ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লার সদর দক্ষিণে নারী শ্রমিককে হত্যা চেষ্টায় মূল হোতা রকি আটক ১৪ দিনে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র অসম্ভব নয়: রিজওয়ানা হাসান নিহত-আহতদের সহযোগিতা পেতে চিকিৎসকদের সত্যায়িত কপি লাগবে: সারজিস নবীনগর সরকারি জায়গার বাড়ার নামে চাঁদা নিচ্ছে প্রভাবশালীরা, জায়গাটি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধারের দাবি সচেতন মহলের এক বছরে পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় নিহত ১৬০০ ক্ষমতায় ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন, এশিয়ায় মার্কিন মিত্রদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বিদেশে আর পাঠ্যপুস্তক ছাপানো হবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা আমরা পুরোপুরি অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে রয়েছি: সেনাপ্রধান জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্র দলের র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয় টঙ্গীতে কুখ্যাত মাদক সম্রাট বিএনপি’র নেতা সাজা প্রাপ্ত আসামী শাহাবুদ্দিন এর ডিগবাজী প্রশাসন নিরব

করিমের বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশ অর্থ আত্নসাত ও প্রতারণার প্রমাণ পেলেও দায়মুক্তি দিল রাজউক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:৫১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

★ অর্থ আত্নসাত ও প্রতারণা ছাড়াও গুরুতর একাধিক অভিযোগের কারণে করিমকে একাধিকবার সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা প্রদান করে রাজউক। এমনকি রাজউক করিমকে এসব অপরাধের জন্য গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে বদলি করে দেয়। কিন্তু হঠাৎ করিমের হাতে আলাদীনের চেরাক। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে বদলি হয়ে এসেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে। দায়মুক্তি পেয়েছেন বিভাগীয় মামলা থেকে। সহকারী প্রকৌশলী থেকে প্রমোশন পেয়ে হয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। হয়ে উঠেছেন রাজউকের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা।

বিশেষ প্রতিবেদন: রাজধানীকে সুন্দর, মনোরম ও নিরাপদ পরিবেশে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে রাজউকের পথচলা। কিন্তু বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত কর্মকর্তাগণ যখন রাজউকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন হয় তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে রাজউকের ভাবমূর্তি ও অগ্রযাত্রা নিয়ে। সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে রাজউক কর্মকর্তা আব্দুল করিমের ক্ষেত্রে। প্রতারণা, মাদকসেবন, টেন্ডার বানিজ্য, নিয়োগ বানিজ্য, ঘুষ বানিজ্য ও ঙ্গাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মতো একাধিক গুরুতর অপরাধমূলক অভিযোগ থাকার পরেও পেয়েছেন প্রমোশন ও নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব। সূত্রে জানা যায়, করিম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে পড়ালেখা শেষ করে ২০১৮ সালের শেষের দিকে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) হিসেবে চাকরি পান রাজউকে। চাকরি জীবনের শুরু থেকেই তিনি টেন্ডার বানিজ্য, ঘুষ বানিজ্য ও প্রতারণার মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদ। এমনকি রাজউকের মতো একটি স্বনামধন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হয়েও জড়িয়ে পড়েছেন মাদকের সঙ্গে। করিমের মাদক সেবনের একটি ভিডিও ও একাধিক ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে ওঠে ব্যাপক সমালোচনার ঝড়। এছাড়া তার প্রতারণার অভিনব কৌশলের ফাঁদে পড়ে ৬০,০০০০০/-(ষাট লাখ) খুঁইয়েছেন এলিট কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শেষ পর্যন্ত দিশেহারা হয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক দিবাকর চন্দ্র রায় প্রকৌশলী করিমের বিরুদ্ধে বিঙ্গ সি. এম. এম আদালত, ঢাকায় ফৌজদারী কার্যবিধি ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায় একটি মামলা করেছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, এলিট কনস্ট্রাকশনের মালিক দিবাকর চন্দ্র রায় একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার এবং আউট সোর্সিং প্রক্রিয়ায় জনবল ও যানবাহন সরবরাহকারী। তিনি রাজউক, গণপূর্ত অধিদপ্তর, বাপেক্স ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে সুনামের সহিত সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ মানবসম্পদ এবং যানবাহন সরবরাহকারী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত নিয়োজিত আছেন। করিমের সাথে তার রাজউকে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা হয় কাজের সুবাদে। করিম সুকৌশলে তার ঘনিষ্ঠতা ও বিশ্বাস কাজে লাগিয়ে বিগত ২১/০৩/২১ ইং তারিখে করিমের নিজ হিসাব নং ১০১.১৫১.৫৬১৬১, ডিবিবিএল এর মাধ্যমে ৫০০০০০/- (পাঁচ লাখ) টাকা এবং বিগত ২১/০৪/২১ ইং তারিখে একই হিসাব নম্বরে আরও ৫০০০০০/- (পাঁচ লাখ) টাকা ধার নেয়ার কথা বলে গ্রহণ করেন। করিম সহজেই ১০,০০০০০/- (দশ লাখ) টাকা প্রাপ্তির পর তিনি অত্যন্ত সুচতুরভাবে দিবাকর চন্দ্র রায়ের সাথে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়িয়ে দেন। এক পর্যায়ে করিম দিবাকরের উদারতা, বিশ্বাস এবং সরলতাকে কাজে লাগিয়ে তার কাছ থেকে আরও অর্থ আত্নসাতের সুযোগ খুঁজতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫/০৫/২২ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ০৮:০০ ঘটিকায় এলিট কনস্ট্রাকশনের অফিস গুলশান থেকে নগদ ২০,০০০০০/- ( বিশ লাখ) টাকা এবং করিমের বোনের বিয়ে উপলক্ষে গত ২৭/০৭/২২ ইং তারিখে সন্ধ্যা ৭:৩০ ঘটিকায় দিবাকরের অফিস থেকে আরও ৩০,০০০০০/- (ত্রিশ লাখ) টাকাসহ সর্বমোট ৬০,০০০০০/- (ষাট লাখ) টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেন। দিবাকর যেহেতু রাজউকের একজন ঠিকাদার এবং করিম রাজউকের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা। তিনি করিমের কথিত বিপদে পাশে না দাঁড়ালে করিম মনোক্ষুণ্ণ এবং চলমান ও ভবিষ্যতে রাজউকের কর্মকাণ্ডে বিরোধিতার মাধ্যমে বাধা তৈরি করতে পারেন। তাই দিবাকর নিতান্ত অনিচ্ছা থাকা স্বত্বেও এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উল্লেখিত সময়গুলোতে প্রদান করতে বাধ্য হন। প্রতারক করিমের ঋণকৃত সকল টাকা ফেরত প্রদানের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরে বারবার তাগাদা দিয়েও টাকা ফেরত না পাওয়ায় চিন্তিত হয়ে দিবাকর বিগত ০১/১১/২২ ইং তারিখে গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। অর্থ আত্নসাত ও প্রতারণার প্রমাণসহ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় ডিবি পুলিশ। বর্তমানে বিঙ্গ সি. এম.এম আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। ফলে আদালত করিমকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। অর্থ আত্নসাত ও প্রতারণা ছাড়াও গুরতর একাধিক অভিযোগের কারণে করিমকে একাধিকবার সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা প্রদান করে রাজউক। এমনকি রাজউক করিমকে এসব অপরাধের জন্য গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে বদলি করে দেয়। কিন্তু হঠাৎ করিমের হাতে আলাদীনের চেরাক। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে বদলি হয়ে এসেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে। দায়মুক্তি পেয়েছেন বিভাগীয় মামলা থেকে। সহকারী প্রকৌশলী থেকে প্রমোশন পেয়ে হয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। হয়ে উঠেছেন রাজউকের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। তবে সমালোচনার ঝড় যেন পিছু ছাড়ছে না তার। রাজউকের একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, করিমের এমন কর্মকাণ্ডে রাজউকের ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। করিমের ব্যাপারে রাজউকের দায়মুক্তির সিদ্ধান্তে দূর্নীতি উৎসাহিত হবে। এমনকি তারা বিষয়টিতে দ্রুত কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে মাদক সেবন, প্রতারণা, অর্থ আত্নসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাপারে করিমের সাথে কথা বললে তিনি সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

