ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন, ইলেভেন ষ্টার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি গঠন যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের

পুলিশ সংস্কার কমিশনের অনলাইন জনমত ২০ হাজার মতামত, বেশির ভাগই ৫৪ ধারা বিলোপের পক্ষে

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি বিলোপের পক্ষে মতামত দিয়েছে সংস্কার কমিশনের তরফ থেকে অনলাইন জরিপে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষরা। তারা অভিযোগ করেন, পুলিশ কাউকে সন্দেহ করলে এই ধারায় গ্রেপ্তার করে হয়রানি করে। জরিপে অন্তত ২০ হাজার মানুষ অংশ নেন। এইদিকে এই ধারাটি বাতিলের জন্য জনমতের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সংস্কার কমিশন সুপারিশ করবে বলে জানা গেছে।

বিদ্যমান আইনে সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করার এখতিয়ার না থাকলেও এ ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের সাদা পোশাকে উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগই বেশি।

এ কারণে সাদা পোশাকের অভিযান কিভাবে বন্ধ করা যায় পুলিশ সংস্কার কমিশনে সে বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন।
গত ৩ অক্টোবর পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠনের পর গত ৩১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং ওই কমিশনের সদস্যসচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত ‘কেমন পুলিশ চাই’ শিরোনামে জনমত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে পুলিশ সংস্কারের বিষয়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে মতামত চাওয়া হয়।

সেখানে ১৭টি প্রশ্নের মধ্যে অন্যতম ছিল ৫৪ ধারা থাকবে কি না? এ ছাড়া জনবান্ধব, জবাবদিহিমূলক, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, দক্ষ আধুনিক, নিত্যনতুন অপরাধ শনাক্তে উন্নত প্রশিক্ষণ, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, নিরপেক্ষ আইনের শাসনের প্রতি অনুগত বিষয়েও মতামত পাঠিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সংস্কার কমিশনের সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

সূত্র জানায়, পুলিশ সংস্কার কমিশনে পুলিশকে যাতে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না যায় সে কারণে একটি কমিশনের সুপারিশ করার কথাও চিন্তা করা হচ্ছে। পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে কার্যকর একটি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন।

পুলিশের দ্বারা গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনকে দ্রুত জবাবদিহির আওতায় আনার বিষয়েও সুপারিশ থাকবে। পুলিশের কাজকর্মের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সবার জন্য উন্মুক্ত, স্থায়ী ‘অভিযোগ কমিশন’ স্থাপনের বিষয়েও মতামত দিয়েছেন অনেকে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পুলিশ সংস্কার কমিশনের অনলাইন জনমত ২০ হাজার মতামত, বেশির ভাগই ৫৪ ধারা বিলোপের পক্ষে

আপডেট টাইম : ০৪:৩৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি বিলোপের পক্ষে মতামত দিয়েছে সংস্কার কমিশনের তরফ থেকে অনলাইন জরিপে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষরা। তারা অভিযোগ করেন, পুলিশ কাউকে সন্দেহ করলে এই ধারায় গ্রেপ্তার করে হয়রানি করে। জরিপে অন্তত ২০ হাজার মানুষ অংশ নেন। এইদিকে এই ধারাটি বাতিলের জন্য জনমতের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সংস্কার কমিশন সুপারিশ করবে বলে জানা গেছে।

বিদ্যমান আইনে সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করার এখতিয়ার না থাকলেও এ ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের সাদা পোশাকে উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগই বেশি।

এ কারণে সাদা পোশাকের অভিযান কিভাবে বন্ধ করা যায় পুলিশ সংস্কার কমিশনে সে বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন।
গত ৩ অক্টোবর পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠনের পর গত ৩১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং ওই কমিশনের সদস্যসচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত ‘কেমন পুলিশ চাই’ শিরোনামে জনমত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে পুলিশ সংস্কারের বিষয়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে মতামত চাওয়া হয়।

সেখানে ১৭টি প্রশ্নের মধ্যে অন্যতম ছিল ৫৪ ধারা থাকবে কি না? এ ছাড়া জনবান্ধব, জবাবদিহিমূলক, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, দক্ষ আধুনিক, নিত্যনতুন অপরাধ শনাক্তে উন্নত প্রশিক্ষণ, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, নিরপেক্ষ আইনের শাসনের প্রতি অনুগত বিষয়েও মতামত পাঠিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সংস্কার কমিশনের সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

সূত্র জানায়, পুলিশ সংস্কার কমিশনে পুলিশকে যাতে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না যায় সে কারণে একটি কমিশনের সুপারিশ করার কথাও চিন্তা করা হচ্ছে। পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে কার্যকর একটি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন।

পুলিশের দ্বারা গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনকে দ্রুত জবাবদিহির আওতায় আনার বিষয়েও সুপারিশ থাকবে। পুলিশের কাজকর্মের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সবার জন্য উন্মুক্ত, স্থায়ী ‘অভিযোগ কমিশন’ স্থাপনের বিষয়েও মতামত দিয়েছেন অনেকে।