ঢাকা ০৮:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বেক্সিমকো শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ মেংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের নির্বাচন বানচালে সক্রিয় আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন হুমকি দেওয়া বিমানের সেই ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০২ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আটক মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩ কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু নওগাঁর নিয়ামতপুরে সমতল ভূমিতে বসবাসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে মুরগি ও মুরগির উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান ছাত্রশিবির এখন ছাত্রসমাজের সবচেয়ে আপন: ডা. শফিকুর রহমান

মেংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের নির্বাচন বানচালে সক্রিয় আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:৩৪:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১ ৫০০০.০ বার পাঠক

ওমর ফারুক :মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের কার্যনির্বাহী কমিটির সিবিএ’র দ্বিবার্ষিক নির্বাচন বানচাল করার প্রতিবাদে বুধবার ২২ জানুয়ারি সকাল ১০টায় মোংলা বন্দর এলাকার স্থানীয় এলাকাবাসী এ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি বন্দরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিবিএর অফিসের পাশের মাঠে এক পথ সভায় মিলিত হয়। ওই পথসভায় বক্তারা বলেন, প্রভাবশালী
আওয়ামীলীগর দোসর সিবিএ’র সাবেক নেতা ফিরোজ এই নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সিবিএর নির্বাচন হোক এটা তিনি চান না।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন আগামী ১১ই ফেব্রুয়ারী সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১১ই ফেব্রুয়ারির সিবিএ’র দ্বিবার্ষিক নির্বাচন বানচাল করার জন্য এই ফিরোজ ঢাকায় বিভিন্ন দপ্তরে তদবির চালাচ্ছে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা।
মোংলা বন্দরের প্রভাবশালী সিবিএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কর্তৃপক্ষের জুনিয়র অফিসার মোঃ ফিরোজের দুর্নীতি, অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা ও চাকুরি শৃংখলা পরিপন্থি কর্মকান্ড দিনকে দিনই বেড়েই চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চাকরিতে যোগদান করার কয়েক বছরের ব্যবধানে তিনি সিবিএর প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, বদলী, অবসরে যাওয়া ব্যক্তিদের ফাইলসহ বিভিন্ন কাজের তদ্বিরের নামে দু’হাতে কামিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। ১৯৯৪সালে সামান্য এলডিএ কাম টাইপিস্ট পদে চাকরিতে যোগদান করে ৩০বছরের ব্যবধানে তিনি এখন নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার মালিক। নিজ ভায়রার নামে হিরণ পয়েন্টসহ বিভিন্ন নৌপথে বন্দর কর্তৃপক্ষের ড্রেজিংয়ের নামে কারচুপির মাধ্যমে আয় করেছেন কোটি কোটি টাকা। তৈরী করেছেন নিজ ও স্বজনদের নামে একাধিক আলিশান বাড়ি ও কিনেছেন গাড়ি। ব্যক্তিগত এ গাড়িতে আবার মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের লোগো লাগিয়ে অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে খাটাচ্ছেন নানা প্রভাব। ক্ষমতায় লোভে এই ফিরোজ যোগ দিয়েছেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগে। আওয়ামী লীগ পতনের পর তিনি এখন আবার কর্মচারী থেকে কর্মকর্তায় পদোন্নতি পেয়েও বিএনপিতে যোগদানের চেষ্টা করে পুনরায় সিবিএ নেতা হওয়ার জন্য জোর স্বপ্ন দেখছেন। এর আগে বহুবার এ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন মহলে নানা অভিযোগ দেওয়া হলেও তাতে তার কিছুতেই কিছু হয়নি। সবই রয়েছে বহাল তবিয়তে। বন্দরের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। অবশ্য এ ব্যাপারে মোঃ ফিরোজ তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতি অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা ও চাকুরি শৃংখলা পরিপন্থি কর্মকান্ডে নিজের জড়িতের কথা অস্বীকার করে দাবি করেছেন, তিনি বৈধভাবে ধন সম্পদ বানিয়েছেন। প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে এ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র, গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও ভূক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ১৯৯৪সালে মোঃ ফিরোজ চাকরিতে যোগদান করার পরের বছর সিবিএতে কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ধাপে ধাপে তিনি সহ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, অতিরিক্ত সম্পাদক থেকে সর্বশেষ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর মাঝে নির্বাচনে অবশ্য তিনি কয়েকবার হেরেও যান। সর্বশেষ তিনি ২০১৯সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ২০২১সালের নির্বাচনে একই পদে হেরে যান। এখন আবার ( ২০২৫) সিবিএ’র দ্বিবার্ষিক
নির্বাচনের ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় তিনি অংশগ্রহণ করতে পারতেছে না বলে ঢাকায়সহ বিভিন্ন দপ্তরে তদবির চালাচ্ছে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা ।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এরই মধ্যে মোঃ ফিরোজের জুনিয়র অফিসার হিসেবে পদোন্নতি হয়। এ পদোন্নতি পেয়ে কর্মকর্তা হলেও তিনি শ্রমিক কর্মচারীদের নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়ার খায়েশ ছাড়েননি। আর এ নিয়ে বন্দরের সাধারণ শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ ও বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এদিকে সিবিএ নির্বাচনের অসন্তোষকে পুঁজি করে সিবিএর এই সাবেক নেতা ও বর্তমান জুনিয়র অফিসার মোঃ ফিরোজ গত ৭অক্টোবর দলবল নিয়ে জোর করে সিবিএ অফিসে অবৈধভাবে একটি সভা করে বর্তমান নেতৃবৃন্দকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে অফিসের কম্পিউটার রুমে তালা মারাসহ মূল্যবান নথি ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সরিয়ে ফেলে।এক পর্যায়ে তার নেতৃত্বে সিবিএ ভবন দখলের চেষ্টা চালানো হয়। বন্দরের নিরাপত্তা কর্মী ও আইন শৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে সে সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পরবর্তিতে জুনিয়র অফিসার ফিরোজকে এ বিষয়গুলো নিয়ে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে বিষয়ে গত ১৫অক্টোবর মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ নুরুজ্জামান ৭কার্য দিবসের মধ্যে জবাব চেয়ে শোকজ করেন। এ ব্যাপারে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় বিএনপি’র গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের সিবিএ’র দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সাধারণ শ্রমিকদের অনেক দিনের দাবি আমরা শক্ত হাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন পরিচালনা করব কেউ যদি এই নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করে তাহলে মেহনতি শ্রমিকরা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে ও আইনগতভাবে নির্বাচন বানচালকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মেংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের নির্বাচন বানচালে সক্রিয় আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন

আপডেট টাইম : ০১:৩৪:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

ওমর ফারুক :মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের কার্যনির্বাহী কমিটির সিবিএ’র দ্বিবার্ষিক নির্বাচন বানচাল করার প্রতিবাদে বুধবার ২২ জানুয়ারি সকাল ১০টায় মোংলা বন্দর এলাকার স্থানীয় এলাকাবাসী এ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি বন্দরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিবিএর অফিসের পাশের মাঠে এক পথ সভায় মিলিত হয়। ওই পথসভায় বক্তারা বলেন, প্রভাবশালী
আওয়ামীলীগর দোসর সিবিএ’র সাবেক নেতা ফিরোজ এই নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সিবিএর নির্বাচন হোক এটা তিনি চান না।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন আগামী ১১ই ফেব্রুয়ারী সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১১ই ফেব্রুয়ারির সিবিএ’র দ্বিবার্ষিক নির্বাচন বানচাল করার জন্য এই ফিরোজ ঢাকায় বিভিন্ন দপ্তরে তদবির চালাচ্ছে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা।
মোংলা বন্দরের প্রভাবশালী সিবিএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কর্তৃপক্ষের জুনিয়র অফিসার মোঃ ফিরোজের দুর্নীতি, অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা ও চাকুরি শৃংখলা পরিপন্থি কর্মকান্ড দিনকে দিনই বেড়েই চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চাকরিতে যোগদান করার কয়েক বছরের ব্যবধানে তিনি সিবিএর প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, বদলী, অবসরে যাওয়া ব্যক্তিদের ফাইলসহ বিভিন্ন কাজের তদ্বিরের নামে দু’হাতে কামিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। ১৯৯৪সালে সামান্য এলডিএ কাম টাইপিস্ট পদে চাকরিতে যোগদান করে ৩০বছরের ব্যবধানে তিনি এখন নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার মালিক। নিজ ভায়রার নামে হিরণ পয়েন্টসহ বিভিন্ন নৌপথে বন্দর কর্তৃপক্ষের ড্রেজিংয়ের নামে কারচুপির মাধ্যমে আয় করেছেন কোটি কোটি টাকা। তৈরী করেছেন নিজ ও স্বজনদের নামে একাধিক আলিশান বাড়ি ও কিনেছেন গাড়ি। ব্যক্তিগত এ গাড়িতে আবার মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের লোগো লাগিয়ে অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে খাটাচ্ছেন নানা প্রভাব। ক্ষমতায় লোভে এই ফিরোজ যোগ দিয়েছেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগে। আওয়ামী লীগ পতনের পর তিনি এখন আবার কর্মচারী থেকে কর্মকর্তায় পদোন্নতি পেয়েও বিএনপিতে যোগদানের চেষ্টা করে পুনরায় সিবিএ নেতা হওয়ার জন্য জোর স্বপ্ন দেখছেন। এর আগে বহুবার এ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন মহলে নানা অভিযোগ দেওয়া হলেও তাতে তার কিছুতেই কিছু হয়নি। সবই রয়েছে বহাল তবিয়তে। বন্দরের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। অবশ্য এ ব্যাপারে মোঃ ফিরোজ তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতি অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা ও চাকুরি শৃংখলা পরিপন্থি কর্মকান্ডে নিজের জড়িতের কথা অস্বীকার করে দাবি করেছেন, তিনি বৈধভাবে ধন সম্পদ বানিয়েছেন। প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে এ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র, গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও ভূক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ১৯৯৪সালে মোঃ ফিরোজ চাকরিতে যোগদান করার পরের বছর সিবিএতে কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ধাপে ধাপে তিনি সহ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, অতিরিক্ত সম্পাদক থেকে সর্বশেষ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর মাঝে নির্বাচনে অবশ্য তিনি কয়েকবার হেরেও যান। সর্বশেষ তিনি ২০১৯সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ২০২১সালের নির্বাচনে একই পদে হেরে যান। এখন আবার ( ২০২৫) সিবিএ’র দ্বিবার্ষিক
নির্বাচনের ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় তিনি অংশগ্রহণ করতে পারতেছে না বলে ঢাকায়সহ বিভিন্ন দপ্তরে তদবির চালাচ্ছে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা ।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এরই মধ্যে মোঃ ফিরোজের জুনিয়র অফিসার হিসেবে পদোন্নতি হয়। এ পদোন্নতি পেয়ে কর্মকর্তা হলেও তিনি শ্রমিক কর্মচারীদের নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়ার খায়েশ ছাড়েননি। আর এ নিয়ে বন্দরের সাধারণ শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ ও বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এদিকে সিবিএ নির্বাচনের অসন্তোষকে পুঁজি করে সিবিএর এই সাবেক নেতা ও বর্তমান জুনিয়র অফিসার মোঃ ফিরোজ গত ৭অক্টোবর দলবল নিয়ে জোর করে সিবিএ অফিসে অবৈধভাবে একটি সভা করে বর্তমান নেতৃবৃন্দকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে অফিসের কম্পিউটার রুমে তালা মারাসহ মূল্যবান নথি ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সরিয়ে ফেলে।এক পর্যায়ে তার নেতৃত্বে সিবিএ ভবন দখলের চেষ্টা চালানো হয়। বন্দরের নিরাপত্তা কর্মী ও আইন শৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে সে সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পরবর্তিতে জুনিয়র অফিসার ফিরোজকে এ বিষয়গুলো নিয়ে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে বিষয়ে গত ১৫অক্টোবর মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ নুরুজ্জামান ৭কার্য দিবসের মধ্যে জবাব চেয়ে শোকজ করেন। এ ব্যাপারে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় বিএনপি’র গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের সিবিএ’র দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সাধারণ শ্রমিকদের অনেক দিনের দাবি আমরা শক্ত হাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন পরিচালনা করব কেউ যদি এই নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করে তাহলে মেহনতি শ্রমিকরা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে ও আইনগতভাবে নির্বাচন বানচালকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ।