টঙ্গী থানা মহিলা যুবলীগ সভাপতি নাসরিন এর দাপটে হচ্ছে হত্যা আর অন্যের জমি জবর দখল! নাসরিনকে গ্রেফতারের দাবি ভুক্তভোগীদের
- আপডেট টাইম : ০১:১৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বহিষ্কৃত মোসা: সাদিয়া আফরিন রুনা (৩২), মৃত আব্দুর রহমান কালু মোড়লের কণ্যা সে, তার মাতা সুফিয়া খাতুন এবং সৎ বড় ভাই হাজী মোঃ শফিক মোড়ল, তার বাবার হঠাৎ মৃত্যু পর, মায়ের স্নেহে তখন ছোট্র থেকে পরিণত বয়সে পদার্পন করেন।
তার বাবার রেখে যাওয়া পৈত্রিক সম্পত্তি ১০ বিঘা থেকে তাকে একেবারে অবাঞ্ছিত করে রাখা হয়েছে। তার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি; মুসলিম শরীয়া অনুযায়ী পাওয়ার কথা থাকলেও অধিকার থেকে বঞ্চিত।
কিন্তু তার মা সুফিয়া খাতুন এবং তার ভাইয়ের সম্পত্তি নাবালকের কাগজ দিয়ে প্রায় ৫ বিঘা জমি বিক্রি করে। তার বাবার পৈত্রিক বাড়িতে চার তলা একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। বিক্রিকৃত সম্পত্তির টাকার অংশ তার প্রাপ্য থাকলেও তাকে দেয়া হয়নি।
২০১০ সালে সাদিয়া আফরিন রুনার বিবাহ হইলে সে তার মাকে নিয়ে চলে যায় স্বামীর বাড়ি তে। এখনো তার মা তাদের সাথেই আছেন। তাদের অভিযোগ পৈত্রিক বাড়ি এবং জমি থাকা সত্ত্বেও তারা মহিলা লীগের দাপটে যেতে পারে না।
কারণ তার ভাইয়ের বিবাহিত স্ত্রী মোসা: শামীমা আক্তার তার বাবার বাড়িটি এবং ৩০ শতাংশ জমি লিখিয়ে নিয়েছেন।
তারা জানান, যাতে করে আমি কোন জমি নিতে না পারি। এজন্য অপকৌশলে তাদের জমি আওয়ামী মহিলা লীগের দাপটে লেখে নিয়েছেন।
তাই ভুক্তভোগী অনুরোধ জানান, আপনারা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বর্তমান সরকারের কাছে উপস্থাপন করবেন বলে আশা রাখি।
এছাড়া, গত ২০২০ সালে ভুক্তভোগী সাদিয়া আফরিন ও তার মা তাদের সম্পত্তি চাইতে আসলে তার ভাইয়ের শালিকা টঙ্গী পশ্চিম থানা মহিলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নাসরিন আক্তার ও নার্গিস আক্তার এবং শামীমা আক্তারসহ সাদিয়া আফরিনকে এবং তার মাকে বেদম মারপিট করেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানা থানায় জিডি করলে কর্তব্যরত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে তাদেরকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠান।
পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে তার স্বামী সহ কয়েকজনের নামে তার ভাইয়ের স্ত্রী শামীমা আক্তার মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
এবং এখনো তারা বিভিন্ন ধরনের মামলা হামলা ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদেরকে এবং তার স্বামীকে জমি থেকে দূরে রেখেছেন।
ঘটনাস্থলে টঙ্গী থানা মহিলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নাসরিন ও তার বোন নার্গিস এর এবং শামীমা আক্তারের বিভিন্ন ধরনের কুকর্ম সম্পর্কে তথ্য মিলে।
শ্রীপুর থানাধীন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ বিপ্লব হত্যা মামলার আসামি যুবলীগ সভাপতি নাসরিন।
সরেজমিনে গিয়ে আরো জানা যায়, সাদিয়া আফরিনের বাবার পৈত্রিক সম্পত্তির উপর দুই বোন দুইটি বাড়ি করে বসবাস করে আছেন।
ভুক্তভোগী সাদিয়া আফরিন জানান, আমার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি যাতে আমি পাইতে পারি আপনাদের কাছে আমার আকুল আবেদন এবং বর্তমান সরকারের কাছে আমার চাওয়া আমি যাতে আমার প্রাপ্য জিনিস পাইতে পারি।
সুত্র জানায়, উল্লেখ্য তফসিল- থানা- টঙ্গী, জেলা-গাজীপুর এর অধিন ১০৯/৪১ নং আউচপাড়া মৌজার জমি, খং নং- ১৫০৬ দাগ নং-৬৪/১৪৭ পরিমান ৩৫ শতক ভুমি, বসতবাড়ি দখল করে রয়েছে মহিলা যুবলীগ সভাপতি নাসরিন ।
এই খুনি নাসরিনকে শ্রীপুর থানা ও টঙ্গী থানার ওসি মারফত গ্রেফতারের দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।