ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জানাযায় প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কতটুকু নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রী সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঠাকুরগাঁওয়ে কবরের ওপর থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক খামার তৈরি করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা

জনৈক উপদেষ্টার উক্তি অহমবোধের অভিব্যক্তি: রিজভী

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৭:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৯১ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাজনৈতিক দল গড়ে উঠে গণস্বার্থকে কেন্দ্র করে। ছাত্রজনতার অভ্যত্থানে ৫ আগষ্টের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছেন। আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। আবার অনেক কাজের সমালোচনাও করছি। সমালোচনা মানে এই নয় যে- আমরা এ সরকারের বিরোধীতা করছি, পতন দাবি করছি।

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নাম উল্লেখ না করে তিনি এটি অহমবোধের অভিব্যক্তি। রিজভী আরও বলেন, একজন উপদেষ্টা বলেছেন ৫০ বছরে রাজনৈতিক দলগুলো কিছুই করতে পারেনি, আমরা করছি। তাহলে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এবং ২৪-এর সফলতা কে এনেছে? এগুলো কি সুশীল সমাজের অবদান? হ্যা তারা সমর্থন করেছেন। তিনশ’ শতাব্দী থেকে ভোটের প্রথা চালু হয়েছে। আটশ’ বছর আগে ইংল্যান্ডে অধিকারের আন্দোলন শুরু হয়েছে। উন্নত দেশেও রাষ্ট্রের সংস্কার কখনো রাজনীতিবিদদের অবসর দিয়ে হয় না।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে রোববার দুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল মহানগর উত্তর আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

সংস্কার নিয়ে ওই উপদেষ্টার উক্তির সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটি অহমবোধের অভিব্যক্তি। একটি রাষ্ট্রকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যাওয়ার যে সংস্কার এই সংস্কারতো মনীষীরা চিন্তা করেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোই সেটা বাস্তবায়ন করেছে। প্রকৃত সংস্কার করলে গণতন্ত্রের যে অপরিহার্য অংশ নির্বাচন, আইনের শাসন, বিচার বিভাগ এগুলোর সংস্কার তো দেরিতে হওয়ার কথা না।

প্রসঙ্গত, বেশ কদিন ধরেই ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে বিএনপি। দলটি বলছে, রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এসে বাকি সংস্কার করবে। এ বিষয়ে গত শুক্রবার পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দল ছাড়া যদি সংস্কার সম্ভব না হয়, তাহলে গত ৫৩ বছরে কেন সংস্কার হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোকে এই জবাবটা দিতে হবে। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতার কারণেই আমাদের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। সংস্কারের কাজ শেষ হলে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।

রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের অগ্রগতি নিয়ে বলেন, অগ্রগতি যে একেবারে হয়নি আমরা তা বলছি না। আমরা এখন বক্তৃতা করে বাসায় যেতে পারছি আমাদেরকে এখন পুলিশ ধরছে না, গোয়েন্দা পুলিশ খুঁজছে না, হ্যাঁ এটা হয়েছে। এ ধরনের কথা আপনারা বললে মানুষ অন্যকিছু ভাববে। ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিনের পুনরুত্থান হবে।

তিনি বলেন, সরকার এখনও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। পতিত স্বৈরশাসকের বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। তাদের চিহ্নিত করুন, মধ্যসত্ত্বভোগীদের আইনের আওতায় আনুন। রাস্তায় রাস্তায় এখনও গাড়িতে চাঁদাবাজি চলছে। বিএনপি এসব বন্ধের চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু বন্ধ করতে পারবে না। এর দায়িত্ব সরকারের।

সরকার এসব প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও উদ্যম কম। জনগণ যদি আগের চেয়ে স্বস্তিতে থাকতে না পারে তাহলে হতাশ হবে।

শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শামসুর রহমান শামসহ মহানগর উত্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনৈক উপদেষ্টার উক্তি অহমবোধের অভিব্যক্তি: রিজভী

আপডেট টাইম : ০৯:৩৭:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাজনৈতিক দল গড়ে উঠে গণস্বার্থকে কেন্দ্র করে। ছাত্রজনতার অভ্যত্থানে ৫ আগষ্টের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছেন। আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। আবার অনেক কাজের সমালোচনাও করছি। সমালোচনা মানে এই নয় যে- আমরা এ সরকারের বিরোধীতা করছি, পতন দাবি করছি।

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নাম উল্লেখ না করে তিনি এটি অহমবোধের অভিব্যক্তি। রিজভী আরও বলেন, একজন উপদেষ্টা বলেছেন ৫০ বছরে রাজনৈতিক দলগুলো কিছুই করতে পারেনি, আমরা করছি। তাহলে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এবং ২৪-এর সফলতা কে এনেছে? এগুলো কি সুশীল সমাজের অবদান? হ্যা তারা সমর্থন করেছেন। তিনশ’ শতাব্দী থেকে ভোটের প্রথা চালু হয়েছে। আটশ’ বছর আগে ইংল্যান্ডে অধিকারের আন্দোলন শুরু হয়েছে। উন্নত দেশেও রাষ্ট্রের সংস্কার কখনো রাজনীতিবিদদের অবসর দিয়ে হয় না।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে রোববার দুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল মহানগর উত্তর আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

সংস্কার নিয়ে ওই উপদেষ্টার উক্তির সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটি অহমবোধের অভিব্যক্তি। একটি রাষ্ট্রকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যাওয়ার যে সংস্কার এই সংস্কারতো মনীষীরা চিন্তা করেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোই সেটা বাস্তবায়ন করেছে। প্রকৃত সংস্কার করলে গণতন্ত্রের যে অপরিহার্য অংশ নির্বাচন, আইনের শাসন, বিচার বিভাগ এগুলোর সংস্কার তো দেরিতে হওয়ার কথা না।

প্রসঙ্গত, বেশ কদিন ধরেই ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে বিএনপি। দলটি বলছে, রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এসে বাকি সংস্কার করবে। এ বিষয়ে গত শুক্রবার পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দল ছাড়া যদি সংস্কার সম্ভব না হয়, তাহলে গত ৫৩ বছরে কেন সংস্কার হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোকে এই জবাবটা দিতে হবে। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতার কারণেই আমাদের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। সংস্কারের কাজ শেষ হলে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।

রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের অগ্রগতি নিয়ে বলেন, অগ্রগতি যে একেবারে হয়নি আমরা তা বলছি না। আমরা এখন বক্তৃতা করে বাসায় যেতে পারছি আমাদেরকে এখন পুলিশ ধরছে না, গোয়েন্দা পুলিশ খুঁজছে না, হ্যাঁ এটা হয়েছে। এ ধরনের কথা আপনারা বললে মানুষ অন্যকিছু ভাববে। ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিনের পুনরুত্থান হবে।

তিনি বলেন, সরকার এখনও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। পতিত স্বৈরশাসকের বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। তাদের চিহ্নিত করুন, মধ্যসত্ত্বভোগীদের আইনের আওতায় আনুন। রাস্তায় রাস্তায় এখনও গাড়িতে চাঁদাবাজি চলছে। বিএনপি এসব বন্ধের চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু বন্ধ করতে পারবে না। এর দায়িত্ব সরকারের।

সরকার এসব প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও উদ্যম কম। জনগণ যদি আগের চেয়ে স্বস্তিতে থাকতে না পারে তাহলে হতাশ হবে।

শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শামসুর রহমান শামসহ মহানগর উত্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।