টঙ্গীতে কুখ্যাত মাদক সম্রাট বিএনপি’র নেতা সাজা প্রাপ্ত আসামী শাহাবুদ্দিন এর ডিগবাজী প্রশাসন নিরব
- আপডেট টাইম : ০৬:৩৯:৩৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
টঙ্গী মাজার বস্তির যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী বিএনপি নেতা শাহাব উদ্দিন ওরফে দাবারু ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গার্মেন্টস শ্রমিক ও নিন্ম আয়ের মানুষ। প্রতিনিয়ত তাদের অত্যাচারে জিম্মি অন্তত প্রায় ১৫ হাজার পোশাক শ্রমিক।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫৭ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত টঙ্গী বাজার তুরাগ নদীর পাড়ে ও বিশ্ব ইজতেমা মাঠের পাশে ভরান মাজার বস্তুিতে তাদের বসবাস, মাজার বস্তুিতে বিএনপির নেতা পরিচয় দানকারী শাহাব উদ্দিন ওরফে দাবারু ,রবিউল ইসলাম কিং বাবু ও নূর মোহাম্মদ এই তিনজন এর নামে টঙ্গী পূর্ব থানা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক অভিযোগ ও বিভিন্ন মামলা রয়েছে, এদের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গার্মেন্টস শ্রমিকসহ এলাকাবাসী। কয়েকজন যুবককে সাথে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে শাহাব উদ্দিন ওরফে দাবারু । গত ৫ আগট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামীলীগ ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর অর্ন্তবর্তীকালীন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসতে না আসতেই টঙ্গী বাজার সেনা কল্যাণ ভবনের পাশে হোন্ডা রোডে বিএনপি’র পরিচয় অফিস বানিয়ে ক্ষমতার জোরে বস্তিতে জমি দখল করে ও ছোট ছোট দোকান ও ঘর উঠিয়ে সেই ঘর ভাড়া করে বিভিন্ন লোক দিয়ে অনেক দূর দূরান্তে শাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করে তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদক কারবারি বাচ্চু নিহত হওয়ার পর জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার আইরমারী গ্রামের সবল শেখের ছেলে মো. সাহাব উদ্দিন ওরফে দাবারু এক সময় টঙ্গী ছেড়ে পালিয়ে যায়। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জামালপুরের এক সংসদ এবং মন্ত্রীর আর্শিবাদপুষ্ট হয়ে এবং উনার মাধ্যমে মাদকের মামলাগুলো থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে টঙ্গী মাজার বস্তিতে এসে আবারো বসবাস শুরু করেন।
এই শাহাব উদ্দিন একজন মাদকের গডফাদার তিনি বিএনপি’র প্রভাবশালী নেতা পরিচয় দিয়ে তার সহযোগীদেরকে সঙ্গে নিয়ে সারারাত ঘুরে ঘুরে মাদক বিক্রি করেন। অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন। এ ছাড়াও অভিযোগ রয়েছে কক্সবাজার টেকনাফ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের লোক এসে তাদেরকে হিরোইন,মদ,গাঁজা, ফেনসিডিল,ইয়াবা সহ সব ধরনের মাদক দিয়ে যায়।
দাবারু নিজেকে বিএনপি’র প্রভাবশালী নেতা পরিচয় দিয়ে কক্সবাজার টেকনাফ সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন রকম নেশাদ্রব্য সংগ্রহ করে থাকেন শুধু ৫৭ নং ওয়ার্ড এলাকায় নয় পুরো গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ছদ্মবেশে সহযোগীদেরকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে মাদক।
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের পাশে অবস্থিত মাজার বস্তিতে প্রতিদিনই মাদক সেবনকারীদের জমজমাট আড্ডা হয়। এ ছাড়াও বস্তিতে থাকা শাহাব উদ্দিনের বাড়িতে প্রতিনিয়ত নতুন কৌশল অবলম্বন করে নেতাকর্মীদের মন জয় করার জন্য সুন্দরী রমণী নারীদের কে এনে নাইট পার্টির আসর বসান তিনি।
এই এলাকায় এখন হাত বাড়ালেই সহজেই মিলছে মাদকদ্রব্য শুধু তাই না দিন দিন স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রসহ এলাকার উঠতি বয়সের যুব সমাজ ক্রমান্বয়ে মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে পড়ছে।
বিভিন্ন সময় দেখা যায় নেশার টাকা জোগাড় করতে তারা চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ও অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।
এলাকাবাসী দাবি করেন এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলে বিএনপি নেতা শাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে নূর মোহাম্মদ ও রবিউল ইসলাম কিং বাবু ,মিলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি মারধর করেন এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেল খাটানোর হুমকি দেন।
বিএনপির নেতা শাহাব উদ্দিন ওরফে দাবারু একজন মাদকের গডফাদার ও নূর মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম কিং বাবু ,সহ এদেরকে বেশ কয়েকবার মাদকদ্রব্যসহ মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর ও র্যাব, পুলিশ এবং ডিবি পুলিশ, হাতে নাতে গ্রেফতার করলেও এলাকায় মাদক ব্যবসা থামছে না।
কয়েকবার মামলা হলেও অল্প সময়ের ভিতর জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে চলে আসে তারা। শাহাব উদ্দিন একজন মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামী।
স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসী প্রশ্ন, তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকার পরেও সাহাব উদ্দিন ওরফে দাবারু, নূর মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম কিং বাবু ,কীভাবে এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দেন। তাদের এতো খুঁটির জোর কোথায়?
অবিলম্বে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী, নূর মোহাম্মদ, রবিউল ইসলাম কিং বাবু, সাজা প্রাপ্ত আসামী শাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে এলাকার যুব সমাজকে মাদকের কারখানা থেকে রক্ষা করার জন্য স্থানীয় প্রশানের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল ইসলাম সরকারের সন্তান যুব নেতা সরকার শাহনূর ইসলাম রনি বলেন, আমি শাহাব উদ্দিনকে চিনিনা এবং জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কোন নেতাকর্মী মাদকের সাথে জড়িত থাকলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী জোন এর উপ পুলিশ কমিশনার মোঃ এন এম নাছির উদ্দিন সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন আমাদের মাদক এর বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে মাদকের সঙ্গে যে জড়িত থাকবে তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে।