ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ঠাকুরগাঁওয়ে চেতনা নাশক স্প্রে ব্যবহার করে চুরি এলাকায় আতঙ্ক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন মামলা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি কলেজ ছাত্রকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর দাবি রাজধানী খিলগাঁও সৎ মায়ের হাতে গৃহবধূ খুন আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন অভিযোগ করলেন নিজ ভাই বাবা নবাবগঞ্জে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার দে আর নেই মোংলায় অন্যের ভোগ দখলীয় জমি ও হোটেল দখলের অভিযোগ জামালপুরে আগাম বন্যা থেকে রক্ষায় নতুন ধান চাষ করার উদ্যোগ নরসিংদী জেলা পুলিশের, আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গোমস্তাপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে মেলার আয়োজন

রাজধানী ছাড়ছে মানুষ লকডাউনের খবরে

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

লকডাউন’ আসছে শুনে রাজধানী ছাড়ছে হাজারো মানুষ। এসব মানুষকে বহনকারী যানবাহনের চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে। পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে পদ্মা-যমুনা পার হচ্ছে এসব মানুষ।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে গতকাল রবিবার (১১ এপ্রিল) রাত থেকে ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তা ঘাটের ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ছোট ও মাঝারি যানবাহনের পাশাপাশি মানুষকে ট্রাকে করেও ঘরে ফিরছে মানুষ। তবে অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।

সূত্র জানায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজির হাট নৌরুটে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। এ ছাড়া বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। কঠোর লকডাউনের খবরেই নানা অজুহাতে মাস্ক না পরেই গাদাদাদি করে নৌরুট পার হচ্ছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা থেকে গ্রাম অভিমুখে রওনা হওয়া এসব মানুষের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের। রাজধানীতে হকারি, ক্ষুদ্র ব্যবসা, মজুর খেটে তাদের সংসার চলত। লকডাউনে সব বন্ধ হয়ে যাবে- এমন খবরে পরিবার নিয়ে রওনা হয়েছে গ্রামের বাড়ির দিকে।

এদিকে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গতকাল দুপুর থেকে তীব্র যাটজট দেখা গেছে। বিশমাইল থেকে কালামপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের দীর্ঘ সাড়িতে বহু যানবাহনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। রাত ৯টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যানজট অব্যাহত ছিল।

জানা গেছে, নবীনগর স্মৃতিসৌধের পশ্চিম পাশ থেকে ধামরাইয়ের কচমচ এলাকা পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। এ কাজে ব্যবহৃত মাটির ট্রাক ও পিচ ঢালাইয়ে ব্যবহৃত গাড়ির কারণে যানজট হয়েছে। যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা চালকদের অভিযোগ, গাড়ির জট কমাতে হাইওয়ে পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই।

সুজন মিয়া নামের একজন প্রাইভেট চালক জানান, বাইশমাইল থেকে থানা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়ক আসতে সময় লেগেছে প্রায় তিন ঘণ্টা।

কয়েকজন যাত্রীরও অভিযোগ, প্রতিদিন এ সড়কটুকুতে যানজট লেগে থাকে। কোনো সময়ই হাইওয়ে পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় না। এ বিষয়ে সাভার হাইওয়ে থানার ওসি সাজ্জাদ করিম খান গতকাল রাতে বলেন, ‘যানজট নিরসনে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে চেতনা নাশক স্প্রে ব্যবহার করে চুরি এলাকায় আতঙ্ক

রাজধানী ছাড়ছে মানুষ লকডাউনের খবরে

আপডেট টাইম : ০৬:৪২:২৪ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

লকডাউন’ আসছে শুনে রাজধানী ছাড়ছে হাজারো মানুষ। এসব মানুষকে বহনকারী যানবাহনের চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে। পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে পদ্মা-যমুনা পার হচ্ছে এসব মানুষ।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে গতকাল রবিবার (১১ এপ্রিল) রাত থেকে ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তা ঘাটের ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ছোট ও মাঝারি যানবাহনের পাশাপাশি মানুষকে ট্রাকে করেও ঘরে ফিরছে মানুষ। তবে অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।

সূত্র জানায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজির হাট নৌরুটে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। এ ছাড়া বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। কঠোর লকডাউনের খবরেই নানা অজুহাতে মাস্ক না পরেই গাদাদাদি করে নৌরুট পার হচ্ছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা থেকে গ্রাম অভিমুখে রওনা হওয়া এসব মানুষের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের। রাজধানীতে হকারি, ক্ষুদ্র ব্যবসা, মজুর খেটে তাদের সংসার চলত। লকডাউনে সব বন্ধ হয়ে যাবে- এমন খবরে পরিবার নিয়ে রওনা হয়েছে গ্রামের বাড়ির দিকে।

এদিকে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গতকাল দুপুর থেকে তীব্র যাটজট দেখা গেছে। বিশমাইল থেকে কালামপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের দীর্ঘ সাড়িতে বহু যানবাহনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। রাত ৯টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যানজট অব্যাহত ছিল।

জানা গেছে, নবীনগর স্মৃতিসৌধের পশ্চিম পাশ থেকে ধামরাইয়ের কচমচ এলাকা পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। এ কাজে ব্যবহৃত মাটির ট্রাক ও পিচ ঢালাইয়ে ব্যবহৃত গাড়ির কারণে যানজট হয়েছে। যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা চালকদের অভিযোগ, গাড়ির জট কমাতে হাইওয়ে পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই।

সুজন মিয়া নামের একজন প্রাইভেট চালক জানান, বাইশমাইল থেকে থানা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়ক আসতে সময় লেগেছে প্রায় তিন ঘণ্টা।

কয়েকজন যাত্রীরও অভিযোগ, প্রতিদিন এ সড়কটুকুতে যানজট লেগে থাকে। কোনো সময়ই হাইওয়ে পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় না। এ বিষয়ে সাভার হাইওয়ে থানার ওসি সাজ্জাদ করিম খান গতকাল রাতে বলেন, ‘যানজট নিরসনে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।