ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আখড়া বরগুনার পাসপোর্ট অফিস, দালাল ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট কাশেমপুর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে বিট্টিমরাই স্কুল ছাত্র মোঃ রাব্বি নিজ খালাকে আটকিয়ে ? ওসি সাইফুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময় তাদের আসামি করে গ্রেফতার দেখান আনন্দবাজারকে ডা. শফিকুর রহমান কোনও রাজনৈতিক দলকে খারিজ বা সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই রাজনৈতিক দলগুলো যদি বলে যে তারা সংস্কার চায় না, তাহলে এখনই নির্বাচন দিয়ে দেবো: ড. ইউনূস দেশবাসীকে ফের কাঁদালেন শহিদ নাফিজের মা নতুন আইজিপি বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী

গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে মোংলায় এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন কর্মসুচি পালন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:২১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

ওমর ফারুক : জীবাশ্ম জ্বালানি, বিশেষত প্রাকৃতিক গ্যাস ও এলএনজির প্রকল্পের সম্প্রসারণ এবং অর্থায়নের বিরোধিতা করে মোংলায় ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, এপিএমডিডি ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার’র আয়োজনে এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন কর্মসুচির অংশ হিসেবে পশুর নদীতে বোট র‍্যালি, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচির আয়োজন করা হয়।

সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত বোট র‍্যালি, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচিতে সভাপতি এবং প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার, পরিবেশযোদ্ধা মো: নূর আলম শেখ। এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর নাজমুল হক, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র হাছিব সরদার, মার্টিন সরকার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার মেহেদী হাসান বাবু, মাহারুফ বিল্লাহ, শাহীন খলিফা, মেহেদী, সোহেল, হৃদি সরকার, প্রদীপ সরকার প্রমূখ। বোট র‍্যালি ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা পরিবেশের ক্ষতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ। ইতিমধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, চরম আবহাওয়া এবং জীববৈচিত্র্য ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশকে একটি ন্যায্য, টেকসই, এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভিত্তিতে উন্নতির দিকে ধাবিত করার দাবি জানাই। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ বলেন পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ওপর গ্যাস ও এলএনজির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং নীতিনির্ধারকদের জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পের সম্প্রসারণ বন্ধ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানাই। গ্যাসের পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। মোঃ নূর আলম শেখ আরো বলেন জলাশয়, বাস্তুতন্ত্র এবং উপকূলের ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে পশুর নদীতে এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন কর্মসুচি পালন করছি। পরিবেশকর্মী মার্টিন সরকার বলেন জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর প্রভাব বিশেষত এলএনজি টার্মিনাল ও গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকার মানুষের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন উপলক্ষে পশুর নদীতে বোট র‍্যালি, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচিতে অংশগ্রহণকারীরা “গ্যাস সম্প্রসারণ বন্ধ কর” “প্রাকৃতিক গ্যাস এবং এলএনজি প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ কর” “গ্যাস নয়, সমাধান হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি” “জীবাশ্ম জ্বালানির দ্রুত, ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত ফেজ-আউট চাই” “কয়লা থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর চাই”
“জীবাশ্ম গ্যাস পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর” “জীবাশ্ম গ্যাস মানুষের জন্য বিষাক্ত” “জীবাশ্ম গ্যাস একটি ব্যয়বহুল জ্বালানি”
“গ্যাসের বিকল্প আছে” “প্রাচ্যের দেশগুলোতে গ্যাস সম্প্রসারণ করা চলবে না” সম্বলিত প্লাকার্ড -ফেস্টুন প্রদর্শন করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে মোংলায় এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন কর্মসুচি পালন

আপডেট টাইম : ১১:২১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

ওমর ফারুক : জীবাশ্ম জ্বালানি, বিশেষত প্রাকৃতিক গ্যাস ও এলএনজির প্রকল্পের সম্প্রসারণ এবং অর্থায়নের বিরোধিতা করে মোংলায় ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, এপিএমডিডি ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার’র আয়োজনে এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন কর্মসুচির অংশ হিসেবে পশুর নদীতে বোট র‍্যালি, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচির আয়োজন করা হয়।

সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত বোট র‍্যালি, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচিতে সভাপতি এবং প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার, পরিবেশযোদ্ধা মো: নূর আলম শেখ। এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর নাজমুল হক, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র হাছিব সরদার, মার্টিন সরকার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার মেহেদী হাসান বাবু, মাহারুফ বিল্লাহ, শাহীন খলিফা, মেহেদী, সোহেল, হৃদি সরকার, প্রদীপ সরকার প্রমূখ। বোট র‍্যালি ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা পরিবেশের ক্ষতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ। ইতিমধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, চরম আবহাওয়া এবং জীববৈচিত্র্য ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশকে একটি ন্যায্য, টেকসই, এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভিত্তিতে উন্নতির দিকে ধাবিত করার দাবি জানাই। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ বলেন পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ওপর গ্যাস ও এলএনজির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং নীতিনির্ধারকদের জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পের সম্প্রসারণ বন্ধ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানাই। গ্যাসের পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। মোঃ নূর আলম শেখ আরো বলেন জলাশয়, বাস্তুতন্ত্র এবং উপকূলের ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে পশুর নদীতে এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন কর্মসুচি পালন করছি। পরিবেশকর্মী মার্টিন সরকার বলেন জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর প্রভাব বিশেষত এলএনজি টার্মিনাল ও গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকার মানুষের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন উপলক্ষে পশুর নদীতে বোট র‍্যালি, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচিতে অংশগ্রহণকারীরা “গ্যাস সম্প্রসারণ বন্ধ কর” “প্রাকৃতিক গ্যাস এবং এলএনজি প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ কর” “গ্যাস নয়, সমাধান হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি” “জীবাশ্ম জ্বালানির দ্রুত, ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত ফেজ-আউট চাই” “কয়লা থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর চাই”
“জীবাশ্ম গ্যাস পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর” “জীবাশ্ম গ্যাস মানুষের জন্য বিষাক্ত” “জীবাশ্ম গ্যাস একটি ব্যয়বহুল জ্বালানি”
“গ্যাসের বিকল্প আছে” “প্রাচ্যের দেশগুলোতে গ্যাস সম্প্রসারণ করা চলবে না” সম্বলিত প্লাকার্ড -ফেস্টুন প্রদর্শন করেন।