ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক খামার তৈরি করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নিতে জাতিসংঘকে আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাকরাইলে জাল জালিয়াতির রাজউক নকশার মাধ্যমে গড়ে তোলেন বহুতল ভবন কোস্ট গার্ডের অভিযানে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটকসহ জিম্মি থাকা দুই জেলে উদ্ধার ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ

৪৩তম বিসিএস বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থী পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ১২:১৯:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৬১ ৫০০০.০ বার পাঠক

৪৩তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও বাদ পড়া ২২৭ জন চাকরিপ্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সিনিয়র সহকারী সচিব মো. উজ্জল হোসেনের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় গত বছরের জানুয়ারিতে ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পরে, গত ১৫ অক্টোবর পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও জেলা প্রশাসকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৫৯ জনকে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকায় ৪০ জনকে বাদ দিয়ে বাদ দিয়ে ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আরও বলা হয়, সমালোচনা এড়াতে ‘ক্লিন ইমেজ’ প্রার্থী নির্ধারণে এবং সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে আগে সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের মাধ্যমে আবার যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত ২২৭ জনের মধ্যে যে কেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হবে। পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের প্রতিবেদনে ২২৭ প্রার্থীর বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য পাওয়া যায়। এ কারণে তাদের সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয় এবং তাদের বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই ও খোঁজখবর নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

৪৩তম বিসিএসে নিয়োগে গত ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত সোমবার নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১৬৮ জন প্রার্থী বাদ পড়েন। তারও আগে গত ১৫ অক্টোবর যে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল, সেখানে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েছেন মোট ২৬৭ জন।

প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়ার প্রতিবাদে বুধবার সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ পাওয়ার পর দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে তাঁরা কেন বাদ পড়েছেন—তা জানতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রশ্ন রাখেন। এ ছাড়া প্রজ্ঞাপনে আবারও তারা অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

সেখানে উপস্থিত এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, কষ্ট করে টিউশনি করে, নিয়মিত পড়ালেখা করে চার বছর পর পিএসসির সুপারিশ পেলাম। নতুন চাকরিতে জয়েন করার আনন্দে আমরা ছিলাম, কিন্তু দেখি গেজেট থেকে বাদ পড়েছি। আমাদের বাদ পড়ার কোনো কারণ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেনি।

আরেকজন প্রার্থী বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলা হচ্ছে, অথচ নতুন চাকরিতে ঢোকার আগেই বৈষম্যের শিকার হলাম। আমাদের নামে মামলা না থাকলে শুধু শুধু কেন আমাদের বাদ দিল। আমাদের সহযাত্রীরা যোগ দেবে আর আমরা মুছব চোখের পানি। হাহাকার করে ওঠে আমাদের বুক। আমরা এই বৈষম্য থেকে রেহাই চাই। দ্রুত আমাদের বাদ পড়াদের সবার প্রজ্ঞাপন চাই।

এর আগে ৪১তম বিসিএসের গেজেট থেকে বাদ পড়েছিলেন ৬৭ জন, ৪০তম বিসিএস থেকে ৩৪ জন, ৩৭তম বিসিএস থেকে ৬১ জন, ৩৮তম থেকে ৭৫ জন এবং ৩৬তম থেকে ৩৮ জন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

৪৩তম বিসিএস বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থী পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন

আপডেট টাইম : ১২:১৯:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

৪৩তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও বাদ পড়া ২২৭ জন চাকরিপ্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সিনিয়র সহকারী সচিব মো. উজ্জল হোসেনের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় গত বছরের জানুয়ারিতে ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পরে, গত ১৫ অক্টোবর পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও জেলা প্রশাসকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৫৯ জনকে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকায় ৪০ জনকে বাদ দিয়ে বাদ দিয়ে ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আরও বলা হয়, সমালোচনা এড়াতে ‘ক্লিন ইমেজ’ প্রার্থী নির্ধারণে এবং সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে আগে সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের মাধ্যমে আবার যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত ২২৭ জনের মধ্যে যে কেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হবে। পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের প্রতিবেদনে ২২৭ প্রার্থীর বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য পাওয়া যায়। এ কারণে তাদের সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয় এবং তাদের বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই ও খোঁজখবর নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

৪৩তম বিসিএসে নিয়োগে গত ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত সোমবার নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১৬৮ জন প্রার্থী বাদ পড়েন। তারও আগে গত ১৫ অক্টোবর যে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল, সেখানে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েছেন মোট ২৬৭ জন।

প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়ার প্রতিবাদে বুধবার সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ পাওয়ার পর দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে তাঁরা কেন বাদ পড়েছেন—তা জানতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রশ্ন রাখেন। এ ছাড়া প্রজ্ঞাপনে আবারও তারা অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

সেখানে উপস্থিত এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, কষ্ট করে টিউশনি করে, নিয়মিত পড়ালেখা করে চার বছর পর পিএসসির সুপারিশ পেলাম। নতুন চাকরিতে জয়েন করার আনন্দে আমরা ছিলাম, কিন্তু দেখি গেজেট থেকে বাদ পড়েছি। আমাদের বাদ পড়ার কোনো কারণ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেনি।

আরেকজন প্রার্থী বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলা হচ্ছে, অথচ নতুন চাকরিতে ঢোকার আগেই বৈষম্যের শিকার হলাম। আমাদের নামে মামলা না থাকলে শুধু শুধু কেন আমাদের বাদ দিল। আমাদের সহযাত্রীরা যোগ দেবে আর আমরা মুছব চোখের পানি। হাহাকার করে ওঠে আমাদের বুক। আমরা এই বৈষম্য থেকে রেহাই চাই। দ্রুত আমাদের বাদ পড়াদের সবার প্রজ্ঞাপন চাই।

এর আগে ৪১তম বিসিএসের গেজেট থেকে বাদ পড়েছিলেন ৬৭ জন, ৪০তম বিসিএস থেকে ৩৪ জন, ৩৭তম বিসিএস থেকে ৬১ জন, ৩৮তম থেকে ৭৫ জন এবং ৩৬তম থেকে ৩৮ জন।