ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পুশ ইন করা ৭৫ জন বাংলাদেশি মুসলিম এবং ৩ জন ভারতীয় মুসলিমকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ঢাকার মূল সড়কে কোনো রিকশা চলতে পারবে না: ডিএনসিসি প্রশাসক টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের দোসরদের দিয়ে বিএনপির কমিটি গঠনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, কুশপুত্তলিকা দাহ নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মূলতবি মেক্সিকোতে নির্বাচনি প্রচারণার সময় মেয়র প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা আন্দালিব রহমান পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা বেতন ও পদোন্নতি নিয়ে চিকিৎসকের সুখবর দিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আজমিরিগঞ্জে ৮ লিটার চোলাই মদসহ এক যুবক গ্রেপ্তার। মোঃ আংগুর মিয়া নাসিরনগরে তরুণের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায়

৪৩তম বিসিএস বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থী পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ১২:১৯:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৭৩ ১৫০০০.০ বার পাঠক

৪৩তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও বাদ পড়া ২২৭ জন চাকরিপ্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সিনিয়র সহকারী সচিব মো. উজ্জল হোসেনের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় গত বছরের জানুয়ারিতে ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পরে, গত ১৫ অক্টোবর পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও জেলা প্রশাসকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৫৯ জনকে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকায় ৪০ জনকে বাদ দিয়ে বাদ দিয়ে ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আরও বলা হয়, সমালোচনা এড়াতে ‘ক্লিন ইমেজ’ প্রার্থী নির্ধারণে এবং সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে আগে সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের মাধ্যমে আবার যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত ২২৭ জনের মধ্যে যে কেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হবে। পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের প্রতিবেদনে ২২৭ প্রার্থীর বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য পাওয়া যায়। এ কারণে তাদের সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয় এবং তাদের বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই ও খোঁজখবর নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

৪৩তম বিসিএসে নিয়োগে গত ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত সোমবার নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১৬৮ জন প্রার্থী বাদ পড়েন। তারও আগে গত ১৫ অক্টোবর যে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল, সেখানে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েছেন মোট ২৬৭ জন।

প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়ার প্রতিবাদে বুধবার সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ পাওয়ার পর দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে তাঁরা কেন বাদ পড়েছেন—তা জানতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রশ্ন রাখেন। এ ছাড়া প্রজ্ঞাপনে আবারও তারা অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

সেখানে উপস্থিত এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, কষ্ট করে টিউশনি করে, নিয়মিত পড়ালেখা করে চার বছর পর পিএসসির সুপারিশ পেলাম। নতুন চাকরিতে জয়েন করার আনন্দে আমরা ছিলাম, কিন্তু দেখি গেজেট থেকে বাদ পড়েছি। আমাদের বাদ পড়ার কোনো কারণ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেনি।

আরেকজন প্রার্থী বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলা হচ্ছে, অথচ নতুন চাকরিতে ঢোকার আগেই বৈষম্যের শিকার হলাম। আমাদের নামে মামলা না থাকলে শুধু শুধু কেন আমাদের বাদ দিল। আমাদের সহযাত্রীরা যোগ দেবে আর আমরা মুছব চোখের পানি। হাহাকার করে ওঠে আমাদের বুক। আমরা এই বৈষম্য থেকে রেহাই চাই। দ্রুত আমাদের বাদ পড়াদের সবার প্রজ্ঞাপন চাই।

এর আগে ৪১তম বিসিএসের গেজেট থেকে বাদ পড়েছিলেন ৬৭ জন, ৪০তম বিসিএস থেকে ৩৪ জন, ৩৭তম বিসিএস থেকে ৬১ জন, ৩৮তম থেকে ৭৫ জন এবং ৩৬তম থেকে ৩৮ জন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

৪৩তম বিসিএস বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থী পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন

আপডেট টাইম : ১২:১৯:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

৪৩তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও বাদ পড়া ২২৭ জন চাকরিপ্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সিনিয়র সহকারী সচিব মো. উজ্জল হোসেনের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় গত বছরের জানুয়ারিতে ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পরে, গত ১৫ অক্টোবর পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও জেলা প্রশাসকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৫৯ জনকে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকায় ৪০ জনকে বাদ দিয়ে বাদ দিয়ে ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আরও বলা হয়, সমালোচনা এড়াতে ‘ক্লিন ইমেজ’ প্রার্থী নির্ধারণে এবং সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে আগে সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের মাধ্যমে আবার যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত ২২৭ জনের মধ্যে যে কেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হবে। পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের প্রতিবেদনে ২২৭ প্রার্থীর বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য পাওয়া যায়। এ কারণে তাদের সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয় এবং তাদের বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই ও খোঁজখবর নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

৪৩তম বিসিএসে নিয়োগে গত ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত সোমবার নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১৬৮ জন প্রার্থী বাদ পড়েন। তারও আগে গত ১৫ অক্টোবর যে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল, সেখানে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েছেন মোট ২৬৭ জন।

প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়ার প্রতিবাদে বুধবার সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ পাওয়ার পর দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে তাঁরা কেন বাদ পড়েছেন—তা জানতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রশ্ন রাখেন। এ ছাড়া প্রজ্ঞাপনে আবারও তারা অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

সেখানে উপস্থিত এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, কষ্ট করে টিউশনি করে, নিয়মিত পড়ালেখা করে চার বছর পর পিএসসির সুপারিশ পেলাম। নতুন চাকরিতে জয়েন করার আনন্দে আমরা ছিলাম, কিন্তু দেখি গেজেট থেকে বাদ পড়েছি। আমাদের বাদ পড়ার কোনো কারণ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেনি।

আরেকজন প্রার্থী বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলা হচ্ছে, অথচ নতুন চাকরিতে ঢোকার আগেই বৈষম্যের শিকার হলাম। আমাদের নামে মামলা না থাকলে শুধু শুধু কেন আমাদের বাদ দিল। আমাদের সহযাত্রীরা যোগ দেবে আর আমরা মুছব চোখের পানি। হাহাকার করে ওঠে আমাদের বুক। আমরা এই বৈষম্য থেকে রেহাই চাই। দ্রুত আমাদের বাদ পড়াদের সবার প্রজ্ঞাপন চাই।

এর আগে ৪১তম বিসিএসের গেজেট থেকে বাদ পড়েছিলেন ৬৭ জন, ৪০তম বিসিএস থেকে ৩৪ জন, ৩৭তম বিসিএস থেকে ৬১ জন, ৩৮তম থেকে ৭৫ জন এবং ৩৬তম থেকে ৩৮ জন।