ঢাকা ০২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছেলের বিয়ের দিন মা’ জানতে পারলেন কনে’ তার হারিয়ে যাওয়া কন্যা!

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:০৮:২৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১
  • / ২৬৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট সময়েরকন্ঠ।।

প্রায় ২০ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিল একমাত্র মেয়ে। সেই শোক ভুলে গেলেও ভুলে যাননি সন্তানের কথা। এখানে ওখানে খুঁজে বেড়াতেন মেয়েকে। এরই মধ্যে বড় হয়ে উঠে ছেলে। সেই ছেলের বিয়ে ঠিক করেন মা নিজেই। কিন্তু ঝামেলা বাঁধে ছেলের বিয়ের দিন। যিনি বউমা হতে চলেছেন জানা গেলো সেই পাত্রী নাকি তার হারিয়ে যাওয়া মেয়ে!

সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে চীনের জিয়াংশু প্রদেশের সুঝাউ এলাকায়। ছেলের বিয়েতে আড়ম্বরের কোনো অভাব রাখেননি। চলে এসেছিলেন অতিথিরাও। এর মধ্যেই কনের সাজে সবার সামনে এলেন পাত্রী। বউমার মুখ দেখে কেনো জানি ওই মায়ের মনে হতে লাগলো এ তো তার হারিয়ে যাওয়া মেয়ের মতোই!

এরপর ভালো করে কনেকে দেখতে লাগলেন তিনি। দেখলেন তার মুখের ওই দাগটা তো জন্মের পর থেকেই ছিল। সঙ্গে সঙ্গে কনের বাবা-মাকে ডেকে বসেন তিনি। সত্যটা জানতে চান। প্রথমে ওই মেয়ের বর্তমান বাবা-মা মুখ খুলতে চাননি। পরে বেরিয়ে আসে সত্য ঘটনা।

এক পর্যায়ে কনের বাবা-মা স্বীকার করে নেন, বেশ কয়েক বছর আগে রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছিলেন মেয়েটিকে। তারপর নিজেদের সন্তান হিসেবেই তাকে বড় করেন। বিয়েবাড়িতে তখন হুলস্থুল কাণ্ড। গোটা বিষয়টি জানানো হয় কনেকেও। সব শুনে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেননি তিনি। জন্মদাত্রীকে পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে কনে।

এবার গোল বাধে অন্যখানে। ভাই-বোনের তো আর বিয়ে সম্ভব নয়। তখন বের হয়ে আসে আরও বড় চমক। মেয়ে হারানো ওই মা তখন বলে বসেন, যার সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়েছে সে ছেলেরও জন্মদাত্রী মা তিনি নন! প্রায় দুই দশক আগে মেয়ে হারানোর পর এ ছেলেটিকে দত্তক নিয়েছিলেন তিনি। তবে তাকে বড় করে তুলেছিলেন একদম নিজ সন্তানের মতো করেই।

ফলে ভাই-বোনের আর কোনো প্রশ্নই নেই। ফের বেজে ওঠে বিয়ের সানাই। অতিথিরাও নতুন করে মেতে ওঠেন আনন্দে। দিনভর নানা বাধা-বিঘ্ন টপকে শেষ পর্যন্ত চারহাত এক হয়। হাফ ছেড়ে বাঁচেন নব দম্পতি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ছেলের বিয়ের দিন মা’ জানতে পারলেন কনে’ তার হারিয়ে যাওয়া কন্যা!

আপডেট টাইম : ১১:০৮:২৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট সময়েরকন্ঠ।।

প্রায় ২০ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিল একমাত্র মেয়ে। সেই শোক ভুলে গেলেও ভুলে যাননি সন্তানের কথা। এখানে ওখানে খুঁজে বেড়াতেন মেয়েকে। এরই মধ্যে বড় হয়ে উঠে ছেলে। সেই ছেলের বিয়ে ঠিক করেন মা নিজেই। কিন্তু ঝামেলা বাঁধে ছেলের বিয়ের দিন। যিনি বউমা হতে চলেছেন জানা গেলো সেই পাত্রী নাকি তার হারিয়ে যাওয়া মেয়ে!

সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে চীনের জিয়াংশু প্রদেশের সুঝাউ এলাকায়। ছেলের বিয়েতে আড়ম্বরের কোনো অভাব রাখেননি। চলে এসেছিলেন অতিথিরাও। এর মধ্যেই কনের সাজে সবার সামনে এলেন পাত্রী। বউমার মুখ দেখে কেনো জানি ওই মায়ের মনে হতে লাগলো এ তো তার হারিয়ে যাওয়া মেয়ের মতোই!

এরপর ভালো করে কনেকে দেখতে লাগলেন তিনি। দেখলেন তার মুখের ওই দাগটা তো জন্মের পর থেকেই ছিল। সঙ্গে সঙ্গে কনের বাবা-মাকে ডেকে বসেন তিনি। সত্যটা জানতে চান। প্রথমে ওই মেয়ের বর্তমান বাবা-মা মুখ খুলতে চাননি। পরে বেরিয়ে আসে সত্য ঘটনা।

এক পর্যায়ে কনের বাবা-মা স্বীকার করে নেন, বেশ কয়েক বছর আগে রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছিলেন মেয়েটিকে। তারপর নিজেদের সন্তান হিসেবেই তাকে বড় করেন। বিয়েবাড়িতে তখন হুলস্থুল কাণ্ড। গোটা বিষয়টি জানানো হয় কনেকেও। সব শুনে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেননি তিনি। জন্মদাত্রীকে পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে কনে।

এবার গোল বাধে অন্যখানে। ভাই-বোনের তো আর বিয়ে সম্ভব নয়। তখন বের হয়ে আসে আরও বড় চমক। মেয়ে হারানো ওই মা তখন বলে বসেন, যার সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়েছে সে ছেলেরও জন্মদাত্রী মা তিনি নন! প্রায় দুই দশক আগে মেয়ে হারানোর পর এ ছেলেটিকে দত্তক নিয়েছিলেন তিনি। তবে তাকে বড় করে তুলেছিলেন একদম নিজ সন্তানের মতো করেই।

ফলে ভাই-বোনের আর কোনো প্রশ্নই নেই। ফের বেজে ওঠে বিয়ের সানাই। অতিথিরাও নতুন করে মেতে ওঠেন আনন্দে। দিনভর নানা বাধা-বিঘ্ন টপকে শেষ পর্যন্ত চারহাত এক হয়। হাফ ছেড়ে বাঁচেন নব দম্পতি।