ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
একদিন আব্দুর রহমান বা খাওলা ইন্তেকাল করলেন ঠাকুরগাঁওয়ে ভোক্তা ও উৎপাদকের মেলবন্ধনে ‘কৃষকের বাজার’ এর নতুন কার্যক্রম রাজধানীর খিলগাঁওয়ে নারী গৃহকর্মীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিনাজপুর ৫ বিএনপির হয়ে ভোটে লড়তে চান সাহাজুল ইসলাম সয়াবিনের পর অস্থির হচ্ছে ছোলার বাজার ডিসি ব্যবস্থা না নিলে আমাকেই নিতে হবে : রিজওয়ানা হাসান মোংলায় জামায়াতের উদ্যোগে এক বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বিবিসিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে কাশেমপুর থানার ওসির সাইফুল প্রত্যাহার দাবিতে বিএনপি কর্মী ও আমজনতার মানববন্ধন কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুন দুই কলোনির ২০ কক্ষ পুড়ে ছাই

পুলিশ কনস্টেবল মান্নার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, একাধিক বিয়ে ও সম্পত্তি আত্মসাৎ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৬:০০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৪২ ৫০০০.০ বার পাঠক

একাধিক বিয়ে, প্রতারণা ও সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে গোপালগঞ্জে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মোঃ মান্না ওরফে লতিফ আলীর বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীদের মতে, তিনি বিভিন্ন নারীর সাথে প্রেমের অভিনয় করে বিয়ে করেন, এরপর কিছুদিন সংসার করে তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি স্ত্রীদের অস্বীকার করে নতুন সম্পর্কে জড়ান।

একাধিক বিয়ে ও প্রতারণা
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মান্নার প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি একাধিক বিয়ে করেন এবং প্রতিবার কাবিননামায় মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাম্মৎ রাশিদা বেগমের অভিযোগ, তিনি তাকে বিয়ে করার পর দীর্ঘ সময় একত্রে সংসার করেছেন, কিন্তু পরবর্তীতে অস্বীকার করেন। রাজবাড়ী জেলায় কর্মরত থাকাকালীন সময়ে রাশিদা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে মান্নার বেতনের অর্ধেক কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে রাশিদার দাবি, তিনি মান্নার বৈধ স্ত্রী এবং তার সাথে সারাজীবন সংসার করতে চান। কিন্তু বর্তমানে মান্না তাকে ফেলে রেখে অস্বীকার করছেন।

সম্পত্তি আত্মসাৎ ও দুর্নীতি
রাশিদা আরও অভিযোগ করেন, তার বাবার পৈতৃক ১৭ শতাংশ জমি মান্না কৌশলে নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছেন। এরপর থেকেই তিনি রাশিদার সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

এছাড়া, গাজীপুরে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে তিনি পুলিশের ক্ষমতা দেখিয়ে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় একটি বাঁশ বোঝাই গাড়ি থেকে বড় অঙ্কের চাঁদা নেওয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। সেই সময়ের গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের ছত্রছায়ায় থেকে তিনি এসব কর্মকাণ্ড চালাতেন বলে অভিযোগ করেন রাশিদা।
পুলিশ কনস্টেবল মান্নার বিপি নং ৮০০০০৫১২৯৮।

পরিবারের ভূমিকা
অভিযোগকারীদের মতে, মান্নার মা আয়েশা সিদ্দিকা এবং ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন, সাঈদ তাকে এসব প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দেন। তারা প্রতিবার নতুন স্ত্রীদের সাথে যোগাযোগ করে পারিবারিকভাবে মিথ্যার আশ্রয় নেন এবং আর্থিক সুবিধা আদায় করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্তের বক্তব্য
এ বিষয়ে মান্নার সঙ্গে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে এক সাংবাদিকের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রাশিদা।

প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ
ভুক্তভোগীরা এখন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছেন, যেন পুলিশ কনস্টেবল মান্নার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হলে ভবিষ্যতে এমন প্রতারণার হাত থেকে অনেক নারী মুক্ত হতে পারেন।

উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী রাশিদা বাদী হয়ে ইতিমধ্যে যৌতুক মামলা দায়ের করেছেন গাজীপুর দায়রা জজ আদালতে। কিন্তু ভোক্তভোগি রাশিদা নিরীহ হওয়ায় কোন সুফল পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পুলিশ কনস্টেবল মান্নার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, একাধিক বিয়ে ও সম্পত্তি আত্মসাৎ

আপডেট টাইম : ০৬:০০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

একাধিক বিয়ে, প্রতারণা ও সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে গোপালগঞ্জে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মোঃ মান্না ওরফে লতিফ আলীর বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীদের মতে, তিনি বিভিন্ন নারীর সাথে প্রেমের অভিনয় করে বিয়ে করেন, এরপর কিছুদিন সংসার করে তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি স্ত্রীদের অস্বীকার করে নতুন সম্পর্কে জড়ান।

একাধিক বিয়ে ও প্রতারণা
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মান্নার প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি একাধিক বিয়ে করেন এবং প্রতিবার কাবিননামায় মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাম্মৎ রাশিদা বেগমের অভিযোগ, তিনি তাকে বিয়ে করার পর দীর্ঘ সময় একত্রে সংসার করেছেন, কিন্তু পরবর্তীতে অস্বীকার করেন। রাজবাড়ী জেলায় কর্মরত থাকাকালীন সময়ে রাশিদা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে মান্নার বেতনের অর্ধেক কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে রাশিদার দাবি, তিনি মান্নার বৈধ স্ত্রী এবং তার সাথে সারাজীবন সংসার করতে চান। কিন্তু বর্তমানে মান্না তাকে ফেলে রেখে অস্বীকার করছেন।

সম্পত্তি আত্মসাৎ ও দুর্নীতি
রাশিদা আরও অভিযোগ করেন, তার বাবার পৈতৃক ১৭ শতাংশ জমি মান্না কৌশলে নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছেন। এরপর থেকেই তিনি রাশিদার সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

এছাড়া, গাজীপুরে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে তিনি পুলিশের ক্ষমতা দেখিয়ে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় একটি বাঁশ বোঝাই গাড়ি থেকে বড় অঙ্কের চাঁদা নেওয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। সেই সময়ের গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের ছত্রছায়ায় থেকে তিনি এসব কর্মকাণ্ড চালাতেন বলে অভিযোগ করেন রাশিদা।
পুলিশ কনস্টেবল মান্নার বিপি নং ৮০০০০৫১২৯৮।

পরিবারের ভূমিকা
অভিযোগকারীদের মতে, মান্নার মা আয়েশা সিদ্দিকা এবং ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন, সাঈদ তাকে এসব প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দেন। তারা প্রতিবার নতুন স্ত্রীদের সাথে যোগাযোগ করে পারিবারিকভাবে মিথ্যার আশ্রয় নেন এবং আর্থিক সুবিধা আদায় করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্তের বক্তব্য
এ বিষয়ে মান্নার সঙ্গে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে এক সাংবাদিকের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রাশিদা।

প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ
ভুক্তভোগীরা এখন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছেন, যেন পুলিশ কনস্টেবল মান্নার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হলে ভবিষ্যতে এমন প্রতারণার হাত থেকে অনেক নারী মুক্ত হতে পারেন।

উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী রাশিদা বাদী হয়ে ইতিমধ্যে যৌতুক মামলা দায়ের করেছেন গাজীপুর দায়রা জজ আদালতে। কিন্তু ভোক্তভোগি রাশিদা নিরীহ হওয়ায় কোন সুফল পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।