ঢাকা ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতিরদায়ে জগন্নাথপুরের নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জেল-হাজতে প্রেমের সম্পর্ক করে গণধর্ষণ র‌্যাবের হাতে আটক ধর্ষণকারী আটক লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানাধীন মাদক ব্যবসায়ী জিহাদকে ৫৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার মঠবাড়ীয়া মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের গর্ভনিং বডি (এডহক) কমিটির এর নব নির্বাচিত সভাপতি ভারত-মিয়ানমার থেকে ৩৭ হাজার টন চালবাহী দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতপন্থী আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবেনা মোংলায় জামায়াত নেতা সাবেক অধ্যক্ষ আবু সাইদ খানের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ কোরআন-হাদীসের আলোকে শবে মেরাজ এবং মেরাজের ঘটনা! হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ডিসেম্বরকে সামনে রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে// পূর্বের বাস্তবতা থেকে আমরা সতর্ক আছি. ঠাকুরগাঁওয়ে ইসি সানাউল্লাহ দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকরা টাকা ফেরত পাবেন: গভর্নর

চট্টগ্রামে গ্রেফতার সেই ১২ ডাকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ ৫৯০ কোটি টাকা লুট করার প্রস্তুতি ছিল

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:২০:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

চট্টগ্রামে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য পরিচয়ে ডাকাতির চেষ্টায় গ্রেফতার হওয়া সেই ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারদের কাছে তথ্য ছিল, যমুনা অয়েল কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারীর ফ্ল্যাটে ৫৯০ কোটি টাকা রয়েছে। আর সেই টাকা লুট করতেই দুটি মাইক্রোবাসে করে ২০ জন প্রবেশ করেছিল সেই ভবনে। টাকা আনার জন্য সঙ্গে করে ২০টি বস্তাও নিয়ে গিয়েছিল তারা। তবে ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করতে পারলেও আটজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো রিমান্ড শেষে এসব তথ্য পায় পুলিশ।

সূত্র জানায়, ডাকাতির জন্য সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই) নকল পরিচয়পত্রগুলো তৈরি করেন তারা। আর এ কাজটি গ্রেফতার হওয়া আলম। মূলত পেশায় বালু সরবরাহকারী ওয়াজেদ রাকিব পুরো ঘটনার পরিকল্পনাকারী। ৭ জানুয়ারি ওয়াজেদ জানতে পারেন, যমুনা অয়েলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারীর বাসায় ৫৯০ কোটি টাকা রয়েছে। পরে ওয়াজেদ বিষয়টি মো. মালিক ও ওয়াসিমের সঙ্গে আলাপ করেন। পরে তারা হোসাইনকে যুক্ত করেন। হোসাইন তার পরিচিত বিভিন্ন সংস্থার লোকজনের সঙ্গে বিষয়টি আলাপ করেন। তারা তিনজনই জমি বেচাকেনার ব্যবসা করেন। পরিকল্পনা মতো হোসাইন তার পরিচিত একটি বাহিনীর একজনের সঙ্গে কথা বলেন। সেই ব্যক্তি মীরসরাইয়ের আলম ও শওকতকে ঠিক করে দেন। এরপর দফায় দফায় তারা নগরীর হালিশহর থানাধীন এলাকায় বৈঠক করেন। সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আলমই খেলনা পিস্তল, ওয়াকিটকিগুলো সংগ্রহ করেন। এছাড়া মহিউদ্দিন রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা।

রাতে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘গ্রেফতার ১২ জনকে তিন দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যগুলো যাচাই করা হচ্ছে এবং পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার গ্রেফতারদের আদালতে হাজির করা হবে।’

এর আগে গত শুক্রবার রাতে নগরীর খুলশী থানার দক্ষিণ খুলশী এলাকার সানমার রয়েল রিজ নামক একটি বহুতল ভবনের আটতলায় এই ডাকাতির চেষ্টা হয়। এ ঘটনায় যমুনা অয়েল কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারী বাদী হয়ে খুলশী থানায় মামলা করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চট্টগ্রামে গ্রেফতার সেই ১২ ডাকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ ৫৯০ কোটি টাকা লুট করার প্রস্তুতি ছিল

আপডেট টাইম : ০৬:২০:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রামে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য পরিচয়ে ডাকাতির চেষ্টায় গ্রেফতার হওয়া সেই ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারদের কাছে তথ্য ছিল, যমুনা অয়েল কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারীর ফ্ল্যাটে ৫৯০ কোটি টাকা রয়েছে। আর সেই টাকা লুট করতেই দুটি মাইক্রোবাসে করে ২০ জন প্রবেশ করেছিল সেই ভবনে। টাকা আনার জন্য সঙ্গে করে ২০টি বস্তাও নিয়ে গিয়েছিল তারা। তবে ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করতে পারলেও আটজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো রিমান্ড শেষে এসব তথ্য পায় পুলিশ।

সূত্র জানায়, ডাকাতির জন্য সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই) নকল পরিচয়পত্রগুলো তৈরি করেন তারা। আর এ কাজটি গ্রেফতার হওয়া আলম। মূলত পেশায় বালু সরবরাহকারী ওয়াজেদ রাকিব পুরো ঘটনার পরিকল্পনাকারী। ৭ জানুয়ারি ওয়াজেদ জানতে পারেন, যমুনা অয়েলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারীর বাসায় ৫৯০ কোটি টাকা রয়েছে। পরে ওয়াজেদ বিষয়টি মো. মালিক ও ওয়াসিমের সঙ্গে আলাপ করেন। পরে তারা হোসাইনকে যুক্ত করেন। হোসাইন তার পরিচিত বিভিন্ন সংস্থার লোকজনের সঙ্গে বিষয়টি আলাপ করেন। তারা তিনজনই জমি বেচাকেনার ব্যবসা করেন। পরিকল্পনা মতো হোসাইন তার পরিচিত একটি বাহিনীর একজনের সঙ্গে কথা বলেন। সেই ব্যক্তি মীরসরাইয়ের আলম ও শওকতকে ঠিক করে দেন। এরপর দফায় দফায় তারা নগরীর হালিশহর থানাধীন এলাকায় বৈঠক করেন। সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আলমই খেলনা পিস্তল, ওয়াকিটকিগুলো সংগ্রহ করেন। এছাড়া মহিউদ্দিন রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা।

রাতে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘গ্রেফতার ১২ জনকে তিন দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যগুলো যাচাই করা হচ্ছে এবং পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার গ্রেফতারদের আদালতে হাজির করা হবে।’

এর আগে গত শুক্রবার রাতে নগরীর খুলশী থানার দক্ষিণ খুলশী এলাকার সানমার রয়েল রিজ নামক একটি বহুতল ভবনের আটতলায় এই ডাকাতির চেষ্টা হয়। এ ঘটনায় যমুনা অয়েল কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারী বাদী হয়ে খুলশী থানায় মামলা করেন।