করিমের বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশ অর্থ আত্নসাত ও প্রতারণার প্রমাণ পেলেও দায়মুক্তি দিল রাজউক

আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:৫১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

★ অর্থ আত্নসাত ও প্রতারণা ছাড়াও গুরুতর একাধিক অভিযোগের কারণে করিমকে একাধিকবার সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা প্রদান করে রাজউক। এমনকি রাজউক করিমকে এসব অপরাধের জন্য গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে বদলি করে দেয়। কিন্তু হঠাৎ করিমের হাতে আলাদীনের চেরাক। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে বদলি হয়ে এসেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে। দায়মুক্তি পেয়েছেন বিভাগীয় মামলা থেকে। সহকারী প্রকৌশলী থেকে প্রমোশন পেয়ে হয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। হয়ে উঠেছেন রাজউকের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা।

বিশেষ প্রতিবেদন: রাজধানীকে সুন্দর, মনোরম ও নিরাপদ পরিবেশে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে রাজউকের পথচলা। কিন্তু বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত কর্মকর্তাগণ যখন রাজউকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন হয় তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে রাজউকের ভাবমূর্তি ও অগ্রযাত্রা নিয়ে। সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে রাজউক কর্মকর্তা আব্দুল করিমের ক্ষেত্রে। প্রতারণা, মাদকসেবন, টেন্ডার বানিজ্য, নিয়োগ বানিজ্য, ঘুষ বানিজ্য ও ঙ্গাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মতো একাধিক গুরুতর অপরাধমূলক অভিযোগ থাকার পরেও পেয়েছেন প্রমোশন ও নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব। সূত্রে জানা যায়, করিম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে পড়ালেখা শেষ করে ২০১৮ সালের শেষের দিকে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) হিসেবে চাকরি পান রাজউকে। চাকরি জীবনের শুরু থেকেই তিনি টেন্ডার বানিজ্য, ঘুষ বানিজ্য ও প্রতারণার মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদ। এমনকি রাজউকের মতো একটি স্বনামধন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হয়েও জড়িয়ে পড়েছেন মাদকের সঙ্গে। করিমের মাদক সেবনের একটি ভিডিও ও একাধিক ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে ওঠে ব্যাপক সমালোচনার ঝড়। এছাড়া তার প্রতারণার অভিনব কৌশলের ফাঁদে পড়ে ৬০,০০০০০/-(ষাট লাখ) খুঁইয়েছেন এলিট কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শেষ পর্যন্ত দিশেহারা হয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক দিবাকর চন্দ্র রায় প্রকৌশলী করিমের বিরুদ্ধে বিঙ্গ সি. এম. এম আদালত, ঢাকায় ফৌজদারী কার্যবিধি ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায় একটি মামলা করেছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, এলিট কনস্ট্রাকশনের মালিক দিবাকর চন্দ্র রায় একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার এবং আউট সোর্সিং প্রক্রিয়ায় জনবল ও যানবাহন সরবরাহকারী। তিনি রাজউক, গণপূর্ত অধিদপ্তর, বাপেক্স ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে সুনামের সহিত সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ মানবসম্পদ এবং যানবাহন সরবরাহকারী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত নিয়োজিত আছেন। করিমের সাথে তার রাজউকে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা হয় কাজের সুবাদে। করিম সুকৌশলে তার ঘনিষ্ঠতা ও বিশ্বাস কাজে লাগিয়ে বিগত ২১/০৩/২১ ইং তারিখে করিমের নিজ হিসাব নং ১০১.