ঢাকা ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ফুলবাড়ীতে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ব্যারিস্টার কামরুজ্জামানের মতবিনিময় গাজীপুরে মিথ্যা মামলায় নিরীহ পরিবারের দুর্দশা, জমি দখলের চক্রান্তের অভিযোগ কুমিল্লার সীমান্তে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার ব্রাহ্মনবাড়িয়ার কসবায় মহসিন হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ৪৩তম বিসিএস বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থী পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন বিপিএল সেরা স্পেল তাসকিনের, গড়লেন বিশ্বরেকর্ড পাথরঘাটায় যুবদল নেতাকে রগ কেটে হত্যা  মঠবাড়ীয়া জাতীয় সমাজ সেবা দিবস ২০২৫ইং সমাজ সেবা দপ্তর এর ওয়াকাথন ও কল্যাণ রাষ্ট্র মুক্ত আড্ডা মোংলায় বিএনপি কর্মীকে মারধোর করায় সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লার সদর দক্ষিণে নারী শ্রমিককে হত্যা চেষ্টায় মূল হোতা রকি আটক

বছরের বাজার: নিত্যপণ্যের দামে অস্থিরতা, মধ্যবিত্তের দুর্ভোগ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:১০:০৮ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

নিত্যপণ্যের বাজারে শেষমেশ চ্যাম্পিয়ন কে? ছবি কোলাজ: প্রভাব ফেলেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে দেশের রাজনৈতিক সংকট, অর্থনীতির দুরবস্থা, সিন্ডিকেট এবং চাঁদাবাজি। এ অবস্থার ধাক্কা সামলাতে গিয়ে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত এবং দিনমজুর শ্রেণির মানুষ ব্যাপক কষ্টের সম্মুখীন হয়েছে।

চলতি বছরে এমন কোনো নিত্যপণ্য খুঁজে পাওয়া কঠিন, যার দাম বাড়েনি। তবে যেসব পণ্য একেবারে মৌলিক প্রয়োজন মেটায় (যেমন- চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল ইত্যাদি) সেসব কিনতে গিয়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে মাছ, মাংস ও ডিমের মতো আমিষের খাদ্যদ্রব্যে। বছরের প্রায় পুরো সময়জুড়ে বাজার ছিল অস্থির।

ভোক্তাদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে চাল, ডিম, আলু, সবজি ও সয়াবিন তেলের মতো বেশ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। দফায় দফায় দাম বৃদ্ধির কারণে অনেকেই কাটছাঁট করেছেন বাজারের তালিকায়। এমনকি দুটি টাকা বাঁচাতে অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ছুটেছেন টিসিবির ট্রাকের পেছনে।

আলোচনার শীর্ষে ডিম

বছরের সবচেয়ে আলোচিত পণ্য ছিল ডিম। গত অক্টোবরে ফার্মের ডিমের ডজন ১৮০ টাকায় ওঠে। ব্যবসায়ীরা বন্যাকে দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন। তাদের মতে, বন্যায় খামারের ব্যাপক ক্ষতি এবং মুরগি মারা যাওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়। লাখ লাখ মুরগি মারা গেছে। এ কারণে ডিমের বাজার চড়া হয়ে ওঠে।

বাজারে লাগাম টানতে এক পর্যায়ে অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে ডিমের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। পাশাপাশি ডিম আমদানির অনুমতি ও শুল্কছাড় দেওয়া হয়। ভারত থেকে কয়েক দফায় কিছু ডিম আমদানি হয়। এর পর কিছুটা স্বাভাবিক হতে থাকে বাজার।

পিছিয়ে ছিল না আলুও

আলুও কম আলোচনার জন্ম দেয়নি। বছরের বেশির ভাগ সময় আলুর কেজি ৫০ টাকার ওপরে ছিল। এমনকি নভেম্বর মাসে এটি ৮০ টাকায় পৌঁছায়। ডিমের মতো আলুও ভারত থেকে আমদানি করা হয়। বর্তমানে নতুন আলুর বাজারে প্রবেশের ফলে দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে।

চালের দামও ছড়িয়েছে উত্তাপ

চালের বাজার বছরের শুরু থেকেই অস্থির। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে দাম বাড়তে থাকে, যা জুনে কিছুটা কমে। আগস্টে সরকার পতনের পর চালের দাম আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়। নভেম্বর পর্যন্ত দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও এখন তা আবার বাড়ছে।

বেশির ভাগ সবজির সেঞ্চুরি

এ বছর রেকর্ড গড়েছিল সবজির বাজার। এমন কোনো সবজি নেই, যার দাম বাড়েনি। স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার গুণ দাম বাড়ে সবজির। বিশেষ করে জুলাইয়ের শেষদিকে বেশির ভাগ সবজির দাম শতক পেরিয়ে যায়। যেমন– প্রতি কেজি করলা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, বরবটি ও কচুরমুখী ১০০ থেকে ১১০, বেগুন ১৪০ থেকে ১৫০, কাঁকরোল ৯০ থেকে ১০০, গাজর ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা ও মুলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এভাবে প্রায় সব সবজির দাম এক প্রকার আকাশ ছুঁয়েছিল।

ভোজ্যতেলের তেলেসমাতি

বছরের শেষদিকে রীতিমতো তেলেসমাতি কাণ্ড ভোজ্যতেলের বাজারে। শুল্ক ছাড়ের পরও বিশ্ববাজারে দর বাড়ার অজুহাতে দাম বাড়ান আমদানিকারকরা। দাম বাড়ানোর আগে কয়েকদিনের জন্য বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় বোতলজাত সয়াবিন তেল। বাড়তি দরে বিক্রি হয় খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েল। সরকারকে চাপ প্রয়োগ করে দাম বাড়ানোর ঘোষণার দিনই বাজার ভরে গেছে লুকানো তেলে।

মূল্যস্ফীতি ছিল উদ্বেজনক

পণ্যের দর বেড়ে যাওয়ায় বছরজুড়ে মূল্যস্ফীতি ছিল উদ্বেজনক। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনে অনুযায়ী, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে নভেম্বরেও সারাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অক্টোবরে যা ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া কিছু পদক্ষেপে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে যায়। আগস্টে কিছুটা কমে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়। সেপ্টেম্বরে আরও কিছুটা কমে হয় ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ মাস এবং চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। টানা প্রায় আড়াই বছর ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে।

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ পরিস্থিতি ঠিক করতে সরকার গত সেপ্টেম্বর-নভেম্বর মাসে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। অক্টোবরে চাল, আলু, ডিম, চিনি, ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানির শুল্ক কমানো হয় এবং পেঁয়াজের শুল্ক-কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি, টিসিবি ও অন্যান্য সংস্থাগুলোর মাধ্যমে খোলাবাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু হয়। যেমন, অক্টোবরের শেষ দিকে ঢাকায় ও চট্টগ্রামে ট্রাকে ভর্তুকি মূল্যে তেল, ডাল, চাল এবং বিভিন্ন সবজি বিক্রি করা হয়।

মোটকথা, ২০২৪ সালজুড়ে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কার্যকারিতা আরও সুদূরপ্রসারী হওয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যতে বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় আরও কার্যকর ব্যবস্থা আশা করছে দেশের জনগণ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বছরের বাজার: নিত্যপণ্যের দামে অস্থিরতা, মধ্যবিত্তের দুর্ভোগ

আপডেট টাইম : ০৯:১০:০৮ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

নিত্যপণ্যের বাজারে শেষমেশ চ্যাম্পিয়ন কে? ছবি কোলাজ: প্রভাব ফেলেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে দেশের রাজনৈতিক সংকট, অর্থনীতির দুরবস্থা, সিন্ডিকেট এবং চাঁদাবাজি। এ অবস্থার ধাক্কা সামলাতে গিয়ে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত এবং দিনমজুর শ্রেণির মানুষ ব্যাপক কষ্টের সম্মুখীন হয়েছে।

চলতি বছরে এমন কোনো নিত্যপণ্য খুঁজে পাওয়া কঠিন, যার দাম বাড়েনি। তবে যেসব পণ্য একেবারে মৌলিক প্রয়োজন মেটায় (যেমন- চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল ইত্যাদি) সেসব কিনতে গিয়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে মাছ, মাংস ও ডিমের মতো আমিষের খাদ্যদ্রব্যে। বছরের প্রায় পুরো সময়জুড়ে বাজার ছিল অস্থির।

ভোক্তাদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে চাল, ডিম, আলু, সবজি ও সয়াবিন তেলের মতো বেশ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। দফায় দফায় দাম বৃদ্ধির কারণে অনেকেই কাটছাঁট করেছেন বাজারের তালিকায়। এমনকি দুটি টাকা বাঁচাতে অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ছুটেছেন টিসিবির ট্রাকের পেছনে।

আলোচনার শীর্ষে ডিম

বছরের সবচেয়ে আলোচিত পণ্য ছিল ডিম। গত অক্টোবরে ফার্মের ডিমের ডজন ১৮০ টাকায় ওঠে। ব্যবসায়ীরা বন্যাকে দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন। তাদের মতে, বন্যায় খামারের ব্যাপক ক্ষতি এবং মুরগি মারা যাওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়। লাখ লাখ মুরগি মারা গেছে। এ কারণে ডিমের বাজার চড়া হয়ে ওঠে।

বাজারে লাগাম টানতে এক পর্যায়ে অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে ডিমের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। পাশাপাশি ডিম আমদানির অনুমতি ও শুল্কছাড় দেওয়া হয়। ভারত থেকে কয়েক দফায় কিছু ডিম আমদানি হয়। এর পর কিছুটা স্বাভাবিক হতে থাকে বাজার।

পিছিয়ে ছিল না আলুও

আলুও কম আলোচনার জন্ম দেয়নি। বছরের বেশির ভাগ সময় আলুর কেজি ৫০ টাকার ওপরে ছিল। এমনকি নভেম্বর মাসে এটি ৮০ টাকায় পৌঁছায়। ডিমের মতো আলুও ভারত থেকে আমদানি করা হয়। বর্তমানে নতুন আলুর বাজারে প্রবেশের ফলে দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে।

চালের দামও ছড়িয়েছে উত্তাপ

চালের বাজার বছরের শুরু থেকেই অস্থির। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে দাম বাড়তে থাকে, যা জুনে কিছুটা কমে। আগস্টে সরকার পতনের পর চালের দাম আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়। নভেম্বর পর্যন্ত দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও এখন তা আবার বাড়ছে।

বেশির ভাগ সবজির সেঞ্চুরি

এ বছর রেকর্ড গড়েছিল সবজির বাজার। এমন কোনো সবজি নেই, যার দাম বাড়েনি। স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার গুণ দাম বাড়ে সবজির। বিশেষ করে জুলাইয়ের শেষদিকে বেশির ভাগ সবজির দাম শতক পেরিয়ে যায়। যেমন– প্রতি কেজি করলা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, বরবটি ও কচুরমুখী ১০০ থেকে ১১০, বেগুন ১৪০ থেকে ১৫০, কাঁকরোল ৯০ থেকে ১০০, গাজর ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা ও মুলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এভাবে প্রায় সব সবজির দাম এক প্রকার আকাশ ছুঁয়েছিল।

ভোজ্যতেলের তেলেসমাতি

বছরের শেষদিকে রীতিমতো তেলেসমাতি কাণ্ড ভোজ্যতেলের বাজারে। শুল্ক ছাড়ের পরও বিশ্ববাজারে দর বাড়ার অজুহাতে দাম বাড়ান আমদানিকারকরা। দাম বাড়ানোর আগে কয়েকদিনের জন্য বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় বোতলজাত সয়াবিন তেল। বাড়তি দরে বিক্রি হয় খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েল। সরকারকে চাপ প্রয়োগ করে দাম বাড়ানোর ঘোষণার দিনই বাজার ভরে গেছে লুকানো তেলে।

মূল্যস্ফীতি ছিল উদ্বেজনক

পণ্যের দর বেড়ে যাওয়ায় বছরজুড়ে মূল্যস্ফীতি ছিল উদ্বেজনক। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনে অনুযায়ী, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে নভেম্বরেও সারাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অক্টোবরে যা ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া কিছু পদক্ষেপে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে যায়। আগস্টে কিছুটা কমে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়। সেপ্টেম্বরে আরও কিছুটা কমে হয় ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ মাস এবং চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। টানা প্রায় আড়াই বছর ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে।

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ পরিস্থিতি ঠিক করতে সরকার গত সেপ্টেম্বর-নভেম্বর মাসে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। অক্টোবরে চাল, আলু, ডিম, চিনি, ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানির শুল্ক কমানো হয় এবং পেঁয়াজের শুল্ক-কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি, টিসিবি ও অন্যান্য সংস্থাগুলোর মাধ্যমে খোলাবাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু হয়। যেমন, অক্টোবরের শেষ দিকে ঢাকায় ও চট্টগ্রামে ট্রাকে ভর্তুকি মূল্যে তেল, ডাল, চাল এবং বিভিন্ন সবজি বিক্রি করা হয়।

মোটকথা, ২০২৪ সালজুড়ে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কার্যকারিতা আরও সুদূরপ্রসারী হওয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যতে বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় আরও কার্যকর ব্যবস্থা আশা করছে দেশের জনগণ।