ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে দীর্ঘ একমাসেও সরকারি রাস্তায় ভরাটকৃত মাটি অপসারণ করেনি আ,লীগ নেতা সেগুনবাগিচায় জামায়াতে ইসলামী শাহবাগ পূর্ব থানার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত ২৪ দফার ইশতেহার নিয়ে সামনে আসছে তরুণদের দল আজই পদত্যাগ করতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ১৭ বছরে ভোটার হলে কী প্রভাব পড়তে পারে আগামী নির্বাচনে? ৫০ বছর পর প্রকাশ্যে মেজর ডালিম, শেখ মুজিবকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ইঁদুরের ঔষধ খেয়ে তিন সন্তানের জননীর আত্মহত্যা ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ মতিঝিল পূর্ব থানা জামায়াতের উদ্যোগে শীতবস্ত্র উপহার প্রদান কর্মসূচী সম্পন্ন বিএনপির কেউ দখলবাজি, টেন্ডারবাজি করলে আমাকে রিপোর্ট করুন,এডভোকেট আহমেদ আযম খান

এবার টিউলিপের বোনের ফ্ল্যাটের সন্ধান, দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আইনজীবী

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • / ৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

টিউলিপ ও তার পরিবারের ফ্ল্যাটপ্রাপ্তি। ছবি: কোলাজ

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে বিতর্ক অনেক দিনের। এবার ব্রিটিশ মিডিয়ার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে লন্ডনের বিলাসবহুল এলাকায় টিউলিপ ও তার পরিবারের ফ্ল্যাটপ্রাপ্তির খবর।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস প্রকাশ করেছে, লন্ডনের কিংসক্রস এলাকায় টিউলিপ সিদ্দিককে একটি ব্যয়বহুল ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী আবদুল মোতালিফ। ব্রিটেনের ভূমি নিবন্ধন সংক্রান্ত নথি থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ভিন্ন এক প্রতিবেদনে আরেক গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, টিউলিপের ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তিকে উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডের ফিঞ্চলে রোডে একটি ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আইনজীবী মঈন গনি। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

২০০৯ সালে মঈন গনি ফ্ল্যাটটি আজমিনার নামে হস্তান্তর করেন। ভূমি রেজিস্ট্রি নথিতে কোনো আর্থিক লেনদেনের উল্লেখ নেই। তবে জানা যায়, আজমিনা যখন ১৮ বছর বয়সী এবং অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শুরু করছিলেন, তখন তিনি ফ্ল্যাটটি উপহার পান।

ফ্ল্যাটটি প্রথমে আজমিনার নামে থাকলেও, একসময় সেখানে টিউলিপ সিদ্দিক বসবাস শুরু করেন। তবে তিনি ঠিক কখন সেখানে উঠেছিলেন তা স্পষ্ট নয়। ২০১২ সালের ডিসেম্বরের পর, তিনি ওয়ার্কিং মেনস কলেজের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হলে, কোম্পানি হাউসের নথিতে তার ঠিকানা হিসেবে এই ফ্ল্যাটটি তালিকাভুক্ত হয়।

২০১৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি ক্যামডেন আর্টস সেন্টারের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য এবং মার্চ ২০১৪-তে হ্যাম্পস্টেড ওয়েলস অ্যান্ড ক্যাম্পডেন ট্রাস্ট নামক অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি হিসেবে একই ঠিকানা ব্যবহার করেন।

টিউলিপের স্বামী ক্রিশ্চিয়ান পার্সিও ২০১৬ সালের শেষের দিকে ফ্ল্যাটটির ঠিকানা ব্যবহার করেন। তখন টিউলিপ হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নের লেবার এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

২০২১ সালে আজমিনা ফ্ল্যাটটি ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি করেন।

এই বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি কেবল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তার বোনের ফ্ল্যাটে বসবাস করেছিলেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এবার টিউলিপের বোনের ফ্ল্যাটের সন্ধান, দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আইনজীবী

আপডেট টাইম : ০৭:১৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫

টিউলিপ ও তার পরিবারের ফ্ল্যাটপ্রাপ্তি। ছবি: কোলাজ

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে বিতর্ক অনেক দিনের। এবার ব্রিটিশ মিডিয়ার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে লন্ডনের বিলাসবহুল এলাকায় টিউলিপ ও তার পরিবারের ফ্ল্যাটপ্রাপ্তির খবর।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস প্রকাশ করেছে, লন্ডনের কিংসক্রস এলাকায় টিউলিপ সিদ্দিককে একটি ব্যয়বহুল ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী আবদুল মোতালিফ। ব্রিটেনের ভূমি নিবন্ধন সংক্রান্ত নথি থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ভিন্ন এক প্রতিবেদনে আরেক গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, টিউলিপের ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তিকে উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডের ফিঞ্চলে রোডে একটি ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আইনজীবী মঈন গনি। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

২০০৯ সালে মঈন গনি ফ্ল্যাটটি আজমিনার নামে হস্তান্তর করেন। ভূমি রেজিস্ট্রি নথিতে কোনো আর্থিক লেনদেনের উল্লেখ নেই। তবে জানা যায়, আজমিনা যখন ১৮ বছর বয়সী এবং অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শুরু করছিলেন, তখন তিনি ফ্ল্যাটটি উপহার পান।

ফ্ল্যাটটি প্রথমে আজমিনার নামে থাকলেও, একসময় সেখানে টিউলিপ সিদ্দিক বসবাস শুরু করেন। তবে তিনি ঠিক কখন সেখানে উঠেছিলেন তা স্পষ্ট নয়। ২০১২ সালের ডিসেম্বরের পর, তিনি ওয়ার্কিং মেনস কলেজের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হলে, কোম্পানি হাউসের নথিতে তার ঠিকানা হিসেবে এই ফ্ল্যাটটি তালিকাভুক্ত হয়।

২০১৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি ক্যামডেন আর্টস সেন্টারের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য এবং মার্চ ২০১৪-তে হ্যাম্পস্টেড ওয়েলস অ্যান্ড ক্যাম্পডেন ট্রাস্ট নামক অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি হিসেবে একই ঠিকানা ব্যবহার করেন।

টিউলিপের স্বামী ক্রিশ্চিয়ান পার্সিও ২০১৬ সালের শেষের দিকে ফ্ল্যাটটির ঠিকানা ব্যবহার করেন। তখন টিউলিপ হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নের লেবার এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

২০২১ সালে আজমিনা ফ্ল্যাটটি ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি করেন।

এই বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি কেবল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তার বোনের ফ্ল্যাটে বসবাস করেছিলেন।