ঢাকা ০২:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫

সময়ের কন্ঠ’র অনুসন্ধানে রহস্যজনক ভাবে বিএনপির কর্মী সোহাগসহ চারজন কনডেম সেলে রাখার রহস্য উৎপাটন!

শোয়েব হোসেন ---
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৮:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫
  • / ৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

শহিদ জিয়া রাষ্ট্র উন্নয়ন গবেষণা পরিষদ এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো: সোহাগ, মো: রায়হান রুবেল, ইফতেখার সিজান, ও সোলেমান বেপারিকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কনডেম সেলে অন্যায়ভাবে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শহিদ জিয়া রাষ্ট্র উন্নয়ন গবেষনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জসিম উদ্দিন রাজা। রবিবার (২৯ মার্চ) বিভিন্ন সাংবাদিক ও একাধিক মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে মৌখিক ভাবে এমন অভিযোগ করেন তিনি।

রাজা জানান, মো: সোহাগসহ চারজনকে কারাগারে রাখা হয়েছে কনডেম সেলে।সেখানে মূলত ফাঁসির আসামিদের রাখা হয়। এমন কাজ পুরোপুরি জেল কোড লঙ্ঘন। বিচারাধীন বন্দীকে কখনোই মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের সেলে রাখার বিধান নাই। এটি দেশের সংবিধান, আইন, জেল কোড এর পরিপন্থী। আটকের পর কয়েকটি মামলায় তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ ভয়াবহ নির্যাতন করে।কিন্তু, তেমন চিকিৎসাও দেওয়া হয়নি। ফলে তারা মারাত্মক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে পরেছে!

রাজা আরও জানান,গত বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি মামলায় আদালতে তোলার সময়ে সোহাগ বলেছিলো – ‘আমি যে অবস্থায় আছি, তাতে হয়তো মারা যেতে পারি।’ ওই সময় পুলিশ তার মুখ চেপে ধরেছিলো,যেন কথা বলতে না পারে! মিথ্যা মামলায় বার বার সোহাগসহ চারজনকে অ্যারেস্ট দেখাচ্ছে। তাদেরকে কারাগারে যেভাবে রাখা হয়েছে, এটা স্পষ্টই আক্রোশ মুলক এবং চরমভাবে মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এসবের রহস্য উৎপাটন করাসহ জরুরি ভাবে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা আপনাদের নৈতিক দ্বায়িত্ব।

খবরে প্রকাশ, সাবেক আওয়ামীগ নেতা বর্তমান দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের (১,২,৩নং ওয়ার্ড) ১নং ইউনিট যুবদলের সদ্য সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ শাকিল বাদীপক্ষকে ব্যবহার করে ভিন্নমত দমন করছে।৫ই আগস্টের পর পলাতক শাকিল ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার বিএনপির বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরীকে বিপুল পরিমান টাকা দিয়ে এলাকায় এসে যুবদলের পদে নিয়োজিত হয়।

সোহাগের আইনজীবী রফিক খান জানান, বিগত ২৭শে মার্চ(বৃহস্পতিবার)দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো: সোহাগসহ চারজনকে অ্যারেস্টের আবেদন শুনানির জন্য সকাল ১১টায় সিএমএম কোর্টে আনা হয়। অতঃপর আদালত পুলিশের অ্যারেস্টের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং দশদিনের রিমান্ড শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে শুনানির জন্য রাখেন।

উক্ত আইনজীবী আরও জানান,গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ ঘটিকায় সোহাগের রিমান্ড শুনানি হয়। শুনানিতে আসামিপক্ষের বিশদ যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।শুনানিকালে উপস্থিত ছিলেন শহিদ জিয়া রাষ্ট্র উন্নয়ন গবেষণা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস শরীফ, আইন সম্পাদক অ্যাড. সফিকুর রহমান, শাওন মন্ডল প্রমুখ।

অনুসন্ধান চলমান ——–

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সময়ের কন্ঠ’র অনুসন্ধানে রহস্যজনক ভাবে বিএনপির কর্মী সোহাগসহ চারজন কনডেম সেলে রাখার রহস্য উৎপাটন!

আপডেট টাইম : ০৬:৫৮:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

শহিদ জিয়া রাষ্ট্র উন্নয়ন গবেষণা পরিষদ এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো: সোহাগ, মো: রায়হান রুবেল, ইফতেখার সিজান, ও সোলেমান বেপারিকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কনডেম সেলে অন্যায়ভাবে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শহিদ জিয়া রাষ্ট্র উন্নয়ন গবেষনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জসিম উদ্দিন রাজা। রবিবার (২৯ মার্চ) বিভিন্ন সাংবাদিক ও একাধিক মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে মৌখিক ভাবে এমন অভিযোগ করেন তিনি।

রাজা জানান, মো: সোহাগসহ চারজনকে কারাগারে রাখা হয়েছে কনডেম সেলে।সেখানে মূলত ফাঁসির আসামিদের রাখা হয়। এমন কাজ পুরোপুরি জেল কোড লঙ্ঘন। বিচারাধীন বন্দীকে কখনোই মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের সেলে রাখার বিধান নাই। এটি দেশের সংবিধান, আইন, জেল কোড এর পরিপন্থী। আটকের পর কয়েকটি মামলায় তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ ভয়াবহ নির্যাতন করে।কিন্তু, তেমন চিকিৎসাও দেওয়া হয়নি। ফলে তারা মারাত্মক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে পরেছে!

রাজা আরও জানান,গত বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি মামলায় আদালতে তোলার সময়ে সোহাগ বলেছিলো – ‘আমি যে অবস্থায় আছি, তাতে হয়তো মারা যেতে পারি।’ ওই সময় পুলিশ তার মুখ চেপে ধরেছিলো,যেন কথা বলতে না পারে! মিথ্যা মামলায় বার বার সোহাগসহ চারজনকে অ্যারেস্ট দেখাচ্ছে। তাদেরকে কারাগারে যেভাবে রাখা হয়েছে, এটা স্পষ্টই আক্রোশ মুলক এবং চরমভাবে মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এসবের রহস্য উৎপাটন করাসহ জরুরি ভাবে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা আপনাদের নৈতিক দ্বায়িত্ব।

খবরে প্রকাশ, সাবেক আওয়ামীগ নেতা বর্তমান দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের (১,২,৩নং ওয়ার্ড) ১নং ইউনিট যুবদলের সদ্য সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ শাকিল বাদীপক্ষকে ব্যবহার করে ভিন্নমত দমন করছে।৫ই আগস্টের পর পলাতক শাকিল ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার বিএনপির বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরীকে বিপুল পরিমান টাকা দিয়ে এলাকায় এসে যুবদলের পদে নিয়োজিত হয়।

সোহাগের আইনজীবী রফিক খান জানান, বিগত ২৭শে মার্চ(বৃহস্পতিবার)দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো: সোহাগসহ চারজনকে অ্যারেস্টের আবেদন শুনানির জন্য সকাল ১১টায় সিএমএম কোর্টে আনা হয়। অতঃপর আদালত পুলিশের অ্যারেস্টের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং দশদিনের রিমান্ড শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে শুনানির জন্য রাখেন।

উক্ত আইনজীবী আরও জানান,গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ ঘটিকায় সোহাগের রিমান্ড শুনানি হয়। শুনানিতে আসামিপক্ষের বিশদ যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।শুনানিকালে উপস্থিত ছিলেন শহিদ জিয়া রাষ্ট্র উন্নয়ন গবেষণা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস শরীফ, আইন সম্পাদক অ্যাড. সফিকুর রহমান, শাওন মন্ডল প্রমুখ।

অনুসন্ধান চলমান ——–