দিনাজপুর জেলা জামায়াতের রুকন শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত

- আপডেট টাইম : ০৬:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
- / ০ ৫০০০.০ বার পাঠক
দুর্নীতিমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে জামায়াতের ২ জন মন্ত্রী অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন- মাওলানা আবদুল হালিম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ২ জন শীর্ষ দায়িত্বশীল শহীদ আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও শহীদ সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ ৩টা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দুর্নীতি ও অনিয়ম মুক্তভাবে পালন করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গিয়েছেন। তাদেরকে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোনো কালিমা লেপন করতে পারেনি। জামায়াতে ইসলামী দুর্নীতি, অনিয়ম ও টেন্ডারবাজিসহ যাবতীয় অনিয়মের বিরুদ্ধে আপোষহীন। জামায়াতের নেতা-কর্মীরা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবন দিতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ওপর বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার সাড়ে ১৫ বছর জুলুম নির্যাতনের নির্মম স্টিমরোলার চালিয়েছে। শীর্ষ পর্যায়ের ১১ জন নেতৃবৃন্দকে বিচারিকভাবে শহীদ করে দেয়া হয়েছে। শত শত নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। লক্ষাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করে জেলখানায় নির্মমভাবে কষ্ট দিয়েছে। এরপরও জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের জনশক্তি অটল ও অবিচল থেকে আন্দোলন সংগ্রামের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
১৬ মার্চ (রোববার) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর জেলা বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুল মিলনায়তনে দিনব্যাপী রুকন শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্থানীয় সরকার স্থবির হয়ে আছে। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে সম্পন্ন করা দরকার। জাতীয় নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন দল প্রভাব বিস্তার করে নিজেদের লোককে বিজয়ী করতে নির্বাচন প্রক্রিয়া ও প্রশাসনকে প্রভাবিত করে। সেজন্য স্থানীয় নির্বাচনের পরে অনিবার্য ও কাঙ্ক্ষিত সংস্কার এবং ফ্যাসিস্টদের বিচারের পরেই জাতীয় নির্বাচন করা দরকার।
অনতিবিলম্বে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি, জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দিতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
জেলা আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন সাবেক জেলা আমীর আনোয়ারুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক ও গ্রুপ আলোচনায় মেহমান হিসেবে ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ, সহকারী সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম সৈকত, জেলা তারবিয়াত সেক্রেটারি মাওলানা রবিউল ইসলাম, অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম আফজালুল আনাম, অধ্যাপক এস এম ইব্রাহীম, অফিস সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম খোকন, আনোয়ার হোসেন ও আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
শিক্ষা শিবিরে ফুলবাড়ি বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, পার্বতীপুর ও চিরিরবন্দর উপজেলার উপজেলা আমীর ও সকল রুকন উপস্থিত ছিলেন।