ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম

ভৈরবে দীর্ঘ ১৫ বছর পর কালি মন্দিরের যায়গা ফিরে পেয়ে আনন্দিত হিন্দু সমাজ

মো.জামাল উদ্দিন ষ্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : ০৫:১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৫৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের সাদেকপুর গ্রামে ১৫ বছর পর দখলমুক্ত হলো কালি মন্দিরের ৩ শতাংশ জায়গা ।

আজ রোববার দুপুর ১টায় দিকে উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের ৬নং ওয়ার্ড এলাকার কালি মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের জন্য উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

ভৈরবের সাদেকপুর গ্রামের ৬নং ওয়ার্ড এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত কালী মন্দিরের জায়গা দখল করে রেখেছে হিন্দু ধর্মাবলীর তিন দখলবাজ ভাই। অবশেষে সাড়ে তিন বছর পূর্বে মামলা দায়ের পর আদালতের রায়ের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে দখল মুক্ত হলো সাদেকপুর গ্রামের পাঁচশত হিন্দু ধর্মাবলীর প্রার্থনার স্থান কালি মন্দিরের জায়গা। 

জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা একই গ্রামের নগেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে নিরঞ্জন দাস, কমলরঞ্জন চন্দ্র দাস ও শুকুর চন্দ্র দাস। তিন ভাইয়ের দাবী মন্দিরের জায়গাটি তাদের বাপদাদার। অপরদিকে এলাকার বসবাসরত প্রায় ৫শ হিন্দুদের দাবী তাদের কোন কাগজপত্র নেই। এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় তারা তিন ভাই জবরদখল করে মন্দিরের জায়গায় দুটি ঘর তুলে পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। এলাকাবাসী তাদেরকে উচ্ছেদের কথা বললেই হুমকি দুমকি দেয়।  পরবর্তীতে আদালতে মন্দির কমিটি মামলা দায়ের করলে রায় তাদের পক্ষে আসেন। আজ রোববার আদালতের রায় বাস্তবায়নে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে দখলকৃত জায়গায় দুটি আধাপাকা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।

উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় করেন ভৈরব সহকারী জজ আদালত, বাজিতপুর চৌকি  নাজির নাঈম চৌধুরী। এসময় অভিযানে সহযোগিতা করেন, ভৈরব থানার এসআই মো.তোফায়েল আহমেদ, ভৈরব সহকারী জজ আদালত, বাজিতপুর চৌকি প্রসেস সার্ভার মো.নজরুল ইসলাম, আমিন কমিশনার মাহবুরুর রহমান,  ঢলি আশেক আলী প্রমূখ। এছাড়া এসময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

সাদেকপুর কালি মন্দির কমিটির সভাপতি দিলীপ সরকার বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর অবৈধ দখলবাজদের হাত থেকে কালি মন্দিরের ৩ শতাংশ জায়গা আজ আদালতের রায়ের মাধ্যমে দখল মুক্ত হলো। দীর্ঘ বছর ধরে জায়গা বেদখল থাকায় মন্দিরের কোন উন্নয়নমুলক কাজ করা যায়নি। এখন আর কোন বাঁধা রইলো না। আজকের দিনটি আমরা হিন্দু সম্প্রাদয়ের ৫ শত পরিবারের অত্যন্ত আনন্দের দিন। সেজন্যই দেশের সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।

এ বিষয়ে ভৈরব সহকারী জজ আদালত, বাজিতপুর চৌকির নাজির নাঈম চৌধুরী জানান, সাদেকপুর কালি মন্দিরের ৩ শতাংশ জায়গা অবৈধভাবে দখল করে আসছিলো তাদেরই সম্প্রাদয়ের তিন ভাই। গত সাড়ে তিন বছর পূর্বে দখলের অভিযোগে মন্দির কমিটির সভাপতি বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার রায়ে মন্দিরের জায়গা দখলকৃতদের কাছ থেকে উচ্ছেদ করে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা আদালতের রায় বাস্তবায়নে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভৈরবে দীর্ঘ ১৫ বছর পর কালি মন্দিরের যায়গা ফিরে পেয়ে আনন্দিত হিন্দু সমাজ

আপডেট টাইম : ০৫:১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের সাদেকপুর গ্রামে ১৫ বছর পর দখলমুক্ত হলো কালি মন্দিরের ৩ শতাংশ জায়গা ।

আজ রোববার দুপুর ১টায় দিকে উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের ৬নং ওয়ার্ড এলাকার কালি মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের জন্য উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

ভৈরবের সাদেকপুর গ্রামের ৬নং ওয়ার্ড এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত কালী মন্দিরের জায়গা দখল করে রেখেছে হিন্দু ধর্মাবলীর তিন দখলবাজ ভাই। অবশেষে সাড়ে তিন বছর পূর্বে মামলা দায়ের পর আদালতের রায়ের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে দখল মুক্ত হলো সাদেকপুর গ্রামের পাঁচশত হিন্দু ধর্মাবলীর প্রার্থনার স্থান কালি মন্দিরের জায়গা। 

জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা একই গ্রামের নগেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে নিরঞ্জন দাস, কমলরঞ্জন চন্দ্র দাস ও শুকুর চন্দ্র দাস। তিন ভাইয়ের দাবী মন্দিরের জায়গাটি তাদের বাপদাদার। অপরদিকে এলাকার বসবাসরত প্রায় ৫শ হিন্দুদের দাবী তাদের কোন কাগজপত্র নেই। এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় তারা তিন ভাই জবরদখল করে মন্দিরের জায়গায় দুটি ঘর তুলে পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। এলাকাবাসী তাদেরকে উচ্ছেদের কথা বললেই হুমকি দুমকি দেয়।  পরবর্তীতে আদালতে মন্দির কমিটি মামলা দায়ের করলে রায় তাদের পক্ষে আসেন। আজ রোববার আদালতের রায় বাস্তবায়নে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে দখলকৃত জায়গায় দুটি আধাপাকা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।

উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় করেন ভৈরব সহকারী জজ আদালত, বাজিতপুর চৌকি  নাজির নাঈম চৌধুরী। এসময় অভিযানে সহযোগিতা করেন, ভৈরব থানার এসআই মো.তোফায়েল আহমেদ, ভৈরব সহকারী জজ আদালত, বাজিতপুর চৌকি প্রসেস সার্ভার মো.নজরুল ইসলাম, আমিন কমিশনার মাহবুরুর রহমান,  ঢলি আশেক আলী প্রমূখ। এছাড়া এসময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

সাদেকপুর কালি মন্দির কমিটির সভাপতি দিলীপ সরকার বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর অবৈধ দখলবাজদের হাত থেকে কালি মন্দিরের ৩ শতাংশ জায়গা আজ আদালতের রায়ের মাধ্যমে দখল মুক্ত হলো। দীর্ঘ বছর ধরে জায়গা বেদখল থাকায় মন্দিরের কোন উন্নয়নমুলক কাজ করা যায়নি। এখন আর কোন বাঁধা রইলো না। আজকের দিনটি আমরা হিন্দু সম্প্রাদয়ের ৫ শত পরিবারের অত্যন্ত আনন্দের দিন। সেজন্যই দেশের সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।

এ বিষয়ে ভৈরব সহকারী জজ আদালত, বাজিতপুর চৌকির নাজির নাঈম চৌধুরী জানান, সাদেকপুর কালি মন্দিরের ৩ শতাংশ জায়গা অবৈধভাবে দখল করে আসছিলো তাদেরই সম্প্রাদয়ের তিন ভাই। গত সাড়ে তিন বছর পূর্বে দখলের অভিযোগে মন্দির কমিটির সভাপতি বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার রায়ে মন্দিরের জায়গা দখলকৃতদের কাছ থেকে উচ্ছেদ করে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা আদালতের রায় বাস্তবায়নে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছি।