শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ১২:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
গাজীপুরের শ্রীপুরের ইউনিয়ন বরমী ভূমি সহকারী কর্মকর্তা দিলুয়ারা আক্তার ৪০ এর বিরুদ্ধে মোঃ আবদুর রহিম কাছে ভূমি প্রতিবেদন তৈরির কাজে ৫০০০ টাকা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আমাদের সংবাদ কর্মীগন তার অপকর্মের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে ভূমি অফিসে উপস্থিত হলে প্রাথমিক অবস্থায় সে আবোলতাবোল কথা বললেও সর্বশেষ তিনি টাকা চেয়েছিলেন এবং নিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন।
এক পর্যায়ে তখনই কিছু টাকা ফিরত দিতে বাধ্য হন।
বাকি টাকা এক সপ্তাহ পরে ফিরত দিবে বলে ওয়াদা করেন।
বিস্তারিত তথ্যে জানা যায়,
মোঃ আবদুর রহিমের পৈত্তিক সম্পত্তি,
তার বাবার মৃত্যুর পূর্বে দখলকৃত এবং খারিজ করা সম্পত্তি নিষ্পত্তি করার জন্য ভূমি অফিসে গেলে উক্ত মহিলা নানান অজুহাতে ঘুষ দাবি করে ৫০০০/- টাকা।
জমির অবস্থান ও পরিচিতির ব্যাপারে জানা যায়।
গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকার
১৫ নং সাতখামাইর
মোজা ১০২৬ এস এ খতিয়ান,
দাগ নাম্বার এস এ ২৩৯৫,
১৪৫ মামলা নং ২৭৮/২৪
দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ১৮৩/২৪
এই ভূমিটির ব্যাপারে বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে ১২.১.’২৫ খ্রিঃ তারিখে দূপুর বেলা ২ ঘটিকায় উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণসহ সরেজমিনে উপস্থিত থাকার জন্য জানান দেওয়া হয়।
কিন্তু বাস্তবে ঘটনাটি রহস্যজনক ভাবে নাটকীয়তায় রুপ নেয়।
মোঃ আবদুর রহিম জানান,
তার সাক্ষীও প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ জায়গা মতো দূপুর ১ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন,
দীর্ঘ ৪ ঘন্টার পরে মোঃ আবদুর রহিমের সাক্ষীগন যে যার মতো করে চলে যান।
মোঃ আবদুর রহিম জানান,
তার সাক্ষীগন প্রন্থান করা মাত্র দূতও ষড়যন্ত্রী দিলুয়ারা আক্তার বিবাদী পক্ষের ভাড়া করা ৩ জন সাক্ষী নিয়ে সুযোগ বুঝে বিকাল প্রায় ৬ ঘটিকার সময় প্রস্তাবিত স্থানে উপস্থিত হন।
উক্ত বিবাদী পক্ষের সাক্ষীগনের নাম,
১/ সেলিম আহাম্মেদ
২/ আমীন জাহাঙ্গীর
৩/আমজাদ হোসেন
এই ভাবে রহস্যজনক ভাবে এক চোখা রায় দেওয়ার অপচেষ্টায় তার কার্যক্রম শেষ করে বিজয়ী বেসে তাদেরকে নিয়ে বীরদর্পনে স্হান ত্যাগ করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,
১ নাম্বার সাক্ষী অন্য গ্রামের বাসিন্দা অচেনা হয়েও কি করে বা কোন যুক্তিতে সাক্ষী দিতে আসে।
ধারণা করা যাচ্ছে, দিলুয়ারা এবং তার সাথে থাকা সকলেই টাকার কাছে বিক্রি হয়ে এসব উদ্ভব কর্মকান্ড করিয়ে চলছে।
দেখার বা বলার যেন কেউই নেই।
তারা যাওয়ার প্রাক্কালে গাড়ীতে বসে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করেন বলে
১ নাম্বার সাক্ষী মোঃ আমজাদ হোসেনের মাধ্যমে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক,
এলাকার বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে জানা যায়,
দিলুয়ারা আক্তার বহু আগে থেকেই বিভিন্ন দূর্নীতির মাধ্যমে নামে বেনামে বহু সম্পদ ঘড়েছেন।
তার অপকর্মের প্রধান সহযোগী তারই অফিসের কুতুবউদ্দিন (মুন্সি) ৫০
দিলুয়ারাসহ মুন্সির দূর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের তল্লাশি নেওয়ার জরুরী আবেদন জানান এলাকাবাসী।
তাদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।
জনমনে প্রশ্ন,
সেবার নামে এই দূর্নীতি আর কতকাল চলবে?
তাদেরকে রুখবে কে?
এই খবর প্রচারও প্রকাশের মাধ্যমে দেশের সমস্ত প্রশাসন, এলাকার প্রভাবশালীও সচেতন ব্যক্তি বর্গসহ ছাত্র জনতার দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচেছ।