ঢাকা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
হাজারী গলী মহল্লা কমিটির উদ্যোগে ইফতার পার্টি সম্পন্ন নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সমন্বয় সভা দ্রুত বিচারের দাবিতে শহিদ পরিবারের সদস্যদের ট্রাইব্যুনাল ঘেরাও মোংলা বন্দরে কর্মরত অস্থায়ী শ্রমিক ও কর্মচারীদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ গাজায় রাতভর ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২১ হাসিনা রাইফেল দিয়ে ইতিহাস পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন: রিজভী সফলভাবে হার্টে রিং পরানোর পর তামিমের অবস্থা অনুকূলে: চিকিৎসক মুসলিম ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর, উপলক্ষে জমে উঠেছে মঠবাড়ীয়ার ঈদের মার্কেট গুলো চরফ্যাশনে পুর্বের শত্রুতাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত ৪

সেনাপ্রধান রিফাইন্ড আ. লীগের জন্য চাপ দেননি: সারজিস

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫২:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / ৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

নেত্র নিউজের প্রতিবেদন হাসনাতের বক্তব্য ‘হাস্যকর ও অপরিপক্ক গল্পের সম্ভার’: সেনাসদর

আওয়ামী লীগের ‘সংশোধিত’ একটি পক্ষের রাজনৈতিক পুনর্বাসনে রাজি হতে ‘ক্যান্টনমেন্ট’ থেকে চাপ পাওয়ার বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ যে দাবি করেছেন, তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সেনাবাহিনী সদর দপ্তর। 

শনিবার (২২ মার্চ) নেত্র নিউজকে দেওয়া সেনাসদরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনানিবাসে খোদ সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গেই ১১ মার্চ ওই বৈঠকটি হয়েছিল।

তবে হাসনাত আব্দুল্লাহকে ‘ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে তাদেরকে প্রস্তাব বা চাপ প্রয়োগে’র অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বরং হাসনাত আব্দুল্লাহ ও তার দলের আরেক মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমের আগ্রহেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

হাসনাত আব্দুল্লাহর ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে লেখেন, গত ১১ মার্চ দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ক্যান্টনমেন্টে এক বৈঠকে আসন সমঝোতা ও আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এছাড়া বৈঠকে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে মেনে নেওয়ার জন্য বলা হয়।

তিনি আরও বলেন, এর কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের।

হাসনাত আবদুল্লাহর এই পোস্টের পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যোগাযোগ করলে সেনাসদর একজন মুখপাত্রের মাধ্যমে বক্তব্য দেয়- তা উল্লেখ করা হয় নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্টকে ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বই অন্য কিছু নয়’ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে সেনাসদরের বিবৃতিতে।

এ ছাড়া এই ছাত্রনেতার বক্তব্যকে ‘অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ক গল্পের সম্ভার’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে সেনাবাহিনী।

বিবৃতিতে বলা হয়, হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলম দীর্ঘদিন যাবৎ সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ইচ্ছা পোষণ করছিলেন। পরবর্তীতে সারজিস আলম ১১ মার্চ ২০২৫ তারিখে সেনাপ্রধানের মিলিটারি এডভাইজারকে ফোন দিয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চান। এর প্রেক্ষিতে মিলিটারি এডভাইজার তাদেরকে সেনাসদরে আসার জন্য বলেন।

অতঃপর ১১ মার্চ দুপুরে সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহ সেনাসদরে না এসে সরাসরি সেনাভবনে সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করেন। পরবর্তীতে সেনাপ্রধান অফিস কার্যক্রম শেষ করে সেনা ভবনে এসে তাদের সঙ্গে দেখা করেন।

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ছাত্রনেতাদের বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল, তা নেত্র নিউজ স্বতন্ত্রভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিটের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পৃথকভাবে নেত্র নিউজকে বলেছেন, ছাত্রনেতাদের আগ্রহ ও উদ্যোগেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে আলোচনা হওয়ার বিষয়টি সেনাসদরের বক্তব্যে অস্বীকার করা হয়নি। সেখানে বলা হয়, আলোচনায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গ উঠে এলে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান নিজের অভিমতের কথা ছাত্রনেতাদের জানান।

বিবৃতিতে সেনাপ্রধানের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগের যেসব নেতারা ফৌজদারি মামলায় জড়িত নয় ও ক্লিন ইমেজের অধিকারী তাদের সমন্বয়ে নতুন আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, ফলপ্রসু ও আন্তর্জাতিক মহলে অধিকতর গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকার ও সব রাজনৈতিক দল মিলে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।’

আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গে দেওয়া বক্তব্য সেনাপ্রধানের নিজস্ব অভিমত হিসেবে আখ্যা দিয়ে ছাত্রনেতাদের ওপর চাপ প্রয়োগের অভিযোগ বিবৃতিতে অস্বীকার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি কোনোক্রমেই তাদেরকে ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে তাদেরকে প্রস্তাব বা চাপ প্রয়োগ করার ঘটনা নয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর (মতো) প্রতিষ্ঠিত সুশৃঙ্খল বাহিনীর প্রধান সদ্য প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের যুগ্ম সংগঠকদেরকে ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন বা চাপ প্রয়োগ করছেন যা অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ক গল্পের সম্ভার বলে প্রতীয়মান (হয়)।

অন্যদিকে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, আলোচনার একপর্যায়ে বলি- যেই দল এখনো ক্ষমা চায় নাই, অপরাধ স্বীকার করে নাই, সেই দলকে আপনারা কীভাবে ক্ষমা করে দিবেন! অপরপক্ষ থেকে রেগে গিয়ে উত্তর আসে, ‘ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডম অ্যান্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর এটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স। তোমার বয়সের থেকে বেশি। তাছাড়া আওয়ামী লীগ ছাড়া ‘ইনক্লুসিভ’ ইলেকশন হবে না।

নেত্র নিউজ লিখেছে, সেনাসদরের বক্তব্যে বলা হয়, এই দুই ছাত্র সমন্বয়ককে সেনাপ্রধান ‘অত্যন্ত স্নেহের দৃষ্টিতে ছেলের’ মতো দেখতেন। তিনি (স্নেহবৎসল) পরিবেশে তাদের সঙ্গে নানা আলাপচারিতা করেন। প্রাসঙ্গিকভাবে তাদের নতুন দল গঠনের শুভকামনা ও পরবর্তী রাজনৈতিক পথ চলার বিষয়ে নানা প্রসঙ্গে আলাপ করেন।

এ ছাড়াও পরবর্তী নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি তাদের রাজনৈতিক দলের প্রস্তুতি, অংশগ্রহণ ও অন্যান্য সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সকল দলের অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে ব্যাখ্যা করেন, যোগ করা হয় বিবৃতিতে।

সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে দেখা করার ১০ দিন পর ফেসবুকে হাসনাত আব্দুল্লাহর এই ধরনের অনভিপ্রেতকর পোস্ট দেওয়া সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বই অন্য কিছু নয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সেনাপ্রধান রিফাইন্ড আ. লীগের জন্য চাপ দেননি: সারজিস

আপডেট টাইম : ০৭:৫২:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

নেত্র নিউজের প্রতিবেদন হাসনাতের বক্তব্য ‘হাস্যকর ও অপরিপক্ক গল্পের সম্ভার’: সেনাসদর

আওয়ামী লীগের ‘সংশোধিত’ একটি পক্ষের রাজনৈতিক পুনর্বাসনে রাজি হতে ‘ক্যান্টনমেন্ট’ থেকে চাপ পাওয়ার বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ যে দাবি করেছেন, তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সেনাবাহিনী সদর দপ্তর। 

শনিবার (২২ মার্চ) নেত্র নিউজকে দেওয়া সেনাসদরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনানিবাসে খোদ সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গেই ১১ মার্চ ওই বৈঠকটি হয়েছিল।

তবে হাসনাত আব্দুল্লাহকে ‘ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে তাদেরকে প্রস্তাব বা চাপ প্রয়োগে’র অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বরং হাসনাত আব্দুল্লাহ ও তার দলের আরেক মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমের আগ্রহেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

হাসনাত আব্দুল্লাহর ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে লেখেন, গত ১১ মার্চ দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ক্যান্টনমেন্টে এক বৈঠকে আসন সমঝোতা ও আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এছাড়া বৈঠকে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে মেনে নেওয়ার জন্য বলা হয়।

তিনি আরও বলেন, এর কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের।

হাসনাত আবদুল্লাহর এই পোস্টের পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যোগাযোগ করলে সেনাসদর একজন মুখপাত্রের মাধ্যমে বক্তব্য দেয়- তা উল্লেখ করা হয় নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্টকে ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বই অন্য কিছু নয়’ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে সেনাসদরের বিবৃতিতে।

এ ছাড়া এই ছাত্রনেতার বক্তব্যকে ‘অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ক গল্পের সম্ভার’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে সেনাবাহিনী।

বিবৃতিতে বলা হয়, হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলম দীর্ঘদিন যাবৎ সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ইচ্ছা পোষণ করছিলেন। পরবর্তীতে সারজিস আলম ১১ মার্চ ২০২৫ তারিখে সেনাপ্রধানের মিলিটারি এডভাইজারকে ফোন দিয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চান। এর প্রেক্ষিতে মিলিটারি এডভাইজার তাদেরকে সেনাসদরে আসার জন্য বলেন।

অতঃপর ১১ মার্চ দুপুরে সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহ সেনাসদরে না এসে সরাসরি সেনাভবনে সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করেন। পরবর্তীতে সেনাপ্রধান অফিস কার্যক্রম শেষ করে সেনা ভবনে এসে তাদের সঙ্গে দেখা করেন।

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ছাত্রনেতাদের বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল, তা নেত্র নিউজ স্বতন্ত্রভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিটের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পৃথকভাবে নেত্র নিউজকে বলেছেন, ছাত্রনেতাদের আগ্রহ ও উদ্যোগেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে আলোচনা হওয়ার বিষয়টি সেনাসদরের বক্তব্যে অস্বীকার করা হয়নি। সেখানে বলা হয়, আলোচনায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গ উঠে এলে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান নিজের অভিমতের কথা ছাত্রনেতাদের জানান।

বিবৃতিতে সেনাপ্রধানের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগের যেসব নেতারা ফৌজদারি মামলায় জড়িত নয় ও ক্লিন ইমেজের অধিকারী তাদের সমন্বয়ে নতুন আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, ফলপ্রসু ও আন্তর্জাতিক মহলে অধিকতর গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকার ও সব রাজনৈতিক দল মিলে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।’

আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গে দেওয়া বক্তব্য সেনাপ্রধানের নিজস্ব অভিমত হিসেবে আখ্যা দিয়ে ছাত্রনেতাদের ওপর চাপ প্রয়োগের অভিযোগ বিবৃতিতে অস্বীকার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি কোনোক্রমেই তাদেরকে ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে তাদেরকে প্রস্তাব বা চাপ প্রয়োগ করার ঘটনা নয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর (মতো) প্রতিষ্ঠিত সুশৃঙ্খল বাহিনীর প্রধান সদ্য প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের যুগ্ম সংগঠকদেরকে ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন বা চাপ প্রয়োগ করছেন যা অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ক গল্পের সম্ভার বলে প্রতীয়মান (হয়)।

অন্যদিকে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, আলোচনার একপর্যায়ে বলি- যেই দল এখনো ক্ষমা চায় নাই, অপরাধ স্বীকার করে নাই, সেই দলকে আপনারা কীভাবে ক্ষমা করে দিবেন! অপরপক্ষ থেকে রেগে গিয়ে উত্তর আসে, ‘ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডম অ্যান্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর এটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স। তোমার বয়সের থেকে বেশি। তাছাড়া আওয়ামী লীগ ছাড়া ‘ইনক্লুসিভ’ ইলেকশন হবে না।

নেত্র নিউজ লিখেছে, সেনাসদরের বক্তব্যে বলা হয়, এই দুই ছাত্র সমন্বয়ককে সেনাপ্রধান ‘অত্যন্ত স্নেহের দৃষ্টিতে ছেলের’ মতো দেখতেন। তিনি (স্নেহবৎসল) পরিবেশে তাদের সঙ্গে নানা আলাপচারিতা করেন। প্রাসঙ্গিকভাবে তাদের নতুন দল গঠনের শুভকামনা ও পরবর্তী রাজনৈতিক পথ চলার বিষয়ে নানা প্রসঙ্গে আলাপ করেন।

এ ছাড়াও পরবর্তী নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি তাদের রাজনৈতিক দলের প্রস্তুতি, অংশগ্রহণ ও অন্যান্য সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সকল দলের অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে ব্যাখ্যা করেন, যোগ করা হয় বিবৃতিতে।

সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে দেখা করার ১০ দিন পর ফেসবুকে হাসনাত আব্দুল্লাহর এই ধরনের অনভিপ্রেতকর পোস্ট দেওয়া সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বই অন্য কিছু নয়।