ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর পিডি কামাল খান এখনো বহাল★ ভূয়া বিল ভাউচারে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ। ★ কানাডাতে সেকেন্ড হোম হিসেবে দশ কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট ক্রয় করে ছেলের মাধ্যমে ব্যবসা করছেন ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসপি বলেন , লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি তদন্ত প্রতিবেদনে হাসিনার বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যুদ্ধবিরতির পর ভারত-পাকিস্তান যা দাবি করছে হাসিনা কামাল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা নাসিরনগরে বজ্রপাতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু শহীদ নিজামীর খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ -মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন পদত্যাগ করেছেন

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টে
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৬০ ১৫০০০.০ বার পাঠক

সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। ছবি: সংগৃহীত

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন। মন্ত্রণালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, ড. মোমেন গত ১৮ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। পরে তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব পদেও দায়িত্ব দেওয়া হয়। এদিকে ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত প্রশাসনে এ সময় যারা আলোচিত শীর্ষ কর্মকর্তা, তাদের মধ্যে ড. মোমেন অন্যতম। তাকে খুঁজে এনে জননিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার সঙ্গে আরও যাদের খুঁজে এনে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান প্রমুখ।

তবে কী এমন ঘটে গেল ড. মোমেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়তে হচ্ছে? খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ড. মোমেনকে বিধিবদ্ধ সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার গঠিত সার্চ কমিটিও তাদের প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে। সেখানেও তারা ড. মোমেনকে এক নম্বর পছন্দ হিসেবে রেখেছে। কিন্তু কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেতে হলে তাকে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী হতে হবে। সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে তার কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেলে ড. মোমেন অ্যাপিলেট ডিভিশনের বিচারপতির পদমর্যাদা ভোগ করবেন।

তবে এই পদে সার্চ কমিটির অন্যতম পছন্দ ছিলেন সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সরে ড. মোমেনের দিকে চলে যায়। কারণ হিসেবে জানা গেছে, আবদুল আউয়াল মজুমদারকে অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হতে পারে।

গত রোববার হাইকোর্টে দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগের জন্য গঠিত সার্চ কমিটি তাদের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে। কমিটি চেয়ারম্যান ও দুজন কমিশনার পদের জন্য মোট ছয়জনের নাম প্রস্তাব করে গতকাল তা প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠিয়েছে।

ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বিসিএস ১৯৮২ (বিশেষ) প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। তিনি ঢাকার জেলা প্রশাসক, দুজন রাষ্ট্রপতির একান্ত সচিব, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব, বিআরটিএর চেয়ারম্যান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও ছিলেন। এমডি থাকাকালে দীর্ঘদিন লোকসানে থাকা বিমানকে তিনি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন। বিমানের জনবল যৌক্তিককীকরণ করার জন্য নানা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ভলান্টারি রিটায়ারমেন্ট স্কিম (ভিআরএস)। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে কর্মীদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে তিনি বিশ্বব্যাংক থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন, যা সে সময় বহুল আলোচিত বিষয় ছিল। এ মডেল সরকারের অন্যান্য সংস্থায় প্রয়োগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আর্থিক জোগান না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন পদত্যাগ করেছেন

আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। ছবি: সংগৃহীত

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন। মন্ত্রণালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, ড. মোমেন গত ১৮ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। পরে তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব পদেও দায়িত্ব দেওয়া হয়। এদিকে ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত প্রশাসনে এ সময় যারা আলোচিত শীর্ষ কর্মকর্তা, তাদের মধ্যে ড. মোমেন অন্যতম। তাকে খুঁজে এনে জননিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার সঙ্গে আরও যাদের খুঁজে এনে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান প্রমুখ।

তবে কী এমন ঘটে গেল ড. মোমেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়তে হচ্ছে? খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ড. মোমেনকে বিধিবদ্ধ সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার গঠিত সার্চ কমিটিও তাদের প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে। সেখানেও তারা ড. মোমেনকে এক নম্বর পছন্দ হিসেবে রেখেছে। কিন্তু কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেতে হলে তাকে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী হতে হবে। সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে তার কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেলে ড. মোমেন অ্যাপিলেট ডিভিশনের বিচারপতির পদমর্যাদা ভোগ করবেন।

তবে এই পদে সার্চ কমিটির অন্যতম পছন্দ ছিলেন সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সরে ড. মোমেনের দিকে চলে যায়। কারণ হিসেবে জানা গেছে, আবদুল আউয়াল মজুমদারকে অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হতে পারে।

গত রোববার হাইকোর্টে দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগের জন্য গঠিত সার্চ কমিটি তাদের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে। কমিটি চেয়ারম্যান ও দুজন কমিশনার পদের জন্য মোট ছয়জনের নাম প্রস্তাব করে গতকাল তা প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠিয়েছে।

ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বিসিএস ১৯৮২ (বিশেষ) প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। তিনি ঢাকার জেলা প্রশাসক, দুজন রাষ্ট্রপতির একান্ত সচিব, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব, বিআরটিএর চেয়ারম্যান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও ছিলেন। এমডি থাকাকালে দীর্ঘদিন লোকসানে থাকা বিমানকে তিনি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন। বিমানের জনবল যৌক্তিককীকরণ করার জন্য নানা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ভলান্টারি রিটায়ারমেন্ট স্কিম (ভিআরএস)। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে কর্মীদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে তিনি বিশ্বব্যাংক থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন, যা সে সময় বহুল আলোচিত বিষয় ছিল। এ মডেল সরকারের অন্যান্য সংস্থায় প্রয়োগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আর্থিক জোগান না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।