ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত কঠিন সময়ে কীভাবে পাশে ছিলেন স্ত্রী, জানালেন কোহলি ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির মেগা মানডে’: ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার

কক্সবাজারে ভার্চুয়াল কোর্ট গঠন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:০৯:২২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১
  • / ২৪৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আওতাধীন আদালত সমুহে হাজতী আসামির জামিন ও অতীব জরুরী বিষয় সমুহ নিষ্পত্তি করার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মতে পৃথক পৃথক ভার্চুয়াল কোর্ট গঠন করা হয়েছে। সোমবার ১২ এপ্রিল এসব ভার্চুয়াল কোর্ট গঠন করা হয়।কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন নিজেই তাঁর আদালতের ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা করবেন। তবে কক্সবাজার জেলা জজশীপের আওতাধীন আর কোন আদালতে আপাতত ভার্চুয়াল কোর্ট গঠন করা হয়নি।কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন তাঁর নিজের আদালতে ভার্চুয়াল কোর্ট গঠন করেছেন। কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক না থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এ আদালতেও তিনি ভার্চুয়াল কোর্ট গঠন করেছেন। ২ টি আদালতেই বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন নিজে ভার্চুয়াল কোর্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আওতাধীন আদালত সমুহে জামিন ও অতীব জরুরী বিষয় সমুহ শুনানী ও নিষ্পত্তির জন্য ১০টি পৃথক ভার্চুয়াল কোর্ট গঠন করা হয়েছে। ভার্চুয়াল কোর্ট গুলো সোমবার ১২ এপ্রিল থেকে আগামি ৮ মে পর্যন্ত পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে পরিচালনা করা হবে। কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী সোমবার ১২ এপ্রিল তাঁর কার্যালয়ের প্রশাসনিক শাখার ২৩ নম্বর এক অফিস আদেশে ভার্চুয়াল কোর্ট গুলো গঠন করেছেন। কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভা:) মোহাম্মদ আশেক ইলাহী শাহজাহান নুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আাদেশ মতে, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: দেলোয়ার হোসেন সদর, ঈদগাহ, রামু থানার সিআর ও জিআর ফাইল, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১, ২ ও ৫ আদালতের বিচার ফাইল এবং অনুলিপি শাখার ১২ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ উখিয়া ও টেকনাফ থানার সিআর ও জিআর ফাইল এবং অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৩, ৪ ও ৬ আদালতের বিচার ফাইল ১২ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেরিন সুলতানা সদর, ঈদগাহ, রামু থানার সিআর ও জিআর ফাইল, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১, ২ ও ৫ আদালতের বিচার ফাইল এবং অনুলিপি শাখার আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাং হেলাল উদ্দিন উখিয়া ও টেকনাফ থানার সিআর ও জিআর ফাইল এবং অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৩, ৪ ও ৬ আদালতের বিচার ফাইল ২৫ এপ্রিল থেকে আগামি ৬মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ সদর, রামু, ঈদগাহ, উখিয়া ও টেকনাফ থানার সিআর ও জিআর ফাইল, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১, ২ ও ৫ আদালতের বিচার ফাইল এবং অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৩, ৪ ও ৬ আদালতের বিচার ফাইল আগামি ৭মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।একইভাবে চকরিয়া চৌকি আদালতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার দেব, কুতুবদিয়া চৌকি আদালতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল হক এবং মহেশখালী চৌকি আদালতে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন নিজ নিজ আদালতের ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা করবেন।

সকল আদালত আদালতে স্বশরীরে উপস্থিতি ব্যাতিরেখে সোমবার ১২ এপ্রিল থেকে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার কথা অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। সারাদেশে উদ্ভুত করোনা প্রাদুর্ভাবের (কোভিড-১৯) কারণে রবিবার বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো: গোলাম রব্বানী বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির পক্ষে ৯/২০২১ এবং ১০/২০২১ নম্বর বিজ্ঞপ্তি মূলে এ অফিস আদেশ জারী করেছেন। আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার আইন ২০২০ এর ১১ নম্বরের ৫ নম্বর উপধারার আলোকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এ আদেশ দিয়েছেন।

উদ্ভুত করোনা প্রাদুর্ভাব (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া এবং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি পরবর্তী কোন আদেশ না দেয়া পর্যন্ত সাময়িক বিচার ব্যবস্থার জন্য জারীকৃত এ আদেশ বহাল থাকবে। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে আদলাত পরিচালনায় পূর্বের নিয়মিত পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কক্সবাজারে ভার্চুয়াল কোর্ট গঠন

আপডেট টাইম : ০৮:০৯:২২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আওতাধীন আদালত সমুহে হাজতী আসামির জামিন ও অতীব জরুরী বিষয় সমুহ নিষ্পত্তি করার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মতে পৃথক পৃথক ভার্চুয়াল কোর্ট গঠন করা হয়েছে। সোমবার ১২ এপ্রিল এসব ভার্চুয়াল কোর্ট গঠন করা হয়।কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন নিজেই তাঁর আদালতের ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা করবেন। তবে কক্সবাজার জেলা জজশীপের আওতাধীন আর কোন আদালতে আপাতত ভার্চুয়াল কোর্ট গঠন করা হয়নি।কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন তাঁর নিজের আদালতে ভার্চুয়াল কোর্ট গঠন করেছেন। কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক না থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এ আদালতেও তিনি ভার্চুয়াল কোর্ট গঠন করেছেন। ২ টি আদালতেই বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন নিজে ভার্চুয়াল কোর্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আওতাধীন আদালত সমুহে জামিন ও অতীব জরুরী বিষয় সমুহ শুনানী ও নিষ্পত্তির জন্য ১০টি পৃথক ভার্চুয়াল কোর্ট গঠন করা হয়েছে। ভার্চুয়াল কোর্ট গুলো সোমবার ১২ এপ্রিল থেকে আগামি ৮ মে পর্যন্ত পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে পরিচালনা করা হবে। কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী সোমবার ১২ এপ্রিল তাঁর কার্যালয়ের প্রশাসনিক শাখার ২৩ নম্বর এক অফিস আদেশে ভার্চুয়াল কোর্ট গুলো গঠন করেছেন। কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভা:) মোহাম্মদ আশেক ইলাহী শাহজাহান নুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আাদেশ মতে, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: দেলোয়ার হোসেন সদর, ঈদগাহ, রামু থানার সিআর ও জিআর ফাইল, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১, ২ ও ৫ আদালতের বিচার ফাইল এবং অনুলিপি শাখার ১২ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ উখিয়া ও টেকনাফ থানার সিআর ও জিআর ফাইল এবং অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৩, ৪ ও ৬ আদালতের বিচার ফাইল ১২ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেরিন সুলতানা সদর, ঈদগাহ, রামু থানার সিআর ও জিআর ফাইল, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১, ২ ও ৫ আদালতের বিচার ফাইল এবং অনুলিপি শাখার আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাং হেলাল উদ্দিন উখিয়া ও টেকনাফ থানার সিআর ও জিআর ফাইল এবং অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৩, ৪ ও ৬ আদালতের বিচার ফাইল ২৫ এপ্রিল থেকে আগামি ৬মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ সদর, রামু, ঈদগাহ, উখিয়া ও টেকনাফ থানার সিআর ও জিআর ফাইল, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১, ২ ও ৫ আদালতের বিচার ফাইল এবং অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৩, ৪ ও ৬ আদালতের বিচার ফাইল আগামি ৭মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।একইভাবে চকরিয়া চৌকি আদালতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার দেব, কুতুবদিয়া চৌকি আদালতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল হক এবং মহেশখালী চৌকি আদালতে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন নিজ নিজ আদালতের ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা করবেন।

সকল আদালত আদালতে স্বশরীরে উপস্থিতি ব্যাতিরেখে সোমবার ১২ এপ্রিল থেকে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার কথা অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। সারাদেশে উদ্ভুত করোনা প্রাদুর্ভাবের (কোভিড-১৯) কারণে রবিবার বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো: গোলাম রব্বানী বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির পক্ষে ৯/২০২১ এবং ১০/২০২১ নম্বর বিজ্ঞপ্তি মূলে এ অফিস আদেশ জারী করেছেন। আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার আইন ২০২০ এর ১১ নম্বরের ৫ নম্বর উপধারার আলোকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এ আদেশ দিয়েছেন।

উদ্ভুত করোনা প্রাদুর্ভাব (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া এবং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি পরবর্তী কোন আদেশ না দেয়া পর্যন্ত সাময়িক বিচার ব্যবস্থার জন্য জারীকৃত এ আদেশ বহাল থাকবে। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে আদলাত পরিচালনায় পূর্বের নিয়মিত পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।