ঢাকা ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
ডাব চু’রি করতে গিয়ে গাছের উপরই অজ্ঞান কিশোর, ছয় ঘণ্টা পর উদ্ধার গোবিন্দগন্জে কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনার ধান ও পাট বীজ এবং সার বিতরণ জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, মুক্তাগাছা বেগুনবাড়ী সহ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে, মহা অষ্টমী স্নান উৎসব পালিত ঠাকুরগাঁওয়ে মাটি চাপা পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন অভিষেক ব্যানার্জী দেশে প্রথমবারের মতো ভূমি সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী কাশিমপুরে খাঁশ জমি দখলের অন্যতম সহযোগী সার্ভেয়ার রফিক ও দখলরাজ সন্ত্রাস বাহিনীর প্রধান রমজান আলী গং ভারতের রাষ্ট্রপতি, রাজভবন কে জন রাজভবনের জন্য চাবি তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে বস্তুনিষ্ঠ লেখনিতেই ছড়িয়ে পড়ে পরিচিতি, গড়ে ওঠে পাঠকের আস্থা নাজিরপুরে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নির্যাতন

দৌলতপুরে গমের ফলনে খুশি কৃষক

অর্থ দৌলতপুর ॥

কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে ধান চাষের পাশাপাশি কৃষকরা গম চাষও করে থাকেন। খাদ্য তালিকার অন্যতম ফসল গম। আবার গম অর্থকরী ফসলও বটে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চলতি মৌসুমে গমের ফলনও হয়েছে ভাল। শ্রমিক সংকট নিরসনে মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মাড়াই করার ফলে কৃষকদের সাশ্রয় হয়েছে সময় ও অর্থ।

চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৫হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। আর কৃষকের চাষকরা গম থেকে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন গম উৎপাদন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে গমচাষে কৃষকদের খরচ হয়েছে ৫-৭ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ১৮ থেকে ২০ মন। নূন্যতম ১১০০ টাকা মন হিসেবে খরচ বাদ দিয়ে কৃষকদের লাভ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এরআগে শ্রমিক দিয়ে গমকাটা ও মাড়াইয়ে কৃষকদের খচর হতো বেশী। এবছর কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মড়াইয়ের ফলে কৃষকদের সময় ও অর্থ দুই-ই সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি গমের অপচয়ও হয়েছে কম। ফলে খুশি তারা। আদাবড়িয়া এলাকার কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, কম খরচে ও অল্প সময়ে সে ৩বিঘা জমির গম কেটে ঘরে তুলেছে। এতে তার সময় ও অর্থ দুই-ই সাশ্রয় হয়েছে। অপচয়ও কম হয়েছে। একই অভিমত প্রকাশ করেছেন গোয়ালগ্রামের কৃষক আবুল কালাম।

কৃষি বিভাগের সহায়তায় সরকার থেকে ভতুর্কি পেয়ে কৃষকদের কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ক্রয় করে তা দিয়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ বিঘা গম কাটা ও মাড়াই করা সম্ভব হয়েছে। যা থেকে কৃষক ও মেশিন মালিক দু’জনই লাভবান হয়েছেন। আদাবাড়িয়া এলাকার কৃষক উজ্বল হোসেন জানান, ভতুর্কি পেয়ে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ক্রয় করে কৃষকদের গম কাটা ও মাড়াই করে এবছর বেশ লাভবান হয়েছি। কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মাড়াই করার ফলে কৃষকদের অর্থ, সময় ও গমের অপচয় কম হয় বলে জানান তিনি।

গম চাষে কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ, সারসহ প্রয়োজীয় প্রনোদনা ও পরামর্শ দেওয়ায় এবছর গমের ফলন ভাল হয়েছে। পাশাপাশি শতকরা ৫০ ভাগ ভতুর্কির মাধ্যমে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করার ফলে কৃষকরা তা ক্রয় করে লাভবান হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম।

কৃষি নির্ভর দেশে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষকদের সার্বিক সহায়তা দিলে গমচাষ আরো বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তান্তিতে ও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সংশ্লিষ্টরা এমনটাই মনে করেছেন।

আরো খবর.......
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাব চু’রি করতে গিয়ে গাছের উপরই অজ্ঞান কিশোর, ছয় ঘণ্টা পর উদ্ধার

দৌলতপুরে গমের ফলনে খুশি কৃষক

আপডেট টাইম : ০৮:১৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১

অর্থ দৌলতপুর ॥

কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে ধান চাষের পাশাপাশি কৃষকরা গম চাষও করে থাকেন। খাদ্য তালিকার অন্যতম ফসল গম। আবার গম অর্থকরী ফসলও বটে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চলতি মৌসুমে গমের ফলনও হয়েছে ভাল। শ্রমিক সংকট নিরসনে মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মাড়াই করার ফলে কৃষকদের সাশ্রয় হয়েছে সময় ও অর্থ।

চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৫হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। আর কৃষকের চাষকরা গম থেকে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন গম উৎপাদন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে গমচাষে কৃষকদের খরচ হয়েছে ৫-৭ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ১৮ থেকে ২০ মন। নূন্যতম ১১০০ টাকা মন হিসেবে খরচ বাদ দিয়ে কৃষকদের লাভ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এরআগে শ্রমিক দিয়ে গমকাটা ও মাড়াইয়ে কৃষকদের খচর হতো বেশী। এবছর কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মড়াইয়ের ফলে কৃষকদের সময় ও অর্থ দুই-ই সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি গমের অপচয়ও হয়েছে কম। ফলে খুশি তারা। আদাবড়িয়া এলাকার কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, কম খরচে ও অল্প সময়ে সে ৩বিঘা জমির গম কেটে ঘরে তুলেছে। এতে তার সময় ও অর্থ দুই-ই সাশ্রয় হয়েছে। অপচয়ও কম হয়েছে। একই অভিমত প্রকাশ করেছেন গোয়ালগ্রামের কৃষক আবুল কালাম।

কৃষি বিভাগের সহায়তায় সরকার থেকে ভতুর্কি পেয়ে কৃষকদের কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ক্রয় করে তা দিয়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ বিঘা গম কাটা ও মাড়াই করা সম্ভব হয়েছে। যা থেকে কৃষক ও মেশিন মালিক দু’জনই লাভবান হয়েছেন। আদাবাড়িয়া এলাকার কৃষক উজ্বল হোসেন জানান, ভতুর্কি পেয়ে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ক্রয় করে কৃষকদের গম কাটা ও মাড়াই করে এবছর বেশ লাভবান হয়েছি। কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মাড়াই করার ফলে কৃষকদের অর্থ, সময় ও গমের অপচয় কম হয় বলে জানান তিনি।

গম চাষে কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ, সারসহ প্রয়োজীয় প্রনোদনা ও পরামর্শ দেওয়ায় এবছর গমের ফলন ভাল হয়েছে। পাশাপাশি শতকরা ৫০ ভাগ ভতুর্কির মাধ্যমে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করার ফলে কৃষকরা তা ক্রয় করে লাভবান হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম।

কৃষি নির্ভর দেশে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষকদের সার্বিক সহায়তা দিলে গমচাষ আরো বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তান্তিতে ও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সংশ্লিষ্টরা এমনটাই মনে করেছেন।