পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল গোডাউনের অনুমোদন ছিল না
- আপডেট টাইম : ১০:৫৩:২৪ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১
- / ২৬২ ৫০০০.০ বার পাঠক
স্টাফ রিপোর্টার।।
পুরান ঢাকার আরমানিটোলা খেলার মাঠ সংলগ্ন একটি ছয়তলা ভবনের নিচতলায় কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হাজী মুসা ম্যানসন নামে ওই ভবনে থাকা কেমিক্যাল গোডাউনের লাইসেন্স দেয়নি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর।
তবে সিটি করপোরেশন তাদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে কিনা বিষয়টি যাচাই করে দেখা হবে।
আজ শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন।
তিনি বলেন, হাজী মুসা ম্যানসনে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল রয়েছে। এগুলো অবৈধ কেমিক্যালের দোকান। আমার জানা মতে ফায়ার সার্ভিস এদের কোনো ধরনের লাইসেন্স দেয়নি। তবে আমি জানি না সিটি করপোরেশন তাদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে কিনা। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এ কেমিক্যাল গোডাউন গড়ে উঠেছে। নিচ তলায় কেমিক্যাল গোডাউন আর ওপরে মানুষের বসবাস, এর মানে অগ্নিকুণ্ডেই বসবাস। এজন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
গোডাউনের কেমিক্যালগুলোর ধরণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে এগুলো হ্যাজার্ডিয়াস কেমিক্যাল, বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল রয়েছে এখানে। আমরা যখন ঘটনাস্থলে প্রথম আগুন নেভাতে আসি কেমিক্যালগুলোর জন্য অনেক সমস্যা হয়েছে। যারা কেমিক্যালগুলো এখানে রেখেছেন, এ মৃত্যুর জন্য তারা দায়ী।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দিনগত রাত সোয়া ৩টার দিকে আরমানিটোলার আরমানিয়ান স্ট্রিটের হাজী মুসা ম্যানসনে আগুনের সূত্রপাত হয়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি টিম যোগ দিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
জানা গেছে, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দ হয়ে বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে বাসিন্দারা আটকে পড়েন। ভবনটিতে ১৮টি পরিবার বসবাস করে। অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে প্রথমে আশপাশের ভবন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। আটকে পড়া অনেকেই মুমূর্ষু অবস্থায় গ্রিল কেটে, জানালা ভেঙ্গে, ছাদের দরজা ভেঙ্গে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সর্বশেষ খবর অনুযায়ী চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।নিহতরা হলেন- কবির, মার্কেটের প্রহরী রাসেল, রাসেলের ফুপা আরেক প্রহরী ওয়ালিউল্লাহ বেপারী (৭০) ও চতুর্থ তলার বাসিন্দা ইডেন মহিলা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া।
এছাড়া আরও ২১ জন বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে চারজন আইসিইউতে রয়েছেন, তবে কেউ এখনও আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন।