ঢাকা ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রধানমন্ত্রীকে গরু উপহার দিতে চান পাকুন্দিয়ার বুলবুল নবীনগরে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চট্রগ্রাম বিভাগীয় শান্তি সমাবেশ সফল করার লক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কাশীপুর তরুণ প্রজন্মের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরিব ও দুস্থ মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ এবং বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে শেখ হাসিনা শুধু আমার নেত্রী নয়,তিনি আমার কাছে মায়ের সমতুল্য। মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৪ কেজি ৯৫০ গ্রাম গাঁজা জব্দ সিএনজি চালকের হত্যার গোপন রহস্য উন্মোচন গ্রেফতার – ৬ ময়মনসিংহে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী মুগ্ধ দর্শক সন্তান লালন পালনে পিতামাতার যে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা উচিত স্বাধীনতা, সংগ্রাম ও বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস আদর্শকে জানাতে হবে সকল শিক্ষার্থীদের ছাত্র জীবন থেকেই জীবনের লক্ষ্য স্থির করে উপার্জনের সুযোগ খোঁজতে হবে

মাত্র দুই উৎস থেকেই ছড়াচ্ছে করোনার ৬১ শতাংশ

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেই সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৪৬২ জনের আর মৃত্যু হয়েছে ৬৩ জনের। শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণ বিশ্লেষণ করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এখন দুটি—বাজার এবং গণপরিবহন। দেশে এখন পর্যন্ত যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের বড় অংশই হয় বাজারে গেছেন, নয়তো গণপরিবহন ব্যবহার করেছেন।

৫ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট হাজার করোনা রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করে আইইডিসিআর জানিয়েছে, আক্রান্ত রোগীদের ৬১ শতাংশের বাজারে যাওয়া এবং গণপরিবহন ব্যবহারের ইতিহাস রয়েছে। এছাড়া সংক্রমিত হওয়া ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ জনসমাগমস্থল (সভা–সেমিনার) এবং উপাসনালয়ে গিয়েছিলেন।

ওই সাড়ে আট হাজার রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে গিয়েছিলেন ২৬ শতাংশ, করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন ২২ শতাংশ। এ ছাড়া আন্তবিভাগ ভ্রমণ করেছিলেন ১৩ শতাংশ, সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ১২ শতাংশ।

আইইডিসিআর জানিয়েছে, সংক্রমণ রোধে মাস্কপরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। সাথে নিতে হবে টিকা। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হবে। বাজার খোলা জায়গায় নিয়ে আসার নির্দেশনা আছে, এটিও নিশ্চিত করতে হবে। কোথাও বদ্ধ জায়গায় বাজার হলে সেখানে যাতে জনসমাগম বেড়ে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

সম্প্রতি দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। এটাকে বলা হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে সাত দিনের লকডাউন বা বিধি-নিষেধ জারি করে সরকার। এই বিধি-নিষেধের মেয়াদ শেষ হবে ১১ এপ্রিল রাত ১২টায়। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের জন্য ‘কঠোর লকডাউনে’ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি মানায় মানুষের উদাসীনতা ও করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ছাড়া সরকারী-বেসরকারী সব অফিস বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে বন্ধ থাকবে গণপরিবহন, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও সকল কারখানা।

আরো খবর.......
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীকে গরু উপহার দিতে চান পাকুন্দিয়ার বুলবুল

মাত্র দুই উৎস থেকেই ছড়াচ্ছে করোনার ৬১ শতাংশ

আপডেট টাইম : ০৯:৩২:৪২ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেই সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৪৬২ জনের আর মৃত্যু হয়েছে ৬৩ জনের। শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণ বিশ্লেষণ করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এখন দুটি—বাজার এবং গণপরিবহন। দেশে এখন পর্যন্ত যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের বড় অংশই হয় বাজারে গেছেন, নয়তো গণপরিবহন ব্যবহার করেছেন।

৫ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট হাজার করোনা রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করে আইইডিসিআর জানিয়েছে, আক্রান্ত রোগীদের ৬১ শতাংশের বাজারে যাওয়া এবং গণপরিবহন ব্যবহারের ইতিহাস রয়েছে। এছাড়া সংক্রমিত হওয়া ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ জনসমাগমস্থল (সভা–সেমিনার) এবং উপাসনালয়ে গিয়েছিলেন।

ওই সাড়ে আট হাজার রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে গিয়েছিলেন ২৬ শতাংশ, করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন ২২ শতাংশ। এ ছাড়া আন্তবিভাগ ভ্রমণ করেছিলেন ১৩ শতাংশ, সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ১২ শতাংশ।

আইইডিসিআর জানিয়েছে, সংক্রমণ রোধে মাস্কপরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। সাথে নিতে হবে টিকা। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হবে। বাজার খোলা জায়গায় নিয়ে আসার নির্দেশনা আছে, এটিও নিশ্চিত করতে হবে। কোথাও বদ্ধ জায়গায় বাজার হলে সেখানে যাতে জনসমাগম বেড়ে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

সম্প্রতি দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। এটাকে বলা হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে সাত দিনের লকডাউন বা বিধি-নিষেধ জারি করে সরকার। এই বিধি-নিষেধের মেয়াদ শেষ হবে ১১ এপ্রিল রাত ১২টায়। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের জন্য ‘কঠোর লকডাউনে’ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি মানায় মানুষের উদাসীনতা ও করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ছাড়া সরকারী-বেসরকারী সব অফিস বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে বন্ধ থাকবে গণপরিবহন, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও সকল কারখানা।