ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মতিঝিল উত্তর থানা জামায়াত কর্তৃক সেহরি ও ইফতার ফুড প্যাকেট উপহার প্রদান জামায়াতে ইসলামী শহীদ ও আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের জাতীয় সম্পদ হিসেবে মূল্যায়ন করে – ডা. শফিকুর রহমান ৩ বছর পর পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণ নিখোঁজ আনোয়ার হোসেন শিকদার কে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন আ.লীগ নিষিদ্ধ হবে নাকি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে- কী বলছেন ড. ইউনূস আবরার ফাহাদকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত, জানালেন উপদেষ্টা আসিফ বিসিবির ১৮তম সভা আজ, জানা যাবে সিমন্সের ভাগ্য নতি স্বীকার জেলেনস্কির, জানালেন চুক্তি সইয়ে প্রস্তুত ইউক্রেন অগ্রনী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বকতিয়ার আহম্মেদ এর পদত্যাগ ও অপসারণ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ক্রমান্বয়ে দেশের মানুষ জামায়াতের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠছে –রুহুল আমিন ভুইঁয়া

দৌলতপুরে গমের ফলনে খুশি কৃষক

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:১৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১
  • / ৩৫৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

অর্থ দৌলতপুর ॥

কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে ধান চাষের পাশাপাশি কৃষকরা গম চাষও করে থাকেন। খাদ্য তালিকার অন্যতম ফসল গম। আবার গম অর্থকরী ফসলও বটে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চলতি মৌসুমে গমের ফলনও হয়েছে ভাল। শ্রমিক সংকট নিরসনে মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মাড়াই করার ফলে কৃষকদের সাশ্রয় হয়েছে সময় ও অর্থ।

চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৫হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। আর কৃষকের চাষকরা গম থেকে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন গম উৎপাদন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে গমচাষে কৃষকদের খরচ হয়েছে ৫-৭ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ১৮ থেকে ২০ মন। নূন্যতম ১১০০ টাকা মন হিসেবে খরচ বাদ দিয়ে কৃষকদের লাভ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এরআগে শ্রমিক দিয়ে গমকাটা ও মাড়াইয়ে কৃষকদের খচর হতো বেশী। এবছর কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মড়াইয়ের ফলে কৃষকদের সময় ও অর্থ দুই-ই সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি গমের অপচয়ও হয়েছে কম। ফলে খুশি তারা। আদাবড়িয়া এলাকার কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, কম খরচে ও অল্প সময়ে সে ৩বিঘা জমির গম কেটে ঘরে তুলেছে। এতে তার সময় ও অর্থ দুই-ই সাশ্রয় হয়েছে। অপচয়ও কম হয়েছে। একই অভিমত প্রকাশ করেছেন গোয়ালগ্রামের কৃষক আবুল কালাম।

কৃষি বিভাগের সহায়তায় সরকার থেকে ভতুর্কি পেয়ে কৃষকদের কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ক্রয় করে তা দিয়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ বিঘা গম কাটা ও মাড়াই করা সম্ভব হয়েছে। যা থেকে কৃষক ও মেশিন মালিক দু’জনই লাভবান হয়েছেন। আদাবাড়িয়া এলাকার কৃষক উজ্বল হোসেন জানান, ভতুর্কি পেয়ে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ক্রয় করে কৃষকদের গম কাটা ও মাড়াই করে এবছর বেশ লাভবান হয়েছি। কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মাড়াই করার ফলে কৃষকদের অর্থ, সময় ও গমের অপচয় কম হয় বলে জানান তিনি।

গম চাষে কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ, সারসহ প্রয়োজীয় প্রনোদনা ও পরামর্শ দেওয়ায় এবছর গমের ফলন ভাল হয়েছে। পাশাপাশি শতকরা ৫০ ভাগ ভতুর্কির মাধ্যমে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করার ফলে কৃষকরা তা ক্রয় করে লাভবান হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম।

কৃষি নির্ভর দেশে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষকদের সার্বিক সহায়তা দিলে গমচাষ আরো বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তান্তিতে ও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সংশ্লিষ্টরা এমনটাই মনে করেছেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৌলতপুরে গমের ফলনে খুশি কৃষক

আপডেট টাইম : ০৮:১৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১

অর্থ দৌলতপুর ॥

কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে ধান চাষের পাশাপাশি কৃষকরা গম চাষও করে থাকেন। খাদ্য তালিকার অন্যতম ফসল গম। আবার গম অর্থকরী ফসলও বটে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চলতি মৌসুমে গমের ফলনও হয়েছে ভাল। শ্রমিক সংকট নিরসনে মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মাড়াই করার ফলে কৃষকদের সাশ্রয় হয়েছে সময় ও অর্থ।

চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৫হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। আর কৃষকের চাষকরা গম থেকে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন গম উৎপাদন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে গমচাষে কৃষকদের খরচ হয়েছে ৫-৭ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ১৮ থেকে ২০ মন। নূন্যতম ১১০০ টাকা মন হিসেবে খরচ বাদ দিয়ে কৃষকদের লাভ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এরআগে শ্রমিক দিয়ে গমকাটা ও মাড়াইয়ে কৃষকদের খচর হতো বেশী। এবছর কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মড়াইয়ের ফলে কৃষকদের সময় ও অর্থ দুই-ই সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি গমের অপচয়ও হয়েছে কম। ফলে খুশি তারা। আদাবড়িয়া এলাকার কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, কম খরচে ও অল্প সময়ে সে ৩বিঘা জমির গম কেটে ঘরে তুলেছে। এতে তার সময় ও অর্থ দুই-ই সাশ্রয় হয়েছে। অপচয়ও কম হয়েছে। একই অভিমত প্রকাশ করেছেন গোয়ালগ্রামের কৃষক আবুল কালাম।

কৃষি বিভাগের সহায়তায় সরকার থেকে ভতুর্কি পেয়ে কৃষকদের কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ক্রয় করে তা দিয়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ বিঘা গম কাটা ও মাড়াই করা সম্ভব হয়েছে। যা থেকে কৃষক ও মেশিন মালিক দু’জনই লাভবান হয়েছেন। আদাবাড়িয়া এলাকার কৃষক উজ্বল হোসেন জানান, ভতুর্কি পেয়ে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ক্রয় করে কৃষকদের গম কাটা ও মাড়াই করে এবছর বেশ লাভবান হয়েছি। কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মাড়াই করার ফলে কৃষকদের অর্থ, সময় ও গমের অপচয় কম হয় বলে জানান তিনি।

গম চাষে কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ, সারসহ প্রয়োজীয় প্রনোদনা ও পরামর্শ দেওয়ায় এবছর গমের ফলন ভাল হয়েছে। পাশাপাশি শতকরা ৫০ ভাগ ভতুর্কির মাধ্যমে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করার ফলে কৃষকরা তা ক্রয় করে লাভবান হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম।

কৃষি নির্ভর দেশে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষকদের সার্বিক সহায়তা দিলে গমচাষ আরো বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তান্তিতে ও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সংশ্লিষ্টরা এমনটাই মনে করেছেন।