ঢাকা ০৩:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাঘায় সৎ ভাইয়ের হাতে হত্যা হলো সাদেক আলী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ জায়গায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: আসিফ মাহমুদ ঠাকুরগাঁওয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস দখল আজমিরীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ৪০ জন আহত, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লোটপাট। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এই প্রথমবারের মতো আজ নিজ জেলা চট্টগ্রামে আসলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার ব্রিজের মাথায় বাসের ধাক্কায় নারী শ্রমিক নিহত কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে বিতর্কের মুখে বিজেপি মন্ত্রী কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নেই প্রধান উপদেষ্টার নাম আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

গোবিন্দগঞ্জে হ্যাকার আটক,রফাদফার মাধ্যমে সন্ধেহ ভাজন হিসাবে আদালতে প্ররেণ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৩৮ ১৫০০০.০ বার পাঠক

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গত ১২ অক্টোবর শিহাব পিতা লাজু মিয়া,১৩ অক্টোবর মমিন, পিতা মিলন ১৪ অক্টোবর শাওন পিতা আইয়ুব ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাকার আটক করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। পরপর এই তিনজন হ্যাকারকে আটক করে গোবিন্দগঞ্জ থানার এস আই তালেব এর একটি টিম। মমিন,শিহাব ও শাওনকে উৎকোচ এর মাধ্যমে সন্ধেহ ভাজন আটক দেখিয়ে চালান করা হয়। গুঞ্জন উঠেছে প্রতি আটক কৃত আসামীদের নিকট হতে প্রায় দুই লক্ষ টাকা করে নিয়ে রফাদফা করা হয়েছে। একই ভাবে আবারো গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোম্বর) ভোরে সাদা মিয়ার ছেলে রুহুল আমীন (২৫) নামে এক হ্যাকারকে আটক করে তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া গ্রাম থেকে। একই কায়দায় রুহুল আমিনের নিকট হতে মোটা অংকের লেনদেনের মধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ আসামী ধরে ছেড়ে দেওয়া এবং আসামীকে অন্য মামলায় চালান করার বিষয়টি সচেতন মহলের ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। পুলিশের প্রতি বর্তমানে সারা দেশের মানুষের একটি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। থানা পুলিশের এমন কান্ডে সচেতন মহল কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পরেছে। পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়েছে গত ৫ আগষ্টে নির্বিচারে সাধারন  ছাত্র জনতার উপর গুলি করে হত্যার মাধ্যমে। তারপরেও থানা পুলিশ অনৈতিক সুবিধা হাসিলে অপরাধীদের আইনের আওতায় না এনে সুবিধা দিচ্ছে। পুলিশের এমন কর্মকান্ড কতটা যৌক্তিক।

এসব অপরাধীরা দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট হ্যাকের মাধ্যমে অসহায়  মানুষের বয়স্ক,বিধবা,প্রতিবন্ধী ভাতা এবং সাধারন মানুষের একাউন্ট হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব আপরাধীরা একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র যারা মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি দির্ঘদিনের। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহবায়ক এম এ মতিন মোল্লাহ বলেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যদি আপরাধীদের সুবিধাদেয় তাহলে সমাজে আপরাধ প্রবানতা বৃদ্ধি পাবে। একারনেই পুলিশের সংস্কার অতি জরুরী।

থানার সেকেন্ড অফিসার এবং এস আই তালেবকে একাধিকবার ফোন করে পাওয়া যায়নি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) ইকবাল পাশা বলেন,তাকে সন্দেহ ভাজন হিসাবে আনা হয়েছিল।জিজ্ঞাসা বাদ করে ছেরে দেওয়া হয়েছে।

গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোবিন্দগঞ্জে হ্যাকার আটক,রফাদফার মাধ্যমে সন্ধেহ ভাজন হিসাবে আদালতে প্ররেণ

আপডেট টাইম : ১০:৫৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গত ১২ অক্টোবর শিহাব পিতা লাজু মিয়া,১৩ অক্টোবর মমিন, পিতা মিলন ১৪ অক্টোবর শাওন পিতা আইয়ুব ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাকার আটক করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। পরপর এই তিনজন হ্যাকারকে আটক করে গোবিন্দগঞ্জ থানার এস আই তালেব এর একটি টিম। মমিন,শিহাব ও শাওনকে উৎকোচ এর মাধ্যমে সন্ধেহ ভাজন আটক দেখিয়ে চালান করা হয়। গুঞ্জন উঠেছে প্রতি আটক কৃত আসামীদের নিকট হতে প্রায় দুই লক্ষ টাকা করে নিয়ে রফাদফা করা হয়েছে। একই ভাবে আবারো গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোম্বর) ভোরে সাদা মিয়ার ছেলে রুহুল আমীন (২৫) নামে এক হ্যাকারকে আটক করে তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া গ্রাম থেকে। একই কায়দায় রুহুল আমিনের নিকট হতে মোটা অংকের লেনদেনের মধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ আসামী ধরে ছেড়ে দেওয়া এবং আসামীকে অন্য মামলায় চালান করার বিষয়টি সচেতন মহলের ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। পুলিশের প্রতি বর্তমানে সারা দেশের মানুষের একটি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। থানা পুলিশের এমন কান্ডে সচেতন মহল কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পরেছে। পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়েছে গত ৫ আগষ্টে নির্বিচারে সাধারন  ছাত্র জনতার উপর গুলি করে হত্যার মাধ্যমে। তারপরেও থানা পুলিশ অনৈতিক সুবিধা হাসিলে অপরাধীদের আইনের আওতায় না এনে সুবিধা দিচ্ছে। পুলিশের এমন কর্মকান্ড কতটা যৌক্তিক।

এসব অপরাধীরা দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট হ্যাকের মাধ্যমে অসহায়  মানুষের বয়স্ক,বিধবা,প্রতিবন্ধী ভাতা এবং সাধারন মানুষের একাউন্ট হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব আপরাধীরা একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র যারা মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি দির্ঘদিনের। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহবায়ক এম এ মতিন মোল্লাহ বলেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যদি আপরাধীদের সুবিধাদেয় তাহলে সমাজে আপরাধ প্রবানতা বৃদ্ধি পাবে। একারনেই পুলিশের সংস্কার অতি জরুরী।

থানার সেকেন্ড অফিসার এবং এস আই তালেবকে একাধিকবার ফোন করে পাওয়া যায়নি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) ইকবাল পাশা বলেন,তাকে সন্দেহ ভাজন হিসাবে আনা হয়েছিল।জিজ্ঞাসা বাদ করে ছেরে দেওয়া হয়েছে।

গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।