১৫১.৫৬১৬১, ডিবিবিএল এর মাধ্যমে ৫০০০০০/- (পাঁচ লাখ) টাকা এবং বিগত ২১/০৪/২১ ইং তারিখে একই হিসাব নম্বরে আরও ৫০০০০০/- (পাঁচ লাখ) টাকা ধার নেয়ার কথা বলে গ্রহণ করেন। করিম সহজেই ১০,০০০০০/- (দশ লাখ) টাকা প্রাপ্তির পর তিনি অত্যন্ত সুচতুরভাবে দিবাকর চন্দ্র রায়ের সাথে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়িয়ে দেন। এক পর্যায়ে করিম দিবাকরের উদারতা, বিশ্বাস এবং সরলতাকে কাজে লাগিয়ে তার কাছ থেকে আরও অর্থ আত্নসাতের সুযোগ খুঁজতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫/০৫/২২ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ০৮:০০ ঘটিকায় এলিট কনস্ট্রাকশনের অফিস গুলশান থেকে নগদ ২০,০০০০০/- ( বিশ লাখ) টাকা এবং করিমের বোনের বিয়ে উপলক্ষে গত ২৭/০৭/২২ ইং তারিখে সন্ধ্যা ৭:৩০ ঘটিকায় দিবাকরের অফিস থেকে আরও ৩০,০০০০০/- (ত্রিশ লাখ) টাকাসহ সর্বমোট ৬০,০০০০০/- (ষাট লাখ) টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেন। দিবাকর যেহেতু রাজউকের একজন ঠিকাদার এবং করিম রাজউকের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা। তিনি করিমের কথিত বিপদে পাশে না দাঁড়ালে করিম মনোক্ষুণ্ণ এবং চলমান ও ভবিষ্যতে রাজউকের কর্মকাণ্ডে বিরোধিতার মাধ্যমে বাধা তৈরি করতে পারেন। তাই দিবাকর নিতান্ত অনিচ্ছা থাকা স্বত্বেও এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উল্লেখিত সময়গুলোতে প্রদান করতে বাধ্য হন। প্রতারক করিমের ঋণকৃত সকল টাকা ফেরত প্রদানের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরে বারবার তাগাদা দিয়েও টাকা ফেরত না পাওয়ায় চিন্তিত হয়ে দিবাকর বিগত ০১/১১/২২ ইং তারিখে গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। অর্থ আত্নসাত ও প্রতারণার প্রমাণসহ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় ডিবি পুলিশ। বর্তমানে বিঙ্গ সি. এম.এম আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। ফলে আদালত করিমকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। অর্থ আত্নসাত ও প্রতারণা ছাড়াও গুরতর একাধিক অভিযোগের কারণে করিমকে একাধিকবার সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা প্রদান করে রাজউক। এমনকি রাজউক করিমকে এসব অপরাধের জন্য গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে বদলি করে দেয়। কিন্তু হঠাৎ করিমের হাতে আলাদীনের চেরাক। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে বদলি হয়ে এসেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে। দায়মুক্তি পেয়েছেন বিভাগীয় মামলা থেকে। সহকারী প্রকৌশলী থেকে প্রমোশন পেয়ে হয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। হয়ে উঠেছেন রাজউকের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। তবে সমালোচনার ঝড় যেন পিছু ছাড়ছে না তার। রাজউকের একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, করিমের এমন কর্মকাণ্ডে রাজউকের ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। করিমের ব্যাপারে রাজউকের দায়মুক্তির সিদ্ধান্তে দূর্নীতি উৎসাহিত হবে। এমনকি তারা বিষয়টিতে দ্রুত কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে মাদক সেবন, প্রতারণা, অর্থ আত্নসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাপারে করিমের সাথে কথা বললে তিনি সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন