজদারী মামলা রয়েছে, সেহেতু আদালতের রায়ের পর যদি প্রয়োজনে মন হয় তাহলে আইন মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

লালমনিরহাটে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে  নির্যাতনের ঘটনায় তদন্তে সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি। 

আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১
লালমনিরহাট রিপোর্টার।।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মহির উদিনের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চেয়ারের সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগের তদন্তে সত্যতা খুজে পায়নি তদন্ত কমিটি। এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত প্রতিবেদন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফরের কাছে প্রেরণ করেন ওই ঘটনার  তদন্তকারী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টি.এম.এ মমিন।
 এর আগে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারী জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী ধনীকে গরু চুরির অপরাধে চেয়াররের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ  তুলে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ করেন মোহর উদ্দিন নামের এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
প্রাপ্ত প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, যে  গত ৬ ফেব্রয়ারী ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী ধনীকে গরু চুরির অপরাধে চেয়াররের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের যে অভিযোগ ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে করা হয়েছে তা তদন্তে সত্যতা মিলেনি।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে,  বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী ধনীর পুত্র হারুনুর রশীদ ওরফে আবু গরু চুরির সাথে জড়িত ছিলেন । বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী ধনী তার পুত্রের চুরিকৃত গরু বিক্রয়ের ১০ হাজার টাকা নিজ হাতে গ্রহন করেছেন। তবে ওই তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চেয়ারম্যান তার নিজ বাড়িতে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন মাত্র।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টি.এম.এ মমিন বলেন, গত ২২ ফেব্রয়ারী অভিযোগের ভিত্তিতে সড়ে জমিন তদন্ত করি। এ সময় গোপনে ও প্রকাশ্যে বিভিন্ন জনের সাক্ষ্য গ্রহন করে গত ৩ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক বরাবর জমা দিয়েছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। যেহেতু এ ঘটনায় ফৌজদারী মামলা রয়েছে, সেহেতু আদালতের রায়ের পর যদি প্রয়োজনে মন হয় তাহলে আইন মